দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত ২০২৪

দুবাই শহরে অনেক বড় বড় কম্পানি রয়েছে। এসব কম্পানিতে সারা বিশ্ব থেকে কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক মানুষ দুবাই ওয়ার্ক ভিসা দিয়ে সেখানে গিয়ে থাকে। তাই, আজকের আর্টিকালে আপনাদের জানানোর চেষ্ঠা করবো দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত।

দুবাই সবসময় কোম্পানির শ্রমিকদের জন্য আকর্ষণীয় বেতন নির্ধারণ করে থাকে। তবে, কোনো এজেন্সি বা দালাল কখনোই দুবাইয়ের বেতন সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দেয় না।

তাই, আপনারা যারা দুবাই যেতে আগ্রহী তাদের কাছে একটা রিকোয়েস্ট যে আপনারা দুবাই কোম্পানি ভিসা ভেতন সম্পর্কে ভালো করে না জেনেবুঝে দুবাই যাবেন না।

এখন চলুন দুবাই কোম্পানি ভিসার বেতন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত

দুবাই শহরে বিভিন্ন কম্পানির বেতন কাজের উপর এবং দক্ষতার উপর নির্ভর করে নির্ধারন করা হয়।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি ইলেক্ট্রিশিয়ান হোন এবং দুবাই শহরে ইলেক্ট্রিকাল কোনো কম্পানিতে চাকরী করেন তাহলে যে বেতন পাবেন তার থেকে অনেক কম বেতন পাবেন ক্লিনার হিসেবে কাজ করলে।

আমরা জানি, দুবাই কোম্পানি থেকে সরকারিভাবে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই প্রতিটি কাজের জন্য একটা নূন্যতম বেতন দুবাই সরকার নির্ধারন করে দেয়।

যারা কোম্পানি ভিসা দুবাই যেতে চাচ্ছেন তারা দেখে নিন কোন ক্যাটাগরীর জন্য দুবাই কোম্পানিগুলো নূন্যতম কত টাকা বেতন দিয়ে থাকে।

দুবাই কোম্পানি ভিসা নূন্যতম বেতন কত

বিভিন্ন কাজের উপর ভিত্তি করে দুবাই শহরে ভেতন পাওয়ার পরিমান ভিন্ন ভিন্ন হয়। আবার কম দক্ষ লোক থেকে বেশি দক্ষ লোক বেশি পরিমানে বেতন পায়।

নিচে কাজের উপর ভিত্তি করে নূন্যতম যে বেতন দুবাই কোম্পানি থেকে পাওয়া যায় তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ

  1. দুবাই কোম্পানি ভিসা ড্রাইভিং কাজের নূন্যতম বেতনঃ প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  2. দুবাই কোম্পানি ভিসায় ইলেকট্রিশিয়ান এর নূন্যতম বেতনঃ প্রতি মাসে ৭০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার টাকা ।
  3. দুবাই কোম্পানি ভিসা প্লাম্বিং এর বেতনঃ মাসে ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  4. দুবাই কোম্পানি ভিসা কনস্ট্রাকশন এর বেতনঃ মাসে ৫০ হাজার থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
  5. দুবাই কোম্পানি ভিসা ক্লিনার এর বেতনঃ প্রতিমাসে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

তো দেখা যাচ্ছে, দুবাই প্লাম্বিং কোম্পানি ভিসাতে সর্বাধিক বেতন পাওয়ার সুযোগ থাকে এর অন্যদিকে ক্লিনারদের বেতন অনেক কম হয়ে থাকে।

ফলে কম বেতনে চাকরী করা লোকজন দুবাই টু ঢাকা পথ বেছে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে।

দুবাই কোম্পানি ভিসা ২০২৪

অনেকেই দুবাই কোম্পানি ভিসা পেলে সেখানে কি ধরনের কাজ করা লাগে সেই বিষয়টি জানে না।

তারা কোম্পানি ভিসা আবেদন করার পূর্বে বেতন এবং কাজ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য জানার চেষ্টা করে থাকেন।

তাদের উদ্দেশ্যে বলে দিচ্ছি কোম্পানি ভিসায় দুবাই গেলে আপনি কয়েকটি ক্যাটাগরিতে কাজ পাবেন।

দেখে নিন দুবাই কোম্পানি ভিসা গেলে সেখানে কি কি কাজ আপনি করতে পারবেনঃ

  • কনস্ট্রাকশন।
  • ড্রাইভিং।
  • মেকানিক্যাল।
  • প্লাম্বিং।
  • ইলেকট্রিশিয়ান।
  • ক্লিনার।

এগুলোর মধ্যে ড্রাইবিং, মেকানিক্যাল, প্লাম্বিং এবং ইলেকট্রিশিয়ান কাজের বেতন তুলনামূলকভাবে বেশি। আর ক্লিনারের কাজের বেতন তুলনামূলক কম।

ভিসা যাচাই করুন এখানেঃ পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে দুবাই ভিসা চেক

দুবাই কোম্পানি ভিসা কোন কাজের বেতন বেশি

আমরা সবাই কাজের উদ্দেশ্যেই দুবাই যেতে চাই। কিন্তু আমরা মনে করি দুবাই যেতে পারলেই সব কাজের জন্য বেশি বেশি বেতন পাবো। কথাটা সত্য নয়।

কারন আপনি দুবাই গেলে নির্দিষ্ট কয়েকটি কাজের জন্য বেশি টাকা বেতন পাবেন।

আর, দুবাই এমন একটা শহর যার একদিকে মানুশ খুব বিলাসবহুল জীবনযাপন করে, আরেকদিকের মানুষ খুব কষ্টে থাকে।

তাই না জেনেবুঝে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষে দুবাই গেলে হতে পারে এর বিপরীত, দেখা মিলতে পারে কষ্টকর জীবনের।

ড্রাইভিং, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বিং, মেকানিক্যাল এই কয়েকটি কাজের দুবাই অনেক চাহিদা রয়েছে এবং এই কাজের বেতনও অনেক বেশি।

উল্লিখিত কাজগুলো করলে আপনি প্রতি মাসে ৬০ হাজার থেকে প্রায় ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বেতন উত্তোলন করতে পারবেন।

দুবাই শহরে সর্বনিন্ম বেতনের চাকরী

সরকার দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন হিসেবে সর্বনিন্ম একটি এমাউন্ট নির্ধারন করে দিয়েছে। অর্থাৎ, আপনি দুবাই যেই কোম্পনিতেই কাজ করুন না কেন কোম্পানি আপনাকে এই নূন্যতম বেতনটি দিতে বাধ্য।

আর সেটি হচ্ছে মাসে সর্বনিন্ম ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ, দুবাই কোম্পানি ভিসা সর্বনিন্ম বেতন ৩০ হাজার টাকা।

দুবাই যাওয়ার পর যদি কোনো কম্পানি এর চেয়ে কম বেতন দেওয়ার চেষ্ঠা করে তাহলে দুবাই বাংলাদেশ এম্বাসি সাথে যোগাযোগ করুন।

যারা নতুন অবস্থায় কোনো প্রকার অভিজ্ঞতা না নিয়ে দুবাই যায় তাদেরকে দুবাই অনেক কম বেতন দিয়ে থাকেন।

তাছাড়া দুবাই গিয়ে নিন্মমানের কাজ যেমন ক্লিনিং, ওয়াশিং, ইত্যাদি করলে তাদের বেতন কম হয়। আসলে আপনার কাজের ধরন ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনার বেতন নির্ধারণ করা হবে।

ইতি কথা

যারা দুবাই কোম্পানি ভিসা দিয়ে যেতে চাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে কোম্পনিগুলো প্রতিমাসে কত টাকা বেতন দেয় সে সম্পর্কে ধারনা নাই। তাদের জন্য অলরেডি দুবাই কোম্পানি ভিসা সম্পর্কে এই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

আশা করি আপনি যদি সম্পূর্ন পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত সে বিষয়ে জেনে নিয়েছেন। এরকম তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন।

Avatar of Shakib Hasan

Blogger and SEO Expert. Founder of Techbdtricks. I always try to explore something new and let the people know about that. Keep me in your prayers.

Leave a Comment