google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

ওয়েবসাইট কি? ওয়েবসাইট কাকে বলে এবং কিভাবে তৈরি করা হয়

ওয়েবসাইট কি?

একই ডোমেইনের অধীনে একাধিক ওয়েব পেইজের সমসষ্টকে ওয়েবসাইট বলে। অন্যভাবে বলতে গেলে কোনো ওয়েব সার্ভারের রাখা ওয়েব পেইজ, ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে।

ওয়েবসাইট শব্দটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত। ওয়েব(Web) শব্দের অর্থ জাল-বিশেষ আর সাইট(Site) শব্দের অর্থ একটি নির্দিষ্ট জায়গা বা স্থান।

অর্থাৎ, ওয়েবসাইট(Website)-এর অর্থ দাঁড়ায় জালের মতো বিস্তৃত জায়গা বা স্থান। মূলত, ইন্টারনেটের যেই স্থানে জালের মতো তথ্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে তাকে ওয়েবসাইট বলে।

আজকের আর্টিকালটি প আপনাদের বুঝিয়ে বলবো ওয়েবসাইট কাকে বলে এবং ইন্টারনেটে কত প্রকারের ওয়েবসাইট রয়েছে। তারপর বলবো ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরী করতে হয় এবং ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কত।

ওয়েবসাইট কাকে বলে উদাহরন

সহজ কথা বলতে গেলে ইন্টারনেটে আমরা যা কিছু দেখতে পাই সবই ওয়েবসাইট। যেমন গুগল, ইউটিউব, ফেসবুক, টেক বিডি ট্রিকস ইত্যাদি।

উদাহরনস্বরূপ, আপনি এখন আছেন TechBdtricks.com ওয়েবসাইটে।

Techbdtricks.com হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট যেখানে বিভিন্ন ধরনের পেইজ, আর্টিকাল, ছবি রয়েছে এবং এটি ডোমেইনের মাধ্যমে এক্সেস করা যায়।

যেমন ধরুন, কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যদি আমাদের ডোমেইনটি (TechBdtricks.com) তাদের ব্রাউজারে এড্রেস বারে লিখে সার্চ করে তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটটি তারা এক্সেস করতে পারবে।

আবার অন্যভাবে বলতে গেলে ইন্টারনেটে যা কিছু রয়েছে সবই ওয়েবসাইট। যেমন ধরুন, আপনার মোবাইলে ডেটা চালু করে গুগলে ডুকেছেন, গুগল একটি ওয়েবসাইট বা সার্চ ইঞ্জিন।

তারপর, গুগল থেকে “ওয়েবসাইট কাকে বলে” সার্চ করে আমাদের এখানে এসেছেন, আমাদের এটিও একটি ওয়েবসাইট।

আবার আপনি যখন ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করেন, ঐইটাও এক ধরনের ওয়েবসাইট। ইউটিউব, টুইটার, পিন্টারেস্ট যাই বলুন না কেন সবকিছুর সংজ্ঞাই তারা একটি ওয়েবসাইট।

প্রায় সকল ওয়েবসাইটেই বিনামূল্যে প্রবেশ করা যায়। এবং যেকোনো তথ্য বিনামূল্যে সংগ্রহ করা যায়।

সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইটগুলোকে সমষ্টিগতভাবে “ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব ” (World Wide Web) বা “বিশ্বব্যাপী জাল” বলা হয়। একে সংক্ষেপে বলা হয় www.

ওয়েবসাইটের ঠিকানাকে কি বলে

আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে জানবেন না যে ওয়েবসাইটের ঠিকানাকে কি বলে। তাই আজকে জেনে নিন।

ওয়েবসাইটের একক ঠিকানাকে বলা হয় ডোমেইন নেম। কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যদি নির্দিষ্ট কোনো ওয়েবসাইট খুজে বের করতে চায়, তাহলে তাদের ব্রাউজারের এড্রেস বারে ঐ ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম লিখে সার্চ করতে হবে।

যেমন, আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানায় আসতে চান তাহলে আপনার ব্রাউজারে গিয়ে Techbdtricks.com লিখে সার্চ করতে হবে।

এটাই আমাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানা। আপনি যদি আমাদের ডোমেইন নাম লিখে ব্রাউজারের এড্রেস বারে সার্চ করেন তাহলে ব্রাউজার সেটিকে ইউআরএল এ রূপান্তর করে আমাদের ওয়েবসাইটে পাঠিয়ে দিবে।

ইউআরএল বা URL দেখতে এরকমঃ

  • https://yourdomain.com
  • https://www.yourdomain.com

ওয়েবসাইট এর কাজ কি – ওয়েবসাইট কেন প্রয়োজন

বর্তমান যুগে একটি ওয়েবসাইট থাকার প্রয়োজনীয়তা অপরিসিম। ওয়েবসাইটের মালিকেরা নির্দিষ্ট কোনো লক্ষে তাদের ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে।

যেমনঃ আমাদের ওয়েবসাইটটি তৈরি করার লক্ষ বা উদ্দেশ্য হলো টেকনোলজী বিষয়ক তথ্য মানুষদের কাছে পৌছে দেওয়া, নিয়মিত আর্টিকাল পাবলিশ করা।

যখন একটা সময় এই ওয়েবসাইটের পাঠকের সংখ্যা বাড়বে তখন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় হবে।

তাই আপনি বলতে পারেন, আমাদের ওয়েবসাইট এর কাজ হলো লেখালেখি করা এবং মানুষদের উপকার করা। যাকে সংক্ষেপে ব্লগ বলা হয়।

অনেক ওয়েবসাইটের কাজ হলো নিউজ বা খবর মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া

আবার অনেক ওয়েবসাইটের কাজ হলো অনলাইনে কোর্স বিক্রি করা। যেমনঃ Udemy, Skillshare ইত্যাদি।

আবার কিছু ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে মার্কেটপ্লেসের মতো কাজ করে। যেমনঃ Fiverr , UpWork, Freelancer ইত্যাদি।

তো বুঝতেই পারছেন যে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের কাজ বিভিন্ন রকম হতে পারে।

ওয়েব পেইজ কাকে বলে?

ইন্টারনেটে যত পৃষ্টা বা পেইজ আছে তারা প্রত্যেকেই এক-একটি ওয়েব পেইজ।

যেমন, আপনি প্রথমে আপনার ব্রাউজারে প্রবেশ করেছেন। যেকোনো ব্রাউজারে (যেমনঃ Chrome, Opera mini, UC browser) এ ক্লিক করার সাথে সাথে যেই পেইজটি ওপেন হয়েছে সেটি হচ্ছে ওয়েব ব্রাউজার হোম পেইজ

তারপর সেখান থেকে কোনো কিছু সার্চ করার জন্য Google.com এ প্রবেশ করেছেন। এটি হচ্ছে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন পেইজ

এবং সেখানে কিছু লিখে সার্চ করার পর হাজার হাজার ফলাফল নিয়ে আরেকটি পেইজ ওপেন হয়েছে। একে বলে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ (Search Engine Result Page). একে আবার সংক্ষেপে SERP বলা হয়।

সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেই্জ থেকে ক্লিক করে অন্য কোনো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে সেটি ঐ ওয়েবসাইটের ওয়েবপেইজ।

মূলত ইন্টারনেটে কোনো কিছু রাখার জন্য(টেক্সট, ইমেজ, অডিও, ভিডিও) যে পেইজ ব্যবহার করা হয় তাকে ওয়েব পেইজ বলে। আর অনেকগুলো ওয়েব পেইজ একত্রিত হয়ে ওয়েবসাইট গঠন করে।

ওয়েবসাইট এবং ওয়েব পেইজের মধ্যে পার্থক্য

ওয়েব পেইজ হলো ইন্টারনেটে থাকা একটি নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা। আর অনেকগুলো ওয়েব পেইজ মিলিত হয়ে তৈরি হয় একটি ওয়েবসাইট।

ওয়েব পেইজের ঠিকানাকে বলা হয় ইউ আর এল (ULR) ওয়েবসাইটের ঠিকানাকে বলা হয় ডোমেইন নেম (Domain Name).

একটি ওয়েবসাইটে অনেকগুলো ওয়েব পেইজ বা পৃষ্ঠা থাকে। কিন্তু ওয়েব পেইজে কোনো পৃষ্ঠা থাকতে পারে না। বরং অন্য পৃষ্ঠার লিংক থাকতে পারে।

ওয়েবসাইট একটি কম্পানি বা অর্গানাইজেশন হতে পারে। কিন্তু ওয়েব পেইজ নির্দিষ্ট কোনো কম্পানি হতে পারে না।

ওয়েবসাইট কত প্রকার

ওয়েবপেইজের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইট ২ প্রকার।

  1. Static Webpage website
  2. Dynamic Webpage website.

কিন্তু, ওয়েবসাইটের ধরণের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইট অনেক প্রকারের হয়ে থাকে। কিছু কিছু ওয়বেসাইটের ধরন সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

1. Personal Blog Website

পার্সোনাল ব্লগ হলো এমন ধরনের ওয়েবসাইট যেখানে নিয়মিত একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আর্টিকাল প্রকাশিত হয়। এখানে একটি নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন তথ্যমূলক আর্টিকাল এবং গাইডলাইন প্রকাশ করা হয়ে থাকে।

ব্লগ ওয়েবসাইটে একটি নির্দিষ্ট টপিকের প্রচুর তথ্য পাওয়া যায়। এবং এসব ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য যুক্ত হতে থাকে।

পার্সোনাল ওয়েবসাইটের নিশ/বিষয়বস্তু হলো Health, Make Money, Relationship, Food, Technology, News, ইত্যাদি।

2. Social Media Website

Social Media” বাংলায় একে বলা হয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম। পৃথিবীতে অনেকে সামাজিক যোগাগের মাধ্যম রয়েছে যেমন Facebook, Twitter, YouTube ইত্যাদি।

এই ধরনের সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোও একটি ওয়েবসাইট। তবে আমরা যারা মোবাইলে এইগুলো ব্যবহার করি তারা এটির মোবাইল ভার্সন বা app হিসেবে ব্যবহার করছেন।

3. E-Commerce Website

E-Commerce Website বা ই-কমার্স ওয়েবসাইট হলো পণ্য বিক্রি করার ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটগুলো তাদের নিজস্ব পণ্য বাজারে বিক্রি করে থাকে।

যেমন বাংলাদেশের পরিচিত ই-কমার্স ওয়েবসাইট Evaly, Daraz, BDShop ইত্যাদি।

4. Marketplace Based Website

মার্কেটপ্লেস বলতে কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করার স্থানকে বুঝায়। কিন্তু, বর্তমানে আমরা ইন্টারনেটে অনলাইনে পণ্য বা সার্ভিস ক্রয় বিক্রয় করতে পারি।

আর এর সম্পূর্ন কৃর্তত্ব এই Marketplace Based Website এর। পৃথিবীতে অনেক অনলাইন মার্কেটপ্লেস রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস হলোঃ Fiverr, Upwork, Freelancer.

ফাইবার কি? ফাইবার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানুন।

5. company website

যেকোনো কম্পানি তাদের সার্ভিস আরো ভালোভাবে পৌছে দিতে ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে। একে মূলত কম্পানি ওয়েবসাইট বলে।

উদাহরনস্বরূপঃ Moz, Ahrefs, Traackr, Soundstripe, MOAT ইত্যাদি। তারা তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন সার্ভিস দিয়ে থাকে।

কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়?

ওয়েবসাইট তৈরী করা খুবই সহজ। আপনি ঘরে বসে নিজে নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে প্রথমে কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন হয়। ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা আগে জোগার করুন।

আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য হোস্টিং ক্রয় করলে আপনাকে একটি সি-প্যানেল দেওয়া হবে।

তারপর হোস্টিং এর সি-প্যানেল থেকে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করুন।

ওয়ার্ডপ্রেস হচ্ছে একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং খুব সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।

ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর আপনার ওয়েবসাইটে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করলে আপনার ওয়েবসাইট রেডী।

তারপর আপনি আপনার মতো করে সাইট সাজিয়ে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে শুধুমাত্র মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়

একটি ওয়েবসাইট তৈরির খরচ হয় তা নির্ভর করে আপনি কেমন ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চান তার উপর।

আপনি যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, এবং তা আপনি নিজে নিজেই করতে চান তাহলে আপনার সর্বোচ্চ ৩০০০-৪০০০ টাকা খরচ হবে।

তাছাড়া অনেক ওয়েবসাইট তৈরি করতে লাখ টাকার উপরেও খরচ হয়ে থাকে। আবার ব্লগার ব্যবহার করে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।

আমাদের সর্বশেষ কথা

আশা করি ওয়েবসাইট কাকে বলে খুব ভালো করে বুঝে গেছেন। ওয়েবসাইট নিয়ে যদি আরো কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করতে পারেন। পৃথিবিতে কোটি কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে এবং এদের পরিমান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি মনে করি, এই যুগে এসে আপনার নিজেরও একটি ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন।

Check Also

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় -Passive Income and Active Income

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় এটি নিয়ে অনেক মানুষের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। …

5 comments

  1. আসসালামুআলাইকুম আমি পোশাক বিঞিয় করার জন্য
    কোন ধরনের ওয়েবসাইট খোলতে পারি। কারণ অফ লাইনে ব‍্যবসা করে সুবিধা করতে পারিনা। তাই আপনাদের কাছে ভালো একটা যুক্তি ছাই। এবং খরচ কত হবে?

    • ধন্যবাদ আপনার সমস্যার কথা জানানোর জন্য।

      পোষাক বিক্রির জন্য আপনাকে ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলতে হবে।

      ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ই-কমার্স ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন। এবং এর জন্য নতুন অবস্থায় হয়তো ২০০০-৩০০০ টাকার মতো খরচ পড়বে ডোমেইন এবং ভালো হোস্টিং কিনতে।

      কিন্তু, আপনি যদি চান প্রিমিয়াম থিম দিয়ে প্রোফেশনাল ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তাহলে আপনাকে themeforest বা envato market থেকে ৬০ ডলারের একটি থিম কিনে নিতে হবে।

      তবে অনলাইন কিংবা অফলাইন বলেন, ব্যাবসা করার জন্য মার্কেটিং খুব গুরুত্বপূর্ন। যা আপনাকে খুব নিখুতভাবে এবং দক্ষতার সাথে করতে হবে।

  2. আমার একটা ঔয়াবসাইট লাকবে

    • আমার একটা ওয়েবসাইট লাগবে
      গেমিং ওয়েবসাইট হবে

  3. ব্লগ লেখার জন্য একটা ওয়েবসাইট প্রয়োজন আপনি কি আমাকে ফ্রী করে দিতে পারেন।
    ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *