ওয়েবসাইট তৈরির খরচ – ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে

অনেক মানুষ অনেক সময় প্রশ্ন করে থাকে যে ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কত (How Much Does it cost to start a blog)

আসলে এটি নির্ভর করে আপনি কেমন ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চান তার উপর। আপনি হয়তো একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের খরচ জানতে চাইবেন, কিংবা একটি ব্লগ ওয়েবসাইট খোলার খরচ কিংবা নতুন নিউজ পোর্টাল ওয়েবসাইট। যাই হোক না কেন, আজকে আপনাকে ওয়েবসাইট তৈরির খরচ সম্পর্কে সবকিছু বিস্তারিত জানাবো।

তো চলুন দেখে আসি ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে (Website Making Cost in Bangladesh)

সূচিপত্রঃ

ওয়েবসাইট তৈরির সম্ভাব্য খরচ

বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট তৈরির খরচ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তো আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন এবং সাধারন একটি সাইট বানাতে চান তাহলে খরচ পড়তে পারে ১৫০০ টাকা।

আর যদি উন্নতমানের একটি ডোমেইন-হোস্টিং দিয়ে মানসম্মত ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তাহলে সব মিলিয়ে খরচ পড়তে পারে ৯০০০ টাকার মত।

যদি আরো উন্নত এবং সুপার ফাস্ট শেয়ার হোস্টিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম, প্লাগিং দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে খরচ আরো বেড়ে যাবে এবং ১৫০০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে।

এখানে উল্লেখ্য যে, আপনাকে নিজে নিজে সাইট বানিয়ে নিতে হবে। আর যদি কোনো ওয়েব ডেভেলোপার দিয়ে বানাতে চান তাহলে আবার তাকে ৪-৫ হাজার টাকা বাড়তি দিতে হতে পারে।

আবার কিছু কিছু ওয়েবসাইট বানাতে তো লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে মূলত কি কি লাগে?

একটি ওয়েবসাইট বানাতে কি কি লাগে কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে কোথায় কোথায় আপনাকে খরচ করতে হবে, তা কি আপনি জানেন?

মূলত একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে এই ৬ টি জিনিস অবশ্যই লাগে। আর তা হলোঃ

  1. ডোমেইন
  2. হোস্টিং
  3. সি এম এস ( CMS)
  4. দক্ষতা
  5. ওয়ার্ডপ্রেস থিম
  6. ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন

ওয়েবসাইট তৈরির জন্য কোথায় কোথায় আপনাকে খরচ করতে হবে?

আমরা উপরে জানলাম, ওয়েবসাইট তৈরি করতে ৬ টি জিনিস লাগে।

কিন্তু ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে সি এম এস এ খরচ করতে হবে না। এবং আপনার যদি আগে থেকে দক্ষতা থাকে তাহলে কোনো ওয়েব ডিজাইনার ভাড়া করতে হবে না। তো এক্ষেত্রে আপনার দুই জায়গায় খরচ বেচে গেল।

তাহলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে মোট ৪ টি জায়গায় আপনাকে খরচ করতে হবে।

আর, তা হলোঃ

  1. ডোমেইন
  2. হোস্টিং
  3. ওয়ার্ডপ্রেস থিম
  4. ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন

কিন্তু, ওয়েবসাইট তৈরির জন্য নতুন অবস্থায় ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনে খরচ করাটা আপনার জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ন নয়।

তাহলে সর্বশেষে ওয়েবসাইট তৈরির খরচ দাড়াচ্ছে শুধুমাত্র-

  1. ডোমেইন
  2. হোস্টিং
  3. এবং, ওয়ার্ডপ্রেস থিম

তারপর আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেসে ফ্রি থিম ব্যবহার করেও একটি ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। তো এক্ষেত্রে আরো একটি খরচ বেচে যায়।

তো সব বাড়তি খরচ বাদ দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরির যে অবশিষ্ট খরচ থাকে তা হলোঃ

  1. ডোমেইন
  2. হোস্টিং

এই ২ টি জিনিস একটি ওয়েবসাইট বানাতে গেলে লাগবেই লাগবে। তাছাড়াও আপনার হাতে যদি কোনো টাকা না থাকে তাহলে ডোমেইন-হোস্টিং ছাড়াও বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

কিন্তু যদি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা আপনার উদ্দেশ্য থাকে, কিংবা আপনার প্রতিষ্টানের জন্য ওয়েবসাইট বানাতে চান , তাহলে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর উপদেশ আমি কখনোই দিবো না।

এখন তাহলে জেনে নিই, ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কোন কোন জায়গার করতে হয়-

১। ওয়েবসাইটের নাম বা ডোমেইন কেনার খরচ

ডোমেইন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। বিভিন্ন ডোমেইনের দাম বিভিন্ন রকম।

মূলত ডোমেইনের দাম নির্ভর করে এর এক্সটেনশনের উপর। আপনি যদি একটি .com ডোমেইন কিনতে চান তাহলে সর্বনিন্ম ৭০০ টাকা খরচ হবে।

আবার যদি .xyz ডোমেইন কিনেন তাহলে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা খরচ হবে।

আপনার কোন ডোমেইন এক্সটেনশন কেনা উচিত?

আমি বলবো অবশ্যই .com কেনা উচিত । কারন .com হচ্ছে পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডোমেইন এবং এটি দ্বারা একটি ওয়েবসাইটকে মনে রাখতে বেশি সুবিধা হয়।

তাছাড়া .com ডোমেইনের নবায়ন মূল্য (Renew Price) কম। দেখা গেছে, আপনি যদি প্রথম বছর ৭০০ টাকা দিয়ে .com ডোমেইন কিনেন তাহলে পরবর্তী বছর সেটি আপনাকে ৮০০ বা ৮৫০ টাকায় রিনিউ করতে হবে।

কিন্তু আপনি যদি ১০০ টাকা দিয়ে .xyz ডোমেইন কিনেন তাহলে পরবর্তী বছর সেটি ১২০০ টাকা দিয়ে রিনিউ করতে হবে। আবার এই ডোমেইনটি দেখতে তেমন ভালোও দেখা যায় না।

কোনো ডোমেইনের পরে যদি অচেনা কোনো এক্সটেনশন থাকে, তাহলে ভিজিটররা হ্যাকারের হাতে পড়ার ভয়ে ওয়েবসাইটে ক্লিক করতে চায় না।

তাই আমি বলবো .com এর পিছনে খরচ করা আপনার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

কোথায় থেকে কমদামে ডোমেইন কেনা যায়?

ডোমেইন কিনার সবচেয়ে উপযোগী কম্পানি হচ্ছে Namecheap.com বা Epik.com

কেননা এখানে সবচেয়ে কমদামে ডোমেইন পাওয়া যায় এবং এই কম্পানি টি ১০০% বিশ্বাসযোগ্য এবং রেজিস্টারকৃত।

কিন্তু এখান থেকে ডোমেইন কিনতে হলে আপনার একটি মাস্টার কার্ড বা ক্রেডিট কার্ড থাকা লাগবে। এখানে বর্তমানে .com ডোমেইনের মূল্য $8.69 যা বাংলাদেশি টাকায় ৮০০ টাকার এদিক সেদিক।

কিন্তু হয়তো আপনার কাছে ইন্টারনেশনাল কোনো কার্ড না থাকার কারনে নেমচিপ থেকে ডোমেইন কিনতে পারতেছেন না। তাহলে, কিভাবে বিকাশের মাধ্যমে ডোমেইন কিনবেন?

মনে রাখবেন, অন্য কারো মাধ্যমে নেমচিপ থেকে ডোমেইন কিনতে যাবেন না। আপনি যেই ডোমেইনটি কিনতে যাচ্ছেন ঐইটা যদি অন্য কাউকে বলে দেন, তাহলে সে ব্যাক্তিই ডোমেইন টা নিয়ে নিতে পারে। আপনি আর পরবর্তীতে সে ডোমেইনটি কিনতে পারবেন না।

তাহলে উপায়?

বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশি কম্পানি থেকে ডোমেইন কিনতে পারবেন।

বাংলাদেশি কম্পানি থেকে ডোমেইন কেনার খরচ কত?

আপনি যদি বাংলাদেশি সাইট থেকে ডোমেইন কিনেন তাহলে বিকাশ দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন।

মনে রাখবেন, বাংলাদেশে অনেকে ৩০০ টাকায় কিংবা ৪০০ টাকায় ডোমেইন কিনে দেওয়ার অফার দিয়ে থাকে। ভুলেও তাদের পাল্লায় পড়বেন না।

বাংলাদেশ থেকে যদি ডোমেইন কিনতে চান তাহলে আমি ২ টি কম্পানির কথা বলবো যেগুলো আমি ব্যবহার করেছি। তাদের কাস্টোমার সাপোর্ট খুব ভালো এবং বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট। আর এই দুটি হলোঃ Hostever and Exonhost.

আর এখান থেকে বিকাশ দিয়ে ডোমেইন কিনে নিতে পারবেন আর তার জন্য সর্বোচ্চ ৭০০-৮০০ টাকার মতো খরচ হবে।

Hostever এ .com ডোমেইনের দাম কত?

Hostever থেকে .com ডোমেইন কিনতে চাইলে প্রথম বছরে আপনার খরচ করতে হবে ৯.৩৮ ডলার বা ৮০০ টাকা। এবং পরবর্তী বছর রিনিউ করতে হবে ১০ ডলারে বা ৮৫০ টাকায়।

Exonhost এ .com ডোমেইনের দাম কত?

Exonhost থেকে .com ডোমেইন কিনতে হবে আপনাকে প্রথম বছরে খরচ করতে হবে ৭৫০ টাকা এবং পরবর্তী বছর তা রিনিউ করতে লাগবে ৯০০ টাকা।

কিভাবে ফ্রিতে .com ডোমেইন পেতে পারি?

প্রকৃতপক্ষে কোনো বিশ্বস্ত কম্পানিই .com ডোমেইন ফ্রিতে দেয় না। আপনি যদি ভুল করেও কোনো কম্পানি থেকে কোনো ডোমেইন ফ্রিতে নিয়ে কাজ করতে থাকেন তাহলে পরবর্তী বছর তা মোটা অংকের টাকা দিয়ে সেটি রিনিউ করতে হবে। এটি কিছু অসাধু হোস্টিং কম্পানির ফাদ।

তারা তাদের ইউজারদের বিনামূল্যে ডোমেইন দিয়ে থাকে এবং, অনেক প্ররিশ্রম করে যখন একটি সাইট রেংকে নিয়ে যায় তখন ইউজারদের কাচ থেকে টাকা মোটা অংকের টাকা দাবি করে থাকে।

তবে হ্যা, এমন অনেক কম্পানি রয়েছে আপনি যদি তাদের কাছ থেকে একটি হোস্টিং এক বছরের জন্য কিনেন তাহলে প্রথম বছরের জন্য আপনাকে একটি ফ্রি ডোমেইন তারা প্রোভাইড করবে। যেমন, Bluehost, Hostgator, Hostever, Exonhost, IT Nut Hosting, এবং ইত্যাদি।

এসকল কম্পানি থেকে হোস্টিং কিনলে এক বছরের জন্য .com ডোমেইন ফ্রি। আপনি যদি ১ বছরের জন্য হোস্টিং কিনেন তাহলে অধিকাংশ কম্পানিগুলোই আপনাকে একটি ফ্রি ডোমেইন দিবে।

২। ওয়েব হোস্টিং কেনার খরচ

ওয়েব হোস্টিং অনেক ধরনের হতে পারে। যেমনঃ Shared Hosting, VPS Hosting, Dedicated Server, Managed Hosting, ইত্যাদি।

তবে একটি ম্যানেজড হোস্টিং-এর দাম সর্বনিন্ম ৫ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা প্রতি বছর। তো এত টাকা খরচ করে তো আর ওয়েবসাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না!

ওয়েট!

কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য রয়েছে শেয়ার হোস্টিং। এখানে মূলত, একটি ডেডিকেটেড সার্ভার ৫-৬ জনে ভাগ করে চালিয়ে থাকে।

একটি শেয়ার হোস্টিং এর মূল্য সর্বনিন্ম ১৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০০ টাকা হয়ে থাকে।

অবশ্যই একটি ১৫০০ টাকার হোস্টিং-এর সাথে ৭০০০ টাকার হোস্টিং এর পার্থক্য থাকবে তা বুঝতেই পারছেন।

তবে, নতুন অবস্থা আপনার পর্যাপ্ত বাজেট থাকে না । হয়তো আপনি ৭০০০ টাকা দিয়ে হোস্টিং কিনতে চাইবেন না।

কিন্তু, ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে একটি ভালোমানের হোস্টিং নিতে হবে। কেননা হোস্টিং এর অনেক বৈশিষ্ট ওয়েবসাইটের উপর প্রভাব ফেলে। যেমনঃ Loading Speed, Server Uptime, Customer Support ইত্যাদি।

তাই আমার পরামর্শ থাকবে একটি হোস্টিং এর পেছনে কম করে হলেও ৩০০০ টাকা খরচ করার জন্য।

কম খরচে কোথা থেকে ভালোমানের হোস্টিং নিবেন?

আগেও বলেছি বাংলাদেশের ২ টি হোস্টিং কম্পানিকে আমি বিশ্বাস করি। একটি হলো Hostever এবং আরেকটি Exonhost

তবে এখানে উল্লেখ্য যে Exonhost এর দাম Hostever থেকে তুলনামূলকভাবে বেশি।

আপনি যদি Hostever থেকে হোস্টিং নেন তাহলে সর্বনিন্ম ১৫০০ টাকায় এক বছরের জন্য একটি হোস্টিং পেয়ে যাবেন , সাথে .com ডোমেইন ফ্রি।

আর যদি Exonhost থেকে হোস্টিং কিনেন তাহলে সর্বনিন্ম ২২৫০ টাকায় হোস্টিং পেয়ে যাবেন।

যেহেতু Hostever ভালো কম্পানি এবং কম দামে মাত্র ১৫০০ টাকায় ডোমেইন হোস্টিং পেয়ে যাচ্ছেন, সেহেতু কম খরচে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য Hostever থেকে BDIX Budget 5GB হোস্টিংটি নিতে পারেন।

আর, যদি মাঝামাঝি মূল্যে ডোমেইন-হোস্টিং নিতে চান তাহলে Advance Linux USA Hosting 2GB টা দেখতে পারেন।

তাহলে ওয়েবসাইট তৈরির জন্য ডোমেইন-হোস্টিং এর খরচ দাড়াচ্ছে-

সর্বনিন্মঃ ১৫০০ টাকা (Hostever)

সর্বোচ্চঃ ৭০০০ টাকা (Bluehost)

মাঝামাঝিঃ ৩০০০-৪০০০ টাকা (Hostever or exonhost)

৩। ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস থিম কেনার খরচ

একটি ওয়েবসাইটের জন্য ওয়েবসাইটের ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ন। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইনের জন্য দরকার হবে একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিমের।

আর ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক ধরনের থিম রয়েছে। এর মধ্যে কিছু থিম আছে আপনি বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন আবার কিছু থিম আপনাকে টাকা দিয়ে কিনে নিতে হবে।

অর্থাৎ, কিছু ফ্রি থিম এবং কিছু পেইড থিম রয়েছে। ফ্রি থিমগুলোতে আপনি সকল ধরনের সুবিধা পাবেন না এবং আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোফেশনাল চেহারা দিতে পারবেন না।

তাই, প্রোফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরির জন্য আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস থিম এর পিছনে কপপক্ষে ৬০ ডলার বা ৫১০০ টাকা খরচ করতে হবে।

কোন পেইড থিমটি ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য ভালো?

আপনি যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা চিন্তা করেন এবং একটি পেইড থিম ব্যবহার করতে চান তাহলে ২ টি থিম আমি আমার মন থেকে সাজেস্ট করবো।

আর, তার একটি হলো Jannah theme আরেকটি হলো Newspaper theme.

আসলে এই দুইটি থিম ব্লগের জন্য খুবই ভালো এবং সহজেই কাস্টমাইজ করা যায়।

এমাজন এফিলিয়েট ওয়েবসাইটের জন্য কোন থিমটি ভালো?

আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে এমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের একটি প্রফেশনাল ডিজাইন খুবই দরকারি।

আর এমাজন এফিলিয়েট সাইটের জন্য যেই থিমটি রিকমেন্ডেড তা হল Rehub যার মূল্য ৫৯ ডলার।

ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য কোন থিমটি কিনব?

বিভিন্ন থিম দিয়ে ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানানো যায়। আপনি চাইলে ফ্রি থিম Astra দিয়েও ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। তবে ফ্রি থিম দিয়ে প্রোফেশনাল হবে না এটা আগেও বলেছি।

তাহলে প্রিমিয়াম কোন থিম ই-কমার্স সাইটের জন্য ভালো?

  1. Avada
  2. Enfold

ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য এই ২ টার যেকোনো একটা নিতে পারেন। এবং এই ২ টা থিমের খরচই হলো ৬০ ডলার।

৪। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন কেনার খরচ কত

একটি ওয়েবসাইট সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিনের গুরুত্ব অপরিসীম।

ওয়ার্ডপ্রেসের অধিকাংশ প্লাগিনগুলো বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। কিন্তু, কিছু প্লাগিন রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে হলে টাকা খরচ করতে হয়।

WP Rocket: এটি হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের স্পিড বাড়ানোর একটি প্লাগিন। আপনি যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট খুলতে চান এবং এবং এসইও করে গুগলে রেংক করাতে চান, তাহলে আপনার সাইটের স্পিড অনেক বেশি হতে হবে। আপনি WP Rocket ব্যবহার করে স্পিড বাড়িয়ে নিতে পারবেন। এই প্লাগিনটির দাম $49/year.

Elementor pro : এটি হলো একটি পেইজ বিল্ডার প্লাগিন। আপনার ইচ্ছামতো যেকোনো ওয়েব পেজ তৈরি করতে পারবেন এই প্লাগিনের মাধ্যমে। কিন্তু, এর সকল ফিচার পেতে গেলে আপনাকে Elementor pro কিনে নিতে হবে। যার মূল্য $49/year . তবে আপনি যদি প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করেন তাহলে এটির পেছনে খরচ করতে হবে না। কারন। অধিকাংশ প্রিমিয়াম থিমগুলোতে নিজস্ব পেইজ বিল্ডার প্লাগিন থাকে

তাছাড়াও আরো কিছু প্লাগিন রয়েছে, যেমন ধরুন সাইট বেক-আপ রাখার প্রিমিয়াম প্লাগিন আছে, ওয়েবসাইটের এসইও করার জন্য রয়েছে Yoast SEO plugin. এসব প্লাগিনের পেছনে আপনাকে আরো ১০০ ডলারের মতো খরচ করতে হতে পারে।

কিন্তু এখানে উল্লেখ যে, এসব প্লাগিন একটি ওয়েবসাইট বানানোর জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ন নয়। এইগুলো ছাড়াও সাইট তৈরি করতে পারবেন।

ওয়েবসাইট তৈরির সর্বমোট খরচ

উপাদানসাধারনউন্নতঅতি উন্নত
ডোমেইন+হোস্টিং১৫০০ টাকা৪০০০ টাকা৭০০০ টাকা
ডোমেইন+হোস্টিং+থিম৪৫০০ টাকা৯০০০ টাকা১২০০০ টাকা
ডোমেইন+হোস্টিং+থিম+..৫০০০ টাকা১১০০০টাকা১৫০০০ টাকা

ওয়েবসাইট তৈরির সর্বোমোট খরচকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

শুধুমাত্র ডোমেইন-হোস্টিং এর খরচ

শুধুমাত্র ডোমেইন এবং হোস্টিং দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে ১৫০০-৭০০০ টাকা খরচ হবে। এক্ষেত্রে হোস্টিং এর পার্থক্যের কারনে দামের তারতম্য দেখা যায়

ডোমেইন-হোস্টিং+থিম এর খরচ

ডোমেইন, হোস্টিং এর সাথে যদি আপনি একটি প্রিমিয়াম লেভেলের ওয়ার্ডপ্রেস থিম রাখতে চান তাহলে আপনার খরচ হবে ৪৫০০-১২০০০ টাকা।

এক্ষেত্রে সাধারন ওয়েবসাইটের জন্য ৩০ ডলারের থিম এবং উন্নত ওয়েবসাইটের জন্য ৬০ ডলারের থিম ব্যবহার করতে পারেন।

ডোমেইন-হোস্টিং+প্রিমিয়াম থিম + অন্যান্য জিনিসসহ খরচ

যদি, ডোমেইন, হোস্টিং, প্রিমিয়াম থিম, প্লাগিন + অন্যসবকিছু দিয়ে সাধারন ওয়েবসাইট একটি ওয়েবসাইট বানাতে চান তাহলে আপনার খরচ দাড়াচ্ছে ৫০০০ টাকা। এক্ষেত্রে ডোমেইন-হোস্টিং ১৫০০ টাকা, থিম +২৫০০ টাকা। আর বানানোর খরচ মিলে ৫০০০ টাকা।

আর যদি উন্নত মানের ওয়েবসাইট কিংবা ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে খরচ পড়বে ১৫০০০ টাকা

সর্বশেষ কথা

আশা করি ওয়েবসাইট তৈরির খরচ সম্পর্কিত পরিপূর্ন একটি ধারনা পেয়ে গেছেন।

আপনি কেমন ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চান? এবং ওয়েবসাইত তৈরির জন্য আপনার কত টাকা খরচ করার সামর্থ্য আছে? নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

Avatar of Shakib Hasan

Blogger and SEO Expert. Founder of Techbdtricks. I always try to explore something new and let the people know about that. Keep me in your prayers.

13 thoughts on “ওয়েবসাইট তৈরির খরচ – ওয়েবসাইট বানাতে কত টাকা লাগে”

  1. ভাই আমি একটা earning ওয়েবসাইট বানাতে চাই….
    budget: 200k
    freelancingview.com
    capitalework.com
    picoworkers.com

    Reply
    • Very Big Budget. ভালো কোনো একজন ডেভেলোপারের কাছে যেতে পারেন।

      Reply
  2. আপনার লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি এফলিয়েট মার্কেটিং করতে চাই। বাজেট একটু কম। কোন সাইট থেকে ডোমেইন-হোস্টিং কিনবো?

    Reply
    • যদি আপনার কাছে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড অথবা মাস্টারকার্ড থাকে তাহলে কম বাজেটে Hostinger থেকে কিনেন।
      আর যদি বাংলাদেশী প্রোভাইডার থেকে কিনতে চান তাহলে Exonhost অথবা Hostever থেকে কিনতে পারেন।

      Reply
  3. আমি একটি ওয়েব সাইট বানাতে চাই Farm House Agro. নামে। আমাকে এখন কি করতে হবে?

    Reply
    • আপনাকে দেখতে হবে Farmhouseagro.com ডোমেইনটি এভেইলএবেল আছে কিনা। এটি আপনি Bluehost থেকে চেক করতে পারবেন।

      তারপর আমাদের ওয়েবসাইটে একটি পোস্ট আছে “ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি” সেটি ফলো করে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলুন।

      Reply
  4. ধন্যবাদ আপনার মতমতের জন্য। যদি আপনাদের মাধ্যমে ওয়েব সাইট তৈরী করতে চাই আমাকে কি তথ্য সরবরাহ করতে হবে এবং ব্যয় কত হবে।

    Reply
  5. আপনাদের মাধ্যমে তৈরী করতে চাই। কি তথ্য সরবরাহ করতে হবে এবং ব্যয় কত হবে।

    Reply
    • আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চান সবকিছু বিস্তারিত উল্লেখ করে আমাদের সাথে ফেসবুক অথবা ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করুন।

      Reply
  6. আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার, এই টাইপের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে, যেখানে দেশের মধ্যে কাজ আদান প্রদান হবে মানে সেলার এবং বাইয়ার সবাই দেশি, পেমেন্টস গেটওয়ে থাকতে হবে। এমন একটি অতি উন্নত বা মাঝারি মানের সাইট তৈরি করতে কত খরচ হবে

    Reply
    • এই ধরনের সাইট বানাতে মোটামোটি ৩০ হাজার টাকার মতো লাগতে পারে। আর এই সকল সাইটগুলো Laravel ব্যবহার করে বানালে ভালো স্পিড,সিকোরিট এবং ইউজার এক্সপ্রেরিয়েন্স পাওয়া যায়। এবং শেয়ার্ড হোস্টিং এর পরিবর্তে আপনাকে ক্লাউড হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে, তাই খরচ আরো বাড়বে।

      Reply

Leave a Comment