google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

আউটসোর্সিং কি? আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব

আউটসোর্সিং হলো কোনো একটি কাজ অন্য মানুষের মাধ্যমে করিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া। আর যিনি কাজটি করে দিলেন তিনি ফ্রিল্যান্সিং করলেন। অর্থাৎ, যেকোনো একটি কাজ একজন ফ্রিলান্সারের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে করিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে আউটসোর্সিং বলে। আমাদের আজকের বিষয় হলোঃ আউটসোর্সিং কি, আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব এবং আউটসোর্সিং শেখার উপায়।

তো চলুন বিস্তারিত আলোচনা শুরু করি-

আউটসোর্সিং কি? (What is Outsourcing)

আউটসোর্সিং হলো যেকোনো একটি কাজ নিজে না করে অন্য কারো মাধ্যমে করিয়ে নেওয়ার একটি প্রক্রিয়া। কাজটি হতে পারে কোনো অনলাইন কাজ কিংবা অফলাইন কাজ।

অন্যভাবে বলা যায়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ ফ্রিল্যান্সারদের দ্বারা করিয়ে নেয়ার আরেকনাম আউটসোর্সিং।

আমরা সাধারণত আউটসোর্সিং বলতে বুঝি অনলাইনে কাজ করে অর্থ উপার্জন করাকে। কিন্তু এই ধারনা সম্পূর্নভাবে ভুল।

আউটসোর্সিং-এর প্রকৃত মানে হলো বাইরে থেকে যেকোনো ধরনের কাজ করিয়ে নেওয়া।

মনে করুন, আপনি আমেরিকান বাসিন্দা এবং আপনি গার্মেন্টস ব্যাবসা চালু করতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি কি করবেন?

অবশ্যই আমেরিকাতে একটি গার্মেন্টস তৈরি করবেন এবং সেখানে আপনার কম্পানিতে লোক নিয়োগ দিবেন।

কিন্তু আপনি যদি মনে মনে স্থির করেন যে আপনার গারমেন্টসের জন্য কাপড়্গুলো বাইরের কোনো দেশ যেমন বাংলাদেশ বা পাকিস্তান থেকে বানিয়ে নিবেন তাহলেই আপনি আউটসোর্সিং করার কথা ভাবছেন।

অর্থাৎ, টাকার খরচ কিংবা সময় বাচাতে অন্য কোনো ব্যাক্তি, কম্পানি বা সংগঠনের মাধ্যমে কোনো কাজ করিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়াকেই মূলত আউটসোর্সিং বলা হয়ে থাকে।

অবশ্যই পড়ুনঃ

Outsourcing বলতে কি বুঝায়?

আউটসোর্সিং একটি ইংরেজী শব্দ। ইংরেজী Outsourcing শব্দটি এসেছে Outside Resourcing শব্দ থেকে।

outside শব্দের অর্থ বাহিরে অথবা বাহির হইতে। এবং Resourcing শব্দের অর্থ হচ্ছে সংস্থান বা উৎস অথবা উপায়।

অর্থাৎ, আউটসোর্সিং (outsourcing) এর মানে দাঁড়ায় বাহির হতে কোনো কাজ করিয়ে নেওয়া বা রিসোর্স করা।

আজকে আপনার এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানব। কিভাবে আউটসোর্সিং শিখব বা শিখতে হয় শিখার সেই উপায় আপনাদের দেখাবো।

আউটসোর্সিং কাকে বলে?

মনে করুন, আপনি অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন। তারপর সেই ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে আয় করবেন ভেবেছেন।

আপনার একার পক্ষে তো আর এ সকল কাজ গুলো একসাথে করা সম্ভন না। তাই, আপনি মনস্থির করলেন অন্য কাউকে দিয়ে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিবেন কিংবা আর্টিকাল লিখিয়ে নিবেন।

আপনি যদি অন্য কারো মাধ্যমে আর্টিকাল লিখান তার মানে হলো আপনি আপনার বিসনেজের জন্য আর্টিকাল আউটসোর্স করলেন।

আর যিনি আপনাকে আর্টিকাল লিখে দিবে তিনি একজন Freelance Writer এবং সে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে। যেমন আপনার আর্টিকাল লিখে দিয়ে সে ফ্রিল্যান্সিং করলো।

আশা করি আউটসোর্সিং কাকে বলে এটি খুব ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছেন।

অবশ্যই পড়ুনঃ

আউটসোর্সিং নিয়ে আমাদের মাঝে যে ভুল ধারনা

আউটসোর্সিং নিয়ে আমাদের সবার মাঝেই একটি ভুল ধারনা থাকে যে আউটসোর্সিং কোর্স করে অনলাইন থেকে আয় করা যায়।

কিংবা অনলাইন থেকে আয় করতে হলে আউটসোর্সিং কোর্স করতে হবে।

কারন,

বাংলাদেশের পেক্ষাপটে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং শিরোনামগুলো এমন হয় যে- “আউটসোর্সিং শিখে আয় করুন প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা।”

তারপর সেই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার পর দেখা যায় তারা ফ্রিলান্সিং শিখাচ্ছে।

আরে ভাই, এইটা কি?

আসছি আউটসোর্সিং শিখতে অথচ শেখাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং। তখন, আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব এই প্রশ্ন মাথায় নিয়ে সেখান থেকে চলে আসি।

তাদেরকে বুঝায় কে যে আউটসোর্সিং আর ফ্রিল্যান্সিং এক জিনিস নয়। বরং ভিন্ন ভিন্ন জিনিস।

আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই এই ভুলটি করে থাকে। তারা, আউটসোর্সিং কে অনলাইন ইনকাম, ফ্রিল্যান্সিং, ইন্টারনেট থেকে আয় ইত্যাদির সাথে মিশিয়ে ফেলে।

তাই, ফ্রিলান্সিং ও আউটসোর্সিং কে একসাথে ঘুলিয়ে ফেলা যাবে না। এই দুটি সম্পূর্ন ভিন্ন বিষয়।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং দুটি সম্পূর্ন ভিন্ন দুটি শব্দ এবং এরা বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে।

আউটসোর্সিং মানে হলো বাইরে থেকে কোনো কিছু সোর্স করা বা করিয়ে নেওয়া। অপরদিকে ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো অনলাইনে কোনো কাজ করে দিয়ে ইনকাম করা।

তো বুঝতেই পারছেন ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মাধ্যে পার্থক্য অনেক।

আমি যদি ব্লগিং এর উদাহরন দেই, তাহলে যিনি ব্লগার বা ওয়েবসাইটের মালিক তিনি হলেন আউটসোর্সার আর যিনি ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয় তিনি হলো ফ্রিল্যান্সার।

উদাহরনস্বরূপ,

আমি আমার এই ব্লগের জন্য বিভিন্ন আর্টিকাল আউটসোর্স করি। অর্থাৎ, অন্য কারো মাধ্যমে লিখিয়ে নিই।

আর একজন ফ্রিল্যান্সার আমার ব্লগের জন্য আর্টিকাল লিখে দেয় অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং করে।

আউটসোর্সিং কত প্রকার ও কি কি?

আউটসোর্সিং প্রধানত ৪ প্রকার। এগুলো হলোঃ

  1. প্রোফেশনাল আউটসোর্সিং
  2. আইটি আউটসোর্সিং
  3. ম্যানুফেকচারিং আউটসোর্সিং
  4. প্রোজেক্ট আউটসোর্সিং

কেন আউটসোর্সিং শিখব

আউটসোর্সিং করার অনেক কারন থাকতে পারে। যেমন, এর মাধ্যমে অনেক সময় বাচানো যায়, খরচ বাচানো যায়, প্রোফেশনাল কাজ করিয়ে নেওয়া যায়, সোজাকথায় একটি ভালো ক্যারিয়ার গড়া যায়।

কেন আউটসোর্সিং গুরুত্বপূর্ণ? কারন-

আউটসোর্সিং সময় বাচায়

আপনি যদি একটি বিসজেস শুরু করেন তাহলে আপনার অনেক দিক সামাল দিতে হবে। কিন্তু, যদি সব দিক আপনি একা একা সামাল দিতে যান তাহলে প্রচুর সময়ের দরকার। আর এতো সময় নষ্ট করলে আপনি বিজনেস করে লাভবান হতে পারবেন না।

তাই, আপনি যদি আপনার বিজনেস এর কিছু অংশ আউটসোর্স করেন তাহলে আপনার অনেক সময় বেচে যাবে এবং আপনি খুব অনালাইন ব্যাবসা করে সফল হতে পারবেন।

আউটসোর্সিং খরচ বাচায়

একজন উন্নত দেশে কর্মচারীর বেতন বেশি দিতে হয়, তা আপনারা জেনে থাকবেন। তাই উন্নত দেশগুলো তাদের কম্পানির খরচ কমিয়ে আনতে বাইরের কোনো দেশ থেকে আউটসোর্সিং করিয়ে নেয়।

যে কাজটি করার জন্য আমেরিকার কর্মচারীকে দিতে হবে ১ লক্ষ টাকা সেটি বাংলাদেশের কর্মচারীকে ১০ হাজার টাকা দিলেই করে দিবে।

অর্থাৎ, আউটসোর্সিং করার মাধ্যমে ব্যাবসার খরচ দশ ভাগ কমিয়ে ফেলা যায়।

Professional Work

আউটসোর্সিং এর সবচেয়ে বড় একটি সুবিধা হলো এর মাধ্যমে Professional Work এর দেখা মিলে। অর্থাৎ, আপনি একজন Professional-কে দিয়ে কাজটি করিয়ে নিতে পারেন তাও আবার অপেক্ষাকৃত কম খরচে।

নিরাপদ

আউটসোর্সিং করে কোথাও থেকে কাজ করিয়ে নেওয়াটা আমি নিরাপদ বলে মনে করি। কারন, আউটসোর্সিং করার জন্য বিশ্বস্ত অনলাইন মার্কেটপ্লেস থাকে।

আপনি যদি আউটসোর্স করতে চান তাহলে প্রথমে মার্কেটপ্লেসে আগে টাকা জমা দিতে হবে। তারপর ফ্রিলান্সার আপনার কাজটি করবে এবং ডেলিভারি দিবে। আপনি আপনার কাজ বুঝে পেয়ে অর্ডার কনফার্ম করলে তারপর টাকাটি ফ্রিলান্সারের একাউন্টে দিয়ে দেওয়া হবে।

তাই এখানে আপনি ১০০% নিরাপদ থাকতে পারছেন

আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার তৈরি করে

আউটসোর্সিং করার মাধ্যমে আপনি আপনার ক্যারিয়ার দ্বার করাতে পারেন। যেমন, আপনি যদি কোনো একটি কাজ আউটসোর্স করেন এবং সেটাতে ভাল ফলাফল পান তাহলে আজীবন সে কাজটি আউটসোর্স করে নেওয়ার সুযোগ থাকে।

এতে করে আপনার একটি ভালো আউটসোর্সিং ক্যারিয়ার গড়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাছাড়া একবার আউটসোর্সিং করে একটি বিজনেস দাড় করাতে পারলেই তো আপনি আপনার ক্যারিয়ার তৈরি করে ফেললেন।

এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়

আউটসোর্সিং করে টাকা আয় করা যায়। অনলাইনে আউটসোর্সিং শিখুন এবং অনলাইন থেকে ধুমছে টাকা করুন।

হ্যা, সত্যিই এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।

আপনি অবশ্যই লাভ হওয়ার আশায় কোনো কাজ অন্য কাউকে দিয়েই করাবেন, তাই নয় কি?

তো আউটসোর্সিং-এর ক্ষেত্রে যদি ১০০ টাকা দিয়ে কোনো কিছু আউটসোর্স করা হয় তাহলে সেখানে আরো ৫০-১০০ টাকা লাভ হয়।

কাজেই আউটোসোর্সিং-এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।

আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব

আউটসোর্সিং শেখায় অনেক উপায় আছে। আপনার মনে যদি প্রশ্ন জাগে আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব তাহলে কয়েকটি আউটসোর্সিং শেখায় উপায় দেখে নিন-

ইউটিউব এর মাধ্যমে

আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করতে আগ্রহী থাকেন এবং ফ্রিতে আউটসোর্সিং শিখতে চান তাহলে ইউটিউব হতে পারে আপনার জন্য উপযুক্ত প্লাটফর্ম।

অনেকে হয়তো মনে করে থাকবেন ইউটিউবে সবাই সব ট্রিক্স শেয়ার করে না। কিংবা, ইউটিউবে কোনো কিছু শিখতে গেলে অনেকে কিছুর বিজ্ঞাপন আসে। এতে করে ফোকাস নষ্ট হয়।

তাহলে আপনারা ভুল মনে করে আছেন। কারণ, একটা কথা মনে রাখবেন, “সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।”

তাই, অন্য কেউ আপনাকে হাতে কলমে শিখিয়ে দিবে আশা বাদ দিয়ে ইউটিউবের বিভিন্ন চ্যানেল থেকে অল্প অল্প করে জ্ঞান অর্জন করা শুরু করুন। দেখবেন আপনি একদিন ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এ বস হয়ে পড়বেন।

আরো পড়ুনঃ ইউটিউব ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ উপায়

গুগল এর মাধ্যমে

কি নেই এই গুগলে?

কোনো কিছু লিখে গুগলে সার্চ করলেই এখানে হাজার-হাজার সমাধান পাওয়া যায়। আপনি হয়তো আউটসোর্সিং এর সকল কিছু গুছানো ভাবে গুগলে খুজে পাবেন না।

কিন্তু আউটসোর্সিং শিখতে গিয়ে কোনো কিছু জানার দরকার হলে অথবা সমস্যায় পড়ে গেলে গুগল এর সাহায্য নিতে পারবেন।

বিভিন্ন ব্লগাররাই বিভিন্ন ট্রিক্স গুগলে দিয়ে রাখে। আপনি সার্চ করার মাধ্যমে তাদেরকে খুজে পেতে পারেন এবং তাদের ওয়েবসাইট থেকে আউটসোর্সিং শিখতে পারেন।

তাছাড়াও, গুগল তার ইউজারদের জন্য বিভিন্ন কোর্সের সুবিধা রেখেছে।

নিচের লিংক থেকে ক্লিক করে গুগলের কোর্সগুলো করে নিতে পারেন ফ্রিতে।

লিংক- Google Digital Garage Online Courses

বিভিন্ন ব্লগ পড়ে

আমরা বেশিরভাগ মানুষ ইউটিউব ভিডিও দেখে বিভিন্ন জিনিস শিখতে বেশি আগ্রহী। কিন্তু, ইউটিউবাররা তাদের ভিডিও তে বেশি ভিউ নিয়ে আশার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন।

তাই, একটি চ্যানেলে বা ভিডিওতে সব কিছু বিস্তারিত উল্লেখ থাকে না। যার জন্য ইউটিউব থেকে আউটসোর্সিং শিখতে অনেক অনেক ভিডিও দেখতে হয় এবং এতে অনেক সময় নষ্ট হয়।

কিন্তু, ব্লগ এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে। কারন, অনলাইন আয় বা আউটসোর্সিং রিলেটেড টিপস এন্ড ট্রিক্স একটি ব্লগে আপনি সাজানো গুছানোভাবে পাবেন।

তাছাড়া, ব্লগাররা গুগলে রেংক করার আশায় জন্য সঠিক তথ্য প্রদান করেন। এবং বিস্তারিত আলোচনা করে।

তাই, আপনি যদি বলেন আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব তাহলে ব্লগ পড়াটা হবে আপনার বুদ্ধিমানের কাজ।

ব্লগের পড়ার মাধ্যমে খুব সহজ উপায়ে আউটসোর্সিং শেখা যায়।

আরো পড়ুনঃ ব্লগ তৈরি করার নিয়ম

আউটসোর্সিং কোর্স করে

অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে আউটসোর্সিং শিখার জন্য কি কোর্স করা জরুরী? অথবা, আউটসোর্সিং কোর্স করে কি অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়?

