google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার জনপ্রিয় কিছু অ্যাপস ২০২৪

মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার জন্য বেশ কিছু অ্যাপস অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে সব অ্যাপস দিয়ে আপনি সব ধরনের কাজ করতে পারবেন না। সেজন্য কোন অ্যাপস দিয়ে ফোটো এডিটিং এর কোন কাজটি করা যায় সে বিষয়টি আপনাকে জ্ঞান রাখতে হবে।

আজকের পোস্টে মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার জনপ্রিয় কিছু অ্যাপস নিয়ে কথা বলবো। আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে ছবি এডিট করতে চান তাহলে অবশ্যই পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন।

তাহলে আপনি মোবাইলে নিজের ছবি এডিট করা সহ অন্যান্য জিনিসের ছবি এডিট করতে পারবেন। এমনকি আপনার মোবাইলে এডিট করা ছবি অনলাইনে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার সফটওয়্যার

অনেকগুলো ছবি এডিট করার সফটওয়্যার অনলাইনে পাওয়া যায়। তবে সব সফটওয়্যার দিয়ে ভালো ছবি এডিট করা যায় না। প্রফেশনালভাবে ছবি এডিট করার জন্য দরকার ভালোমানে ছবি এডিটিং সফটওয়্যার। নিচে সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫ টি ছবি এডিট করার সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

1. Adobe Lightroom

গ্রাফিক্স এবং ডিজাইনের জন্য Adobe হলো সবচেয়ে সেরা Computer software company. Adobe Lightroom, Adobe Photoshop, Adobe Premear pro সহ এর আরো অনেকগুলো সফটওয়্যার রয়েছে।
তবে শুধুমাত্র Adobe Lightroom দিয়ে আপনি মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করতে পারবেন।

এখানে ছবি এডিট করার জন্য ফ্রিতেই অনেকগুলো অপশন পেয়ে যাবেন। তবে এর সকল সুবিধা নিতে গেলে আপনাকে পেইড ভার্সন সাবস্ক্রাইভ করতে হবে।

Lightroom-এ মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার যে যে ফিচার রয়েছেঃ

একটি ছবিকে আকর্ষনীয় ডিজাইন করতে যা যা টুলস প্রয়োজন সবকিছু আপনি এডভি লাইটরোমে পেয়ে যাবেন। তাছাড়া এখানে রয়েছে ১০০+ ফ্রি প্রিসেট।

প্রিসেট এর কাজ হচ্ছে আপনি ছবিতে যেকোনো প্রিসেট এপ্লাই করলে ছবিটি নিজে নিজেই সেই প্রিসেটের মতো হয়ে যাবে।

তাছাড়াও এখানে Healing, Color Grading, Geometry Correct, Light Adjustment, Cloud Storage ইত্যাদি সুবিধাগুলো বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন ।

2. Snapseed

Snapseed হলো মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার জন্য গুগলের নিজস্ব একটি সফটওয়্যার। এটি গুগলের প্রোডাক্ট হওয়ার কারনে এখানে সবকিছু ফ্রিতে ব্যবহার করা যায়।

এখানে রয়েছে ছবি এডিট করার জন্য গুরুত্বপূর্ন সব ধরনের টুলস। তাও আবার ফ্রি!

একটি ছবি এডিটিং অ্যাপসটি আপনারা প্লে স্টোরে পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে ডাউনলোড করে বিমানূল্যে মোবাইলে ছবি এডিট করতে পারবেন।

Snapseed-এ ছবি এডিট করার যে যে ফিচার রয়েছেঃ

এই সফটওয়্যারটি গুগলের প্রোডাক্ট হওয়ার কারনে আপনারা ফ্রিতে অনেক দরকারী ফিচার পাচ্ছেন। আর এর কোয়ালিটির উপর আস্থাও রাখতে পারছেন।

Snapseed এ Geometry Adjustment, Photo Retouching, Healing, Details Adjustment, Brush Tools, Tune Image, Lens Blur সহ দরকারী আরো অনেক ফিচার রয়েছে।

আর, এই টুলসগুলো কার্যক্ষমতাও খুব অসাধারন। টুলসগুলো ব্যবহার করে খুব নির্ভুলভাবে একটি ছবিকে ইচ্ছামতো এডিট করা যায়।

3. PicsArt – AI Photo Editor

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে ম্যানুয়ালী ছবি এডিট করতে বেশি পছন্দ করেন সে সাথে আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্ট এর সুবিধা নিতে চান তাহলে আপনার জন্য PicsArt ফটো এডিটিং সফটওয়্যার বেস্ট অপশন হতে পারে।

এই মোবাইল অ্যাপটি ব্যবহার করে ১ ঘন্টার কাজ আপনি ১ মিনিটেই সেরে নিতে পারবেন।

গুগল প্লে স্টোরে ছবি এডিট করার জন্য যত অ্যাপ পাওয়া যায় তার মধ্যে সর্বাধিক ইনস্টলকৃত অ্যাপ এটি। অ্যাপটি অনেক জনপ্রিয় এবং প্লে স্টোরে অ্যাপটি ১ বিলিয়ন+ বার ডাউনলোড হয়েছে।

এখানে থাকা টুলসগুলো ব্যবহার করে যে আপনি শুধু নিজের ছবি এডিট করতে পারবেন শুধু তাই নয়। বরং আপনি এখানে টুকটাক গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজও করতে পারবেন যেমন লোগো ডিজাইন

মোবাইলে ছবি এডিট করার জন্য PicsArt এ যে যে অপশন রয়েছেঃ

এআই এর সাহায্য নিয়ে দ্রুততম সময়ে ছবি এডিট করার জন্য অ্যাপটিতে রয়েছে আকর্ষনীয় কিছু টুলস।

এখানে আপনি Smart AI Background, Professional Design Templates, Generate AI images, create collages, premium fonts, 100 filters, object remover, এমনকি ভিডিও এডিট করার জন্যও কিছু অপশন পেয়ে যাবেন।

অ্যাপটি এক কথায় জোশ একটা অ্যাপ। আপনি যদি মোবাইলে ফটো এডিটিং এর কাজ করতে চান তাহলে অবশ্যই একবার এপটি ব্যবহার করা উচিত।

4. AfterFocus

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশানটি ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এই অ্যাপটি ব্যবহার করে একটি নরমাল ছবির ব্যকগ্রাউন্ড মুহূর্তেই ব্লার করে ফেলতে পারবেন।

এপটির ছবি ব্লার করার ক্ষমতা খুবই নিখুত এবং পুরোপুরি ডিএসএলআর ক্যামেরার মতো একটা ভাব নিয়ে আসে ছবির মধ্যে।

অনেকের মোবাইলের Portrait mode না থাকায় ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে ছবি তুলতে পারেন না। তারা মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে Raw Format এ ছবি তুলে সেটি এক ক্লিকের মাধ্যমে AfterFocus দিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ব্লার করে নিতে পারবেন।

তাছাড়াও ব্লার করা ব্যাকগ্রাউন্ড এ যুক্ত করতে পারবেন অন্যান্য Effects এবং background.

5. Photo Editor – Polish

মোবাইলে ছবি এডিট করার জন্য এই Photo Editor অ্যাপটি খুব ভালো একটি অ্যাপ এবং এটি Inshot Incorporation এর একটি প্রোডাক্ট।

যদিও অ্যাপটি সম্পূর্ন বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায় না, কিন্তু এর ফ্রিতেই ছবি এডিট করার অনেক অপশন আপনি এখানে পেয়ে যাবে।

ফ্রিতে আপনি এখানে Color Grading, Cutout, Drawing, beautify tools ইত্যাদি অপশন পাবেন।

আর কিছু অপশন যেমন Premium Effects, Objects Remover, Cartoon Maker, এরকম কিছু ফিচার ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে এর প্রিমিয়াম ভার্সন ব্যবহার করতে হবে।

ছবি এডিট করার সফটওয়্যার ডাউনলোড

যে ৫ টি মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার অ্যাপস নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি এর সবগুলোই Play Store এবং Apple Store পাওয়া যায়।

আর Play Store এবং Apple Store থেকে ডাউনলোড করলে আপনার নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ভয় নেই। নিচে ৫ টি অ্যাপের ডাউনলোড লিংক দিয়ে দেওয়া হলোঃ

Adobe LightroomPlay StoreAppstore
SnapseedPlay StoreAppstore
PicsArtPlay StoreAppstore
AfterFocusPlay StoreAppstore
Photo EditorPlay StoreAppstore

ছবি এডিটিং সফটওয়্যার ব্যবহারে সতর্কতা

ছবি এডিটিং এর ক্ষেত্রে থার্ড পার্টি অ্যাপ অবিশ্বস্ত কোনো জায়গা থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা উচিত নয়।

কারন, এটি আপনার মোবাইলের ফাইল পারমিশন চাইবে। ফলে আপনার মোবাইলের গ্যালারীর ব্যক্তিগত তথ্য বা ছবি হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

তাই মোবাইলে ছবি এডিট করার জন্য সবসময় Play Store এবং Apple Store থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড দিয়ে ব্যবহার করবেন। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদে থাকবে।

শেষ কথা

মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার জনপ্রিয় ৫ টি অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করা হলো যেগুলো Play Store এবং Apple Store এ পাওয়া যায়।

আপনি যদি প্রকৃতঅর্থে মোবাইলে ছবি এডিটিং করতে চান তাহলে প্রতিটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করে দেখবেন।

মোবাইল দিয়ে ছবি এডিট করার আরো অনেক অ্যাপ অনলাইনে রয়েছে কিন্তু যেহেতু ৫ টি অ্যাপের তালিকা তৈরি করেছি তাই সবগুলো দেখানো সম্ভব হয়নি।

Check Also

মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ

মোবাইল থেকে কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার নিয়ম ২০২৪

বর্তমানে মোবাইল/কম্পিউটার/ল্যাপটপগুলোতে Hotspot এবং WiFi নামক একটি অপশন দেওয়া থাকে যার মাধ্যমে একটি ডিভাইসের সাথে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *