ওয়েব হোস্টিং কি? হোস্টিং এর দাম ও কেনার কৈশল

ওয়েব হোস্টিং কি? ওয়েব হোস্টিং হলো এক ধরনের ভার্চুয়াল স্পেস যেটি ব্যবহার করে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। আজকের আর্টিকালে আমরা ওয়েব হোস্টিং সম্বন্ধে বিস্তারিত জানবো। যেমনঃ কি এই ওয়েব হোস্টিং, হোস্টিং এর দাম কত টাকা, কিভাবে অনলাইন থেকে ক্রয় করতে হয়, উদ্দেশ্য লক্ষ সবকিছু।

মোবাইলে অথবা ল্যাপটপে অডিও-ভিডিও কিংবা ফটো রাখার জন্য যেমন ম্যামুরীর প্রয়োজন ঠিক তেমনি ইন্টারনেটের মধ্যে ওয়েবসাইট রাখার জন্য একটি ম্যামুরী বা স্পেস প্রয়োজন হয়।

ইন্টারনেটের এই স্পেস বা স্টোরেজকে বলা হয় ওয়েব হোস্টিং

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে ওয়েব হোস্টিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। একটি ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে প্রকাশ করার জন্য ওয়েব হোস্টিং অত্যাবশ্যকীয়।

অনলাইনে এরকম হাজারো কম্পানি আছে যারা এই ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস দিয়ে থাকে। আপনি এসকল হোস্টিং এর দাম জেনে এক বছরের জন্য হোস্টিং কিনতে পারবেন।

কিংবা আপনি চাইলে ২ বছর বা ৩ বছরের জন্যও হোস্টিং কিনতে পারবেন।

এক বছরের জন্য যদি ১ জিবি একটি হোস্টিং এর দাম যদি ১০০০ টাকা হয় এবং আপনি যদি তা ২ বছরের জন্য নিয়ে নেন তাহলে কিছু টাকা ডিস্কাউন্ট পাবেন। ফলে ২ বছরের হোস্টিং এর দাম হবে আনুমানিক ১৮০০ টাকা।

ডোমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং আপনি একই কম্পানি থেকে কিনতে পারবেন।

ওয়েব হোস্টিং কি

ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবসাইটকে লাইভ করানোর জন্য ব্যবহৃত ওয়েব স্পেস বা সার্ভারকে ওয়েব হোস্টিং বলে

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে ২ টি জিনিসের দরকার হয়। একটি হলো ডোমেইন নাম এবং আরেকটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভার।

ডোমেইন হলো কোনো ওয়েবসাইটের নাম। আর হোস্টিং হলো ওয়েবসাইটকে লাইভ করানোর জন্য স্পেস বা ম্যামুরী

চলুন একটা উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টি আরো বেশি স্পষ্ট করি,

ধরুন, আপনি একটি ভিডিও তৈরি করেছেন এবং ভিডিওটি আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক এর মধ্যে রেখেছেন। তাহলে, অবশ্যই আপনি ছাড়া ভিডিওটি আর কেউ দেখতে পারবে না।

কিন্তু, ঐ ভিডিওটি যদি ওয়েব ডিস্ক (ওয়েব সার্ভার বা ওয়েব হোস্টিং সার্ভার) এর মধ্যে রাখতেন, তাহলে পৃথিবীর সবাই এটি দেখতে পারতো। যেমনটা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করলে সবাই দেখতে পারে।

ঠিক তেমনি আপনি যদি কোডিং করে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং সেটি কম্পিউটারের মধ্যে রাখেন, তাহলে সেই ওয়েবসাইট আপনি ছাড়া আর কেউ দেখতে পাবে না। কিন্তু, যদি ওয়েবসাইটটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভারের মধ্যে রাখেন তাহলে পৃথিবীর সবাই সেটি এক্সেস করতে পারবে।

ওয়েবসাইট হোস্টিং এর উদ্দেশ্য কি

ওয়েব হোস্টিং এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে হোস্ট করানো যাতে সবাই সেটি ব্যবহার করতে পারে।

আমরা যখন নিজেদের কোনো ওয়েবসাইটকে ইন্টারনেটে লাইভ করাতে চাই তখন ওয়েবসাইট হোস্টিং সার্ভারের দরকার হয়।

যেমন ধরুন, কেউ কেউ ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করতে চায়, আবার কেউ নিজস্ব প্রতিষ্টানের নামে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চায়, প্রত্যেক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানেরও ওয়েবসাইটে দরকার পরে, এবং ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে দরকার হয় একটি ওয়েব হোস্টিং এর।

ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার ও কি কি

হোস্টিং মূলত ৬ প্রকার। যথা

  1. শেয়ার হোস্টিং বা Shared hosting
  2. ভিপিএস হোস্টিং বা VPS hosting (Virtual private server)
  3. ডেডিকেটেড সার্ভার হোস্টিং বা Dedicated server hosting
  4. ক্লাউড হোস্টিং বা Cloud hosting
  5. মেনেজ হোস্টিং বা Managed Hosting

এদের মধ্যে শেয়ার হোস্টিং এর দাম তুলনামূলক কম। কেননা, শেয়ার হোস্টিং সার্ভার অনেক মানুষ একত্রে ব্যবহার করে। আর ম্যানেজ হোস্টিং কিংবা ডেডিকেটেড ওয়েব হোস্টিংগুলোর এর দাম অনেক বেশি হয়ে থাকে।

শেয়ার হোস্টিং কি?

যে হোস্টিং অনেক মানুষ একসাথে শেয়ার করে ব্যবহার করে তাকে শেয়ার হোস্টিং বলে।

এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সার্ভারের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪-১০ জন হয়ে থাকে। একটি হোস্টিং এর যে যে সুবিধা থাকে তার সবগুলো এই ১০ জন মিলে ভাগ করে নেয়।

শেয়ার হোস্টিং এর দাম তুলনামূলকভাবে কম। বাংলাদেশের শেয়ার হোষ্টিং এর দাম মূলত ৪০০ টাকার এদিক-সেদিক হয়।

মূলত শেয়ার হোস্টিং এবং ভিপিএস হোস্টিং এর মধ্যে পার্থক্য একটাই। আর তা হলো, শেয়ার হোস্টিং এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা থাকে ৪-৫ জন, আর ভিপিএস হোস্টিং এর অন্য কোন ব্যবহারকারী থাকে না।

আমরা জানি, একটি ওয়েবসাইটে বেশি পরিমানে ভিজিটর আসলে সাইট লোড নিতে বেশি সময় নেয়। আর যেহেতু শেয়ার হোস্টিং এ অনেকগুলো ওয়েবসাইট হোস্ট করা থাকে এবং প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের ভিজিটর একটি নির্দিষ্ট সার্ভারে আসে, তাই শেয়ার হোস্টিং তুলনামূলক কম গতিশীল।

কিন্তু, আপনি যদি ভিপিএস সার্ভার ক্রয় করেন, তাহলে আপনার সাথে অন্য কারোর শেয়ার থাকবে না। ফলে আপনার সাইট অপেক্ষাকৃত বেশি গতিশীল হবে।

মূলত, ভিপিএস হোস্টিং কিছু মানুষ শেয়ার করে ব্যবহার করাকেই শেয়ার হোস্টিং বলে।

হোস্টিং এর দাম কত

বিভিন্ন হোস্টিং এর দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। যেমন শেয়ার হোস্টিং এর দাম মূলত ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকা প্রতিমাস।

যাদের ছোট ওয়েবসাইট রয়েছে তারা এই শেয়ার হোস্টিং ব্যবহার করে থাকে।

আবার আপনি যদি ভালোমানের ভিপিএস কিংবা ডেডিকেটেড ওয়েব সার্ভার কিনতে চান, তাহলে আপনাকে প্রতিমাসে ৮,০০০ -১০,০০০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।

বিশ্বের বড় নামিদামি কম্পানি এই ভিপিএস কিংবা ডেডিকেটেড ওয়েব সার্ভার ব্যবহার করে থাকে।

আপনাকে যদি প্রশ্ন করি, কোনো ওয়েব হোস্টিং এর দাম কি ৫০০০ ডলার বা ৪ লাখ লাখ টাকা প্রতিমাস হওয়া সম্ভব?

আপনি রীতিমতো অভাক হয়ে যাবেন। ৪ লাখ টাকা প্রতিমাস! কিভাবে সম্ভব!

তাহলে তো প্রতি বছরে এর দাম দাঁড়ায় ৪৮ লাখ টাকা।

হ্যা, কিছু ম্যানেজ হোস্টিং এর দাম ৪৮ কিংবা ৫০ লাখ টাকা প্রতিবছর হতে পারে।

নিচের ছবি থেকে তা দেখে নিন-

সবচেয়ে দামি হোস্টিং
ওয়েব হোস্টিং কি? হোস্টিং এর দাম ও কেনার কৈশল 3

এখানে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন LiquidWeb এর ম্যানেজ হোস্টিং এর দাম প্রতিমাসে ৫২৯৯ ডলার বা ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। যার বছরে দাম দাঁড়ায় ৫৪ লাখ টাকা।

তো, কারা এতো দামি হোস্টিং ব্যবহার করে?

যাদের বড় কোনো কম্পানি আছে। যাদের মিলিয়ন-মিলিয়ন ভিজিটর দরকার তারাই এই ধরনের হোস্টিং ব্যবহার করে। যেমন এমাজন, আলিবাবা, ইত্যাদি।

ওয়েব হোস্টিং কেনার উপায়

ওয়েব হোস্টিং বিভিন্ন কম্পানি থেকে কিনে নিতে হয়। সারা বিশ্বে অনেক হোস্টিং প্রোভাইডার রয়েছে। যার মধ্যে BlueHost, Hostgator, Hostinger অন্যতম।

তাছাড়া বাংলাদেশেও অনেক ভালো ভালো ওয়েব হোস্টিং কম্পানি রয়েছে। বাংলাদেশের ভালো হোস্টিং কম্পানির মধ্যে Hostever এবং Exonhost অন্যতম।

আপনি এদের যেকোনো একটি কম্পানি থেকে হোস্টিং কিনে নিয়ে ব্যবহার পারবেন। এখানে উল্লেখ্য যে, হোস্টিং লাইফটাইমের জন্য কেনা যায় না। বরং, নির্দিষ্ট মেয়ারে ওয়েব হোস্টিং সার্ভার যেকোনো কম্পানি থেকে কিনে নিতে হয়।

আপনি সর্বনিন্ম ১ বছর মেয়াদী হোস্টিং নিতে পারবেন এবং পরবর্তী বছর টাকা দিয়ে আবার সেটি নবায়ন করতে হবে।

হোস্টিং কেনার আগে যা যা দেখে নিতে হবে

হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে কিছু বিষয় দেখে নিতে হবে। সর্বপ্রথম দেখে নেওয়ার বিষয়টি হলো আপনি কোনো কম্পানি থেকে হোস্টিং কিনছেন নাকি কোনো ব্যাক্তি থেকে।

অনেক সময় অনেক ব্যাক্তি খুব অল্পমূল্যে হোস্টিং প্রোভাইড করার অফার দিয়ে থাকে। আপনাকে ঐসব ব্যাক্তি থেকে দূরে থাকতে হবে।

দ্বিতীয়ত, আপনাকে দেখে নিতে হবে হোস্টিং এর কাস্টমার সাপোর্ট কেমন।

তাছাড়া আরো কয়েকটি দেখে নেওয়ার বিষয় হলোঃ

  • কম্পানি আপনাকে মানি-বেক-গ্যারান্টি দিচ্ছে কিনাঃ ভালো হোস্টিংগুলো সাধারনত ৩০ দিনের মানি বেক গ্যারান্টি দিয়ে থাকে।
  • হোস্টিং-এ কতটি ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারবেনঃ অনেক সময় দেখা যায়, কিছু হোস্টিং কম্পানি ১০০ জিবি হোস্টিং বলে বিজ্ঞাপন দেয়। কিন্তু সেখানে একটির বেশি ওয়েবসাইট হোস্ট করা যায় না। তাহলে আপনার ১০০ জিবি হোস্টিং নিয়ে কি লাভ হবে? উল্লেখ্য যে, Techbdtricks.com ওয়েবসাইটটি কেবল মাত্র ৪০০ এমবির। এবং এটি ২ জিবির একটি হোস্টিং এ হোস্ট করা।
  • ব্যান্ডওইথ কত জিবিঃ আসলে, আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরের উপর ব্যান্ডওইথ নির্ভর করে। আপনার ওয়েবসাইটে যদি বেশি পরিমানে ভিজিটর আসে, তাহলে আপনার বেশি ব্যান্ডওইথ প্রয়োজন। আমি যেই হোস্টিং ব্যবহার করি তার ব্যান্ডওইথ ১০০ জিবি। এবং মোট ৫ হাজার ভিজিটরের জন্য আমার ৫% অর্থাৎ ৫ জিবি ব্যান্ডওইথ খরচ হয়েছে।

এই কয়েকটি বিষয় দেখে নিলেই আশা করি হয়ে যাবে।

বাংলাদেশের সেরা হোস্টিং তালিকা

বর্তমানে বাংলাদেশেও বিভিন্ন হোস্টিং কম্পানি রয়েছে। একটি ওয়েবসাইটের জন্য ওয়েব হোস্টিং অতীব গুরুত্বপূর্ন। আপনি যদি কোথাও থেকে কম দাম দিয়ে হোস্টিং ক্রয় করে, তাহলে সেই হোস্টিং-এর ডাউনটাইম, লোডিং স্পিড, এবং কাস্টমার সার্পোট খুবই খারাপভাবে আপনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

তাই, আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান, তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে একটি ভালো মানের হোস্টিং নিশ্চিত করতে হবে।

নিচে কয়েকটি বাংলাদেশি সেরা হোস্টিং এর দাম উল্লেখ করা হলোঃ

providerHosting priceHosting typeStorage
1.Exon Host২২৫০ টাকা/বছরBasic5gb
2.Hostever১৫০০ টাকা/বছরBasic5gb
3.Web Host BD১৫০০ টাকা/বছরBasic2gb
4.MyLightHost3000 টাকা/বছরBasic5gb
5.HostMight২০০০ টাকা/বছরstandard5gb
ছকঃ হোস্টিং-এর মূল্য তালিকা

আমাদের Techbdtricks.com ওয়েবসাইটটি Hostever এর মধ্যে হোস্ট করা আছে। এবং খুব ভালো সার্ভিস পাচ্ছি।

হোস্টিং কিভাবে কাজ করে

বিভিন্ন ওয়েব হোস্টিং সংস্থা রয়েছে যারা ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট হোস্ট করার জন্য তাদের পরিষেবা ভাড়া দেয়।

এসব হোস্টিং পরিষেবা ক্রয় করে আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করলে; যখন কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আপনার ওয়েব ঠিকানা (ডোমেইন নাম অথবা আইপি এড্রেস) লিখে ব্রাউজারে সার্চ করবে তখন তাদের কম্পিউটার আপনার ওয়েবসাইট যে সার্ভারে হোস্ট করা থাকে তার সাথে সংযোগ স্থাপন করে।

তারপর, সেই সার্ভার আপনার স্টোরেজের সংরক্ষিত ফাইলগুলো ব্যবহারকারীকে পরিবেশন করে। এখানে ফাইল হতে পারে কোনো একটি ভিডিও, অডিও, ছবি অথবা একটি ওয়েবসাইট।

আপনি আপনার হোস্টিং স্টোরেজে যাই রাখুন না কেন, সেটি ভিজিটরের মধ্যে পরিবেশন করবে।

এভাবেই মূলত ওয়েব হোস্টিংগুলো কাজ করে ।

ওয়েব হোস্টিং এর গুরুত্ব

একটি হোস্টিং ওয়েবসাইটের উপর অনেকভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। প্রথমত হোস্টিং ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিডের জন্য গুরুত্ব।

আপনি যদি এমন কোনো শেয়ার হোস্টিং ক্রয় করেন যেখানে আপনার সাথে আরো ২০ জন মানুষ শেয়ারে থাকে, তাহলে স্বভাবতই আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কম থাকবে। আর ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড বেশি থাকা অন-পেইজ এসইও-এর জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ন।

যদি আপনার ওয়েবসাইট লোড নিতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নেয়, তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে রেংক করাবে না। এতে করে আপনি অনেক অনেক ভিজিটর থেকে বঞ্চিত হবেন।

তাছাড়া, কিছু ওয়েব হোস্টিং রয়েছে যা দিনে ১-২ ঘন্টা ডাউন থাকে।

তাহলে, যেই ওয়েবসাইটে ১ ঘন্টায় ১০ হাজার ভিজিটর আসে, সে সার্ভার ডাউন থাকার কারনে ১০ হাজার ভিজিটর হারালো। তো, এই দিক দিয়েও হোস্টিং-এর গুরুত্ব অপরিসীম।

তাছাড়া, হোস্টিং এ আপনার ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ন ফাইলগুলো থাকবে। আপনি যদি অবিশ্বস্ত কোনো প্রোভাইডার থেকে হোস্টিং কিনেন তাহলে সেই ফাইলগুলো নিয়ে তারা আপনাকে ক্ষতির সম্মুখিনও করতে পারে।

এখানে উল্লেখ্য যে, আপনি যেই হোস্টিং ব্যবহার করবেন, তাদের হাতে আপনার ওয়েবসাইটের সার্ভারের এক্সেস থাকে। ওরা চাইলেই আপনার ওয়েবসাইটের যেকোনো জিনিস পরিবর্তন করতে পারে, এক্সেস করতে পারে।

সর্বশেষ যে গুরুত্বের কথা বলবো সেটি হলো কাস্টমার সাপোর্ট। কিছু কিছু হোস্টিং প্রোভাইডার রয়েছে, আপনি যদি আজকে তাদেরকে মেসেজ দেন তারা কালকে আপনাকে রিপ্লাই দিবে।

তো নতুন অবস্থায় আপনার অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে। এবং এসব সমস্যা সমাধানের জন্য হোস্টিং প্রোভাইডারের সাপোর্ট একান্তই প্রয়োজন হবে। তো আপনি যদি তাদের কাছ থেকে ভালো সাপোর্ট না পান তাহলে আপনার ওয়েবসাইট নিয়ে অনেক সময় অনেক সমস্যায় পড়তে হবে।

তো, আশা করি ভালো হোস্টিং এর গুরুত্ব কি তা বুঝতে পেরেছেন।

কিভাবে ওয়েবসাইট হোস্ট করতে হয়

আপনি একটি হোস্টিং সার্ভিস কিনলে আপনাকে একটি সি-প্যানেল দেওয়া হবে। আপনি শুধুমাত্র সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করলেই আপনার ওয়েবসাইট হোস্ট করা হয়ে যাবে।

আপনি যখন হোস্টিং এর পেমেন্ট দিয়ে দিবেন, সাথে সাথে আপনার জিমেইলে একটি মেসেজ আসবে। সেই মেসেজে আপনার সি-প্যানেলের এড্রেস এবং পাসওয়ার্ড দেওয়া থাকবে। এবং এটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই সি-প্যানেলে প্রবেশ করতে পারবেন।

অনেক সময় মেসেজ ইনবক্সে আসে না। তার জন্য আপনাকে আপনার জিমেইলের স্পেম ফোল্ডার চেক করতে হবে।

সর্বশেষ কথা

ওয়েব হোস্টিং কি , কত প্রকার, কিভাবে কিনতে হয় আশা করি এই স্বমন্ধে এক পরিপূর্ন গাইডলাইন পেয়েছেন।

তারপরও যদি কোনো প্রকারের প্রশ্ন থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি কথা দিচ্ছি সবার প্রশ্নের উত্তর দিবো।

Avatar of Shakib Hasan

Blogger and SEO Expert. Founder of Techbdtricks. I always try to explore something new and let the people know about that. Keep me in your prayers.

4 thoughts on “ওয়েব হোস্টিং কি? হোস্টিং এর দাম ও কেনার কৈশল”

  1. আপনার আর্টিকেল গুলো পড়ে অনেক কিছু জানতে পারতেছি ভাই। একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন – আপনার এই এই ওয়েবসাইট টি তৈরি করতে সব মিলিয়ে কতো খরচ হইছে?
    অনেক আগে থেকেই আমার একটা নিজস্ব ওয়েবসাইট খোলার ইচ্ছে ছিলো, আছে!

    Reply
    • প্রথমত বলি, ওয়েবসাইটটি আমি আরেকজনের কাছ থেকে কিনে নিয়েছিলাম। ৪৫০ টাকা দিয়ে ডোমেইন এবং হোস্টিং এর মেয়াদ ছিল ৮-৯ মাস।
      পরবর্তী বছর ডোমেইন এবং হোস্টিং রিনিউ করতে খরচ হয়েছি ৩০০০ টাকার মতো।

      আমি যার কাছ থেকে কিনেছিলাম, সে ১৭ টি কন্টেন্ট সহ বিক্রি করেছিল, কিন্তু সবগুলো কপি কন্টেন্ট ছিল, তাই এডসেন্স পেতে ঝামেলা হয়েছিল। তারপর সবকিছু ডিলিট করে আমি নিজে নিজেই এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। এবং আরো অনেক দূরে যাওয়ার স্বপ্ন।

      আপনার নিউজ ওয়েবসাইট যেন সুন্দরভাবে খুলতে পারেন। দোয়া রইল

      Reply
  2. সত্যি আপনার আর্টিকেল পড়ে নিঃসন্দেহে আমি সহ অনেকে উপকৃত হয়েছে। ভাইয়া একটা জিনিস জানার ছিল তা হলো আপনার ডোমেইন এবং হোস্টিং কি একি কোম্পানি থেকে কিনা? আর Hostever provider থেকে কি ডোমেইন ও হোস্টিং একসাথে কেনা বব্যস্থা আছে?

    Reply
    • ধন্যবাদ কমেন্ট করার জন্য।
      না, আমার ডোমেইন হোস্টিং একই কম্পানি থেকে কিনা না।
      হ্যা হোস্টিভার সহ যেকোনো হোস্টিং কম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং একসাথে কেনা যায়।

      এমনকি, ১ বছরের জন্য হোস্টিং কিনলে অনেক কম্পানি একটি ডোমেইন ফ্রিতে দেয়।

      Reply

Leave a Comment