আসলে আউটসোর্সিং শিখার জন্য কোনো কোর্স করা জরুরী না। কিন্তু, আপনি যদি জরুরী মনে করেন তাহলে করতে পারেন।

আসলে আউটসোর্সিং শেখার জন্য চাই ইচ্ছা আর প্ররিশ্রম করার মানষিকতা।

আপনি যদি মনে করেন আজকে একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবো এবং কাল থেকে পয়সা কামানো শুরু করে দিব তাহলে এটি আপনার বোকামি।

আপনি যদি একটি ভালোমানের প্রতিষ্ঠান থেকে আউটসোর্সিং কোর্স করেন তাহলে অনেক কিছু শিখতে পারবেন ঠিকই। কিন্তু এটি শিখতে পারবেন ইউটিউব কিংবা গুগলের মাধ্যমেও বিনামূল্যে।

তবে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলে আপনি তাদের কাছ থেকে সাপোর্ট পাবেন কিন্তু বিনামূল্যে শিখতে গেলে আপনার সাপোর্ট নিতে হবে গুগলের কাছ থেকে।

আউটসোর্সিং কোর্স করার সুবিধা

বর্তমান বাংলাদেশের পেক্ষাপটে আউটসোর্সিং এর চাহিদা অনেক।

অনেক ব্যাকার ছেলেমেয়ে এই আউটসোর্সিং কোর্স করে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার মাধ্যমে সাবলম্ভী হয়ে উঠছে।

অনেকে আবার কোর্স করিয়েও অর্থ উপার্জন করছে।

তাই আউটসোর্সিং কোর্স করার ২টি সুবিধা।

  1. কোর্স করে কাজ শিখে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
  2. অন্যকে শিখিয়ে টাকা আয় করতে পারবেন।

কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করবেন?

আপনি যদি আউটসোর্সিং করে টাকা আয় করতে চান তাহলে আগে ভালো করে এটি শিখতে হবে।

ভালো একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করা হতে পারে একটি ভালো আউটসোর্সিং শেখার উপায়।

অনেক ফ্রি উপায়ে আউটসোর্সিং শেখা যায়।

কিন্তু, আপনি যদি মনে করেন টাকা দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে আউটসোর্সিং শিখব তাহলে ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবেন।

কেননা, বাংলাদেশে অনেক প্রতারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা আউটসোর্সিং এর মাথা-মুন্ডু কিছুই বুঝে না, অথচ বিশাল প্রতিষ্ঠান খুলে বসে আসে।

তবে এদের মধ্যে কয়েকটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নাম হলোঃ Creative IT Institute, BASIS Institute of Technology & Management,  CodersTrust, SoftTech-IT, ইত্যাদি।

তাই ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হোন এবং সঠিক নিয়মে অনলাইনে আউটসোর্সিং শিখুন।

ফ্রি সরকারি আউটসোর্সিং কোর্স

আপনারা যারা আউটসোর্সিং শিখতে চাচ্ছেন কিন্তু কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার টাকা নাই তারা ফ্রিতে সরকারি ভাবে আউটসোর্সিং কোর্স করে নিতে পারবেন।

বাংলাদেশ সরকারের তত্ত্বাবধানে LEDP (Learning & Earning Development Project) এদেশের মানুষের জন্য ফ্রিতে আউটসোর্সিং এবং ফ্রিলান্সিং কোর্স করার সুযোগ করে দিয়েছে।

এখানে কোর্স করার জন্য আপনার নূন্যতম যোগ্যতা SSC পাশ হতে হবে।

রেজিস্ট্রেশনের জন্য এখানে ক্লিক করুন

এখান থেকে আপনি সরকারি ভাবে ৩ টি কোর্স করতে পারবেন।

  1. Web Development
  2. Graphics Design
  3. Digital Marketing

তাই, আমি বলবো আপনার কাছে যদি টাকা-পয়সার ঘাটটি থাকে তাহলে সরকারি ফ্রি আউটসোর্সিং কোর্স করে অনলাইনে আউটসোর্সিং শিখুন একদম বিনামূল্যে। এবং এটি থেকে আজীবন টাকা আয় করুন।

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?

আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে ব্যাবসা সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে। শুধু অফলাইন ব্যাবসা স্বমন্ধে ধারনা থাকলেই হবে না। বরং, অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে।

আমি একটি উদাহরনের মাধ্যমে বুঝাচ্ছি।

মনে করুন আপনি ব্লগিং করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে আয় করতে চান। তাই, আপনি আপনার ব্লগের জন্য কিছু আর্টিকাল কোনো মার্কেটপ্লেস থেকে আউটসোর্স করলেন।

এর জন্য অবশ্যই টাকা খরচ হবে।

কিন্তু একবার টাকা খরচ করে একটি ব্লগ দাঁড় করাতে পারলে সারাজীবন এর থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

এভাবেই আসলে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।

আরো পড়ুনঃ

আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস

মার্কেটপ্লেস বলতে বুঝায় ক্রয় বিক্রয় করার স্থান। অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয় করার যেই মাধ্যম তাকে বলা হয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস।

আপনি ফ্রিলান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং করতে গেলে অবশ্যই এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসের সাহায্য নিতে হবে।

কেননা অনলাইনের বেলায় অফলাইনের মতো এক হাতে পণ্য আরেক হাতে টাকা দিয়ে লেনদেন করা যায় না। এখানে প্রতারনায় শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই অনলাইনে কেনাকাটা বা লেনদেন করার জন্য রয়েছে কিছু অনলাইন মার্কেটপ্লেস যেগুলোকে আপনার আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস কিংবা ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস বলে থাকি।

যেমনঃ

  • Fiverr
  • UpWork
  • Freelancer
  • Guru
  • People Per Hour এবং ইত্যাদি।

অবশ্যই পড়ুনঃ

মোবাইলে কিভাবে আউটসোর্সিং করা সম্ভব?

অনেকে অনলাইন থেকে আউটসোর্সিং’র মাধ্যমে টাকা ইনকাম বা আয় করতে ইচ্ছুক, কিন্তু কম্পিউটার না থাকার কারনে তারা তা করতে পারে না।

কিন্তু, আপনি চাইলে মোবাইলের মাধ্যমেও আউটসোর্সিং করতে পারেন। এর জন্য প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র একটি স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট কানেকশন।

কিন্তু, কিভাবে?

আসলে বর্তমানে স্মার্ট মোবাইল গুলো দিয়ে কম্পিউটারের সকল কাজ করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, লেখালেখি বা ব্লগিং সহ আউটসোর্সিং এর অনেক কাজই আপনি মোবাইল দিয়ে করতে পারবেন।

কিন্তু, এতে কম্পিউটারের মত এত সুবিধা পাবেন না এবং ছোট স্ক্রীনে কাজ করতে একটু অসুবিধা হবে।

কিন্তু এটি সম্ভব।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করার উপায়

আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করব

আপনার যদি জানার আগ্রহ থাকে আউটসোর্সিং কিভাবে শুরু করব তাহলে আমি কয়েকটি আউটসোর্সিং শেখার উপায় শেয়ার করছি।

আপনি প্রথমে আউটসোর্সিং স্বমন্ধে ইউটিউব এবং কিছু ব্লগ থেকে ধারনা নেন। আউটসোর্সিং এর সেক্টর কতগুলো তার একটি লিস্ট করুন।

এবং প্রতিটি সেক্টর স্বমন্ধে ভালো করে ধারনা নেন। প্রথমেই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট খুলে কাজ করে টাকা আয়ের কথা চিন্তা করবেন না।

নিজে আগে ভালোভাবে দক্ষ হয়ে উঠুন।

মনে রাখবেন, এই কাজ আপনি যতটা সহজ ভাবতেছে আসলে ততটা সহজ না। আপনার অনেক প্রতিদ্বন্ধী থাকবে।

তাদের সাথে লড়াই করে আপনাকে পেরে উঠতে হবে। এর জন্য চাই একাগ্রতা এবং লেগে থাকা।

Conclusion

আশা করি আজকের আর্টিকালটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

আউটসোর্সিং কি , আউটসোর্সিং কিভাবে শিখব কিংবা আউটসোর্সিং শেখার উপায় সম্পর্কে যদি আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এটি আমাকে কমেন্টে জানাতে পারেন।

আর আমাদের ওয়েবসাইটের সকল আপডেট সবসময় সবার আগে পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিন এবং ফেসবুক গ্রুপে জয়েন হয়ে নিন।

Check Also

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ

সবচেয়ে জনপ্রিয় ও চাহিদাসম্পূর্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ ২০২৪

যারা কঠোর কর্পোরেট পরিবেশ পছন্দ করেন না, তাদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *