অনলাইন ব্যবসা বর্তমান সময়ে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারন অনলাইনে ব্যবসা করার মধ্যে সর্ববহুল যে যে সুবিধাগুলো রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ্য হলো এটির পরিধি বিশ্বব্যাপী, যেহেতু ঘরে বসেই করা যায় ফলে বাড়তি ব্যায়ের আশঙ্খা কম। তাছাড়া অনলাইন ব্যবসায় দেখা যায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্খা কম থাকে ।
তো আজকে আর্টিকালে ৫টি লাভজনক অনলাইন ব্যবসা আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। পড়তে থাকুন।
১। ডোমেইন ফ্লিপিং
বর্তমান সময়ে ডোমেইন ফ্লিপিং একটি জনপ্রিয় অনলাইন বিজনেস ব্যবস্থা। ডোমেইন ফ্লিপিং হচ্ছে আপনি ন্যায্য দামে একটি ডোমেইন কিনবেন , এবং সে ডোমেইন টার্গেটেট কাস্টমারের কাছে অধিক দামে বিক্রি করবেন ।
আপনারা অবশ্যই জেনে থাকবেন যে ডোমেইন নাম একটি ইউনিক নাম। অর্থাৎ , যে ডোমেইন নাম আগে থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে ,সে নামের আর কোনো নাম তৈরি করা সম্ভব না। তাই, আপনি যখন কোনো ডোমেইন কিনতে যাবেন ,কখনো কখনো দেখবেন সে নামটি আগে থেকেই ইন্টারনেটে রয়েছে , ফলে আপনি ঐ নামটি কিনতে পারেন না।
কিন্তু এই ডোমেইনটির মেয়াদ যদি উর্ত্তীর্ন হয়ে যায়, তখন আবার সেটি আপনি কিনতে পারবেন।
তো কিছু জনপ্রিয় এবং মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া ডোমেইন নাম কিনে তা অনেক দামে বিক্রি করার বিসনেজ আপনি চাইলে শুরু করতেই পারেন।
২। ব্লগিং ব্যবসা
ব্লগিং মানে হলো নিজের ওয়েবসাইটে লেখালেখি করা। এবং সেখান থেকে নিজের পেসিব ইনকাম জেনারেট করা। ব্লগিং করে অনেক উপায়ে ব্যবসা করা যায়। আপনি যদি ভালোভাবে এটি করতে পারেন এবং আপনার ব্লগে মোটামোটি ভালো ভিজিটর আনতে পারেন , তাহলে এই ব্যবসাটি আপনার জন্য পারফেক্ট হতে পারে।
কেননা ব্লগিং করে সফল হওয়ার পর এতে আপনার আর কোনো মাথা ঘামাতে হয় না। বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি থেকে আয় হতেই থাকে। আর ব্লগিং করার মাধ্যমে যে কতো ভাবে আয় করা যায় , তা বলে শেষ করার মতো নয়।
প্রথমতো ব্লগিং করা আপনি বিভিন্ন এড নেটওয়ার্কের সাথে কাজ করতে পারবেন। আর আপনারা জানেন যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এড নেটওয়ার্ক হচ্ছে Google Adsense
আপনি ব্লগিং শুরু করে ব্লগিং করে আয় করতে পারেন। তাছাড়া ব্লগিং করে অনেক ধরনের মার্কেটিং করে আয় করা যায়।
৩। হোস্টিং প্রোভাইডার
আমরা সকলে জানি, একটি ওয়েবসাইট বানাতে হলে অবশ্যই একটি ডোমেইন লাগে এবং সে ডোমেইনটি ইন্টারনেটে লাইভ করার জন্য একটি হোস্টিং সার্ভারের প্রয়োজন হয়।
তাই যারা ব্লগিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কিংবা বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মালিক তারা অবশ্যই ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে থাকে । তো, আপনি একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং বেচার ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে এ সেবাটি প্রদান করতে পারেন। এটি খুবই লাভজনক একটি ব্যবসা।
বিভিন্ন ইন্টারনেশনাল হোস্টিং প্রোভাইডারদের কাছ থেকে রিসেলার হোস্টিং কিনেও আপনি এটি শুরু করতে পারেন।
৪। ই-কমার্স বিজনেস
আপনারা কি বলতে পারেন, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ধনি ব্যক্তির নাম কি?
উত্তরঃ জেফ বেজোস
আপনি কি জানেন তার পেশা কি?
সে হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ-কমার্স প্রতিষ্ঠান এমাজন ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা।
ই-কমার্স মানে হলো অনলাইনে বেচা-কেনা করা । আপনি চাইলে অনলাইনে বেচা-কেনার করার একটি প্রতিষ্ঠান দাড় করিয়ে ব্যবসা করতে পারেন। সারা বিশ্বে এখন মানুষ অনলাইনে কেনাকেটা করতে বেশি পছন্দ করে থাকে। তাই আপনি বিভিন্ন কম্পানির প্রোডাক্ট ক্রয় করে কিংবা তাদের সাথে একটি ডিল করে একটি বিসনেস দাড় করাতে পারেন এবং ভালো একটি ক্যরিয়ারের অধিকারি হয়ে যেতে পারেন।
৫। ডিজিটাল মার্কেটিং বিজনেস
ডিজিটাল মার্কেটিং বিজনেস্টি হলো যে আপনি যেকোনো একটি প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মার্কেটিং করবে এবং সেটি বিক্রি করে ভালো মানের একটি ব্যবসা করবেন।
মনে করেন এসইও এর কথা বলি। এসইও হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি বড় অংশ। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ অভিজ্ঞ হোন, তথা এসইও তে এক্সপার্ট হোন তাহলে আপনি একটি ওয়েবসাইট রেংক করাতে পারেবেন ।
এবং সে ওয়েবসাইট ভালো মানে বিক্রি করে দিতে পারবেন। বলতে পারেন , এটি কোথায় বিক্রি করবো। তো আমি বলবো আপনি চাইলে এটি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন। তাছাড়া আপনি ওয়েবসাইট বিক্রি করার জন্য আরেকটি ওয়েভসাইট বানিয়েও নিতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
তো এই ছিল আজকের টপিক। পোস্টটি কেমন লেগেছে তা নিচে জানাতে ভুলবেন না। আর আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিভিন্ন ট্রিপ্স এবং টিক্স এই ওয়েবসাইটে প্রকাশ করি ।
আমাদের সাইটটি সাবস্ক্রাইভ করার অনুরোধ রইলো আর আপনাদের কোনো প্রশ্ন করার থাকলে আমাদের ফেসবুক গ্রোপে জয়েন হতে পারেন।