google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৪ (এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল)

আর্টিকেল বলুন কিংবা কন্টেন্ট, একটি ওয়েবসাইটের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ন উপাদান। আপনার ওয়েবসাইটে যদি Quality Content বা এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল না থাকে তাহলে গুগল থেকে অর্গানিক ভিজিট পাবেন না। তাই আজকে আপনাদের সাথে ব্লগে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করবো যে নিয়মগুলো অনুসরন করলে আপনার কন্টেন্টগুলো গুগলে র‍্যাংক করবে ইনশাআল্লাহ।

আমরা অনেকেই ব্লগিং শুরু করি, কিন্তু সঠিক নিয়ম মেনে ব্লগিং না করার কারনে শেষে অনেক বিপদে পড়তে হয়। তার মধ্যে একটি হচ্ছে ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম বা সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করা।

একটি পারফেক্ট আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ, আর্টিকেলের টাইটেল, প্যারাগ্রাফ,হেডিং ট্যাগ, ইমেজ, মেটা ট্যাগ ইত্যাদি বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ন।

ব্লগিং করে সফলতা পেতে গেলে আপনাকে অবশ্যই এই নিয়মগুলো মেনে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে। তাই আপনি যদি আর্টিকেল নিয়ে ভবিষ্যতে কোনো বিপদে পড়তে না চান তাহলে অবশ্যই এই প্রবন্ধ থেকে ব্লগ কন্টেন্ট লেখার নিয়ম ভালোকরে পড়ে নিবেন।

আপনি চাইলে আপনার ব্লগের জন্য আমাদের কাছ থেকেও আর্টিকেল রাইটিং সার্ভিস নিতে পারেন। আপনি যদি প্রোফেশনালভাবে ব্লগিং করতে চান তাহলে আমাদের সার্ভিসগুলো দেখবেন।

এখন চলুন মূল আলোচনায় প্রবেশ করি।

ব্লগে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আমাদের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লেখার মূল উদ্দেশ্য কি? সেটি হচ্ছে ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা। আর বিভিন্নভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা যায়, তার মধ্যে একটি হচ্ছে গুগল থেকে অর্গানিক ভিজিটর।

আর আর্টিকেলের মাধ্যমে গুগল সার্চ থেকে অর্গানিক ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য আপনাকে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হবে। অর্থাৎ এসইও এর নিয়ম অনুসারে আর্টিকেল লিখতে হবে। তো, চলুন কিভাবে একটি ব্লগের জন্য এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয় তা দেখে নেওয়া যাক।

এসইও কি, কত প্রকার এবং কিভাবে এসইও করতে হয়

১। প্রথমে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করুন

আর্টিকেল লেখা শুরু করার আগে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে নেওয়া জরুরী। যদি প্রশ্ন করেন কোনো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কোনটি , উত্তর হলো কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করা।

কি-ওয়ার্ড রিসার্চ কি এবং কিওয়ার্ডের প্রকারভেদ

আপনি যদি এমন একটি বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করেন যেটা লিখে মানুষ গুগলে সার্চ করে না, তাহলে আপনার কন্টেন্ট র‍্যাংক করলেও আপনার লাভ হবে না। কারন সেখান থেকে কোনো ভিজিটর পাবেন না।

আবার যদি এমন কি-ওয়ার্ড বাছাই করেন যেটা নিয়ে আলরেডি অনেক বড় সাইটগুলো লেখালেখি করছে তাহলে আপনার কন্টেন্ট র‍্যাংক করবে না। কারন আপনি তাদের সাথে কম্পিটিশন করে পেরে উঠবেন না।

অর্থাৎ, আপনাকে এমন কি-ওয়ার্ড বাছাই করতে হবে যেটার কম্পিটিশন কম এবং মোটামোটি সার্চ বলিউম আছে।

  • কিওয়ার্ড রিসার্চ কিভাবে করতে হয়

আর্টিকেল আকর্ষনীয় টাইটেল ব্যবহার করুন

টাইটেল একটি আর্টিকেলের জন্য অপরিহার্য এবং খুব গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আপনাকে এমন একটি টাইটেল ব্যবহার করতে হবে যেন মানুষ সেটাতে ক্লিক করতে বাধ্য হয়।

আরেকটা কথা মনে রাখবেন, আপনার ফোকাস কি-ওয়ার্ড অর্থাৎ যে বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লিখছেন তা হুবহু টাইটেলে রাখার চেষ্ঠা করবেন এবং টাইটেলটিতে ৫৫-৬০ ক্যারেক্টার রাখার চেষ্ঠা করবেন।

উদাহরনস্বরুপ, আমাদের এই আর্টিকেলটির ফোকাস কি-ওয়ার্ড হচ্ছে “আর্টিকেল লেখার নিয়ম”। আপনি লক্ষ করলে দেখতে পাবেন এই ফোকাস কি-ওয়ার্ডটি আমরা আমাদের আর্টিকেলর টাইটেলের মধ্যে ব্যবহার করেছি।

২। ভূমিকাঃ প্রথম প্যারাগ্রাফে ফোকাস কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন

আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন আপনার উচিত সে বিষয়ে প্রথম প্যারাগ্রাফেই একটি সংক্ষিপ্ত ধারনা দেওয়া এবং সেখানে ফোকাস কি-ওয়ার্ডটি যুক্ত করা। তাহলে পাঠক এবং সার্চ ইঞ্জিন উভয়েই আপনার কন্টেন্টটি কোন বিষয় নিয়ে লেখা হছে তার একটি ধারনা প্রথমেই পেয়ে পাবে।

এতে করে আপনার কন্টেন্ট র‍্যাংক করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে এবং মানুষ আপনার লেখাটি পড়তে আগ্রহী হয়ে উঠবে। ফলে আপনি আরো বেশি উপকার পাবেন। কারন, পাঠক বেশি সময় ধরে আর্টিকেল পড়লে আপনার র‍্যাংকিং আরো বেশি উন্নত হবে।

তাই আর্টিকেলের প্রথম দিকে ফোকাস কি-ওয়ার্ড যুক্ত করুন এবং আর্টিকেলটি সম্পূর্ন পড়ার জন্য মানুষকে অনুপ্রাণিত করুন।

৩। আর্টিকেলে বারবার ফোকাস কি-ওয়ার্ড ব্যবহার না করে LSI Keyword ব্যবহার করুন

আপনি যদি একই কি-ওয়ার্ড বারবার আর্টিকেলের মধ্যে ব্যবহার করেন তাহলে গুগল সেটিকে Low Value Content হিসেবে ধরে নিবে। ফলে কখনোই আপনার আর্টিকেল র‍্যাংক করবে না।

আর যদি অতিরিক্ত মাত্রায় একই কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে সেটি keyword stuffing এর আওতায় পড়বে যা Black hat SEO এর অন্তর্গত। এটি করার কখনোই উচিত না কারন এটি আপনার সম্পূর্ন সাইটের উপর খারাপ প্রভাব পড়ার জন্য দায়ী হতে পারে।

তাহলে উপায়? যেমন ধরুন, আমাদের ফোকাস কি-ওয়ার্ড হচ্ছে “আর্টিকেল লেখার নিয়ম” তাহলে আমরা যেটা করতে পারি তা হলো এই কি-ওয়ার্ডের সমার্থক শব্দগুলো ব্যবহার করে কিছু কি-ওয়ার্ড বানাতে পারি।

যেমনঃ

  • কন্টেন্ট লেখার নিয়ম
  • এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল
  • আর্টিকেল লেখার পদ্ধতি
  • কন্টেন্ট রাইটিং টিপস, ইত্যাদি।

এগুলোই হলো ফোকাস কি-ওয়ার্ডের LSI (Latent Semantic Indexing) Keywords. তো কিভাবে এই LSI কি-ওয়ার্ড খুজে পেতে পারেন?

আপনি আপনার ফোকাস কি-ওয়ার্ডটি লিখে গুগলে সার্চ করবেন, দেখবেন গুগলে এই কি-ওয়ার্ড সম্পর্কিত আরো কিছু Related searches কি-ওয়ার্ড সাজেশন করবে, সেখান থেকে কয়েকটি কি-ওয়ার্ড বাছাই করে আপনি আপনার আর্টিকেলে ২/১ বার করে যুক্ত করবেন।

তাছাড়া, কিছু টুলস যেমন LSIGraph এর সাহায্য নিয়ে আপনি LSI Keyword বের করতে পারবেন।

৪। ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে আর্টিকেল লিখুন

আপনি যখনই আর্টিকেল লিখবেন চেষ্ঠা করবেন ছোট ছোট প্যারা আকারে আর্টিকেলটি সম্পূর্ন করার। এতে করে আর্টিকেলটি দেখতেও সুন্দর দেখাবে এবং পাঠকও লেখাটি পড়তে বিরক্ত হবে না।

নতুন আর্টিকেল রাইটার এই বিষয়টি না জানার ফলে বড় বড় প্যারাগ্রাফ দিয়ে আর্টিকেল লিখে। যার ফলে আর্টিকেল গুগলে র‍্যাংক করেও বেশিদিন টিকে থাকে না।

এর কারন হলো, যখন ভিজিটর গুগলে সার্চ করে আর্টিকেল পড়তে আসে এবং ঠিকমতো পড়তে না পেরে বিরক্ত হয়ে চলে যায় তখন ওয়েবসাইটের Bounce rate বেড়ে যায়। যার ফলে গুগল সেটিকে এক ধাক্কায় নিচে নামিয়ে দেয়।

তাই, একটি আদর্শ আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ছোট ছোট প্যারাগ্রাফে লেখা উচিত। প্রতিটি প্যারাগ্রাফে ৩ টির বেশি বাক্য রাখা উচিত না।

৫। পাঠকদের সঠিক ইনফরমেশন দিন

আমরা গুগলে সার্চ করি কোনো কিছু জানার জন্য। যদি সার্চ করার পর একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে দেখি সেটাটে আমি যেটি জানতে চাচ্ছি সেই ইনফরমেশন নেই তাহলে সরাসরি ঐ পেজ থেকে ফিরে আসি এবং অন্য পেইজ অপেন করি।

এইযে একটি পেইজ থেকে ইনফরমেশন না পেয়ে আমি ফিরা আসলাম গুগল এটিকে খুব খারাপ চোখে দেখে। ভুল ইনফরমেশন রয়েছে এমন পেইজগুলো যদি র‍্যাংক করে বসে তাহলে গুগল সেটিকে আবার নিচে নামিয়ে দেয়।

তাই, আপনি যখন ব্লগের জন্য আর্টিকেল লিখবেন, আপনার কি-ওয়ার্ডের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক ইনফরমেশন দেওয়ার চেষ্ঠা করবেন। তাহলে গুগলে সহজেই আর্টিকেল র‍্যাংক করাতে পারবেন এবং সে র‍্যাংক ধরেও রাখতে পারবেন।

৬। অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করুন

একটি আদর্শ এবং পারফেক্ট আর্টিকেল লেখার জন্য অবশ্যই পাঠকের প্রয়োজনীতার কথা মাথায় রাখতে হবে। পাঠক আপনার আর্টিকেলের টাইটেল দেখে আপনার আর্টিকেল পড়ার জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছে কাজেই আপনার টাইটেল এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনাকে কন্টেন্ট লিখতে হবে।

আর অবশ্যই অপ্রয়োজনীয় কথা পরিহার করতে হবে। আমাদের দেশে এক শ্রেনীর লেখক আছে যারা মনে করে আর্টিকেল যত বড় করে লেখা যায় ততই মনে হয় মঙ্গল, কিন্তু বাস্তব আসলে পুরোটাই উল্টো।

আপনি যত বেশি ইনফরমেশন যুক্ত করবেন এবং অপ্রয়োজনীয় করা পরিহার করবেন ততই আর্টিকেলের জন্য ভালো।

৭। বিভিন্ন রিসোর্স যুক্ত করুন

একটি মাত্র আর্টিকেলের মাধ্যমে একটি বিষয়ের সমস্ত কিছু লেখা সম্ভব নয়। কারন, এতে আর্টিকেলটি অনেক বড় হয়ে যাবে। ফলে লোড নিতে বেশি সময় নিবে এবং পাঠক সম্পূর্ন আর্টিকেল পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। উভয়টি এসইও-এর জন্য খারাপ।

তাই, আপনার আর্টিকেলটিতে মেইন টপিকের উপর লেখালেখি করে অন্যান্য প্রয়োজনীয় টপিকগুলোর লিংক দিয়ে দিতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করতে পারেন। ইন্টারনাল লিংকিং হলো আপনার ওয়েবসাইটের রিসোর্স যুক্ত করা আর এক্সটারনাল লিংকিং হলো অন্য ওয়েবসাইটের রিসোর্স যুক্ত করা।

৮। হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করুন

আপনি যখন ওয়েবসাইটের জন্য কন্টেন্ট লিখবেন তখন এক প্যারাগ্রাফে কন্টেন্ট না লিখে ভেঙ্গে ভেঙ্গে হেডিং ব্যবহার করে কন্টেন্ট লেখার চেষ্ঠা করবেন। এতে দেখতেও সুন্দর দেখাবে আর এসইও ফ্রেন্ডলি ও হয়ে যাবে।

বিভিন্ন ধরনের Heading Tags আছে। যেমনঃ Heading1, Heading2, Heading3…, Heading6.

ব্লগের মধ্যে H1, H2, H3 ট্যাগ বেশি ব্যবহার করতে হয় এবং এসব ট্যাগের মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ড যুক্ত করতে হয়।

৯। ইমেজ ব্যবহার করুন

আর্টিকেলের মধ্যে ইমেজ বা ছবি ব্যবহার করা খুব ভালো একটি ব্যাপার, কিন্তু সে ইমেজ আপনাকে স্মার্টলি ব্যবহার করতে হবে।

  • কপিরাইট ফ্রি ইমেজঃ আপনাকে অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ব্যবহার করতে হবে। Pexels থেকে আপনি কপিরাইট ফ্রি ইমেজ ডাউনলোড করে আপনার ব্লগে ব্যবহার করতে পারবেন। এতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না।
  • ইমেজ ফরমেট: ব্লগের জন্য সবচেয়ে ভালো ফরমেট হচ্ছে Webp ইমেজ ফরমেট, গুগলও এই ফরমেট সাজেস্ট করে। কারন এটি সরাসরি ব্রাউজার থেকে ওপেন হয় ফলে ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যায়। কিন্তু আপনি চাইলে jpg, png, jpeg ইত্যাদি ফরমেট ব্যবহার করতে পারবেন।
  • ইমেজ ফাইল সাইজঃ আপনি যে ফরমেটের ইমেজই ব্যবহার করুন না কেন সে ইমেজের সাইজ ছোট হওয়া উচিত। ইমেজ ফাইল সাইজ 5KB – 50KB হলে আপনি ভালো পারফরমেন্স পাবেন।

এখন কথা হলো Image Dimension বা ratio কত হওয়া উচিত। নিচের ছবিটি থেকে দেখে নিন কোন ইমেজের কোন সাইজ হওয়া উচিত।

আর্টিকেলে ইমেজ যুক্ত করা

আমরা Featured Image-এ সাধারনত 1200 x 630 pixels ব্যবহার করে থাকি। আর ইমেজ এসইও ফ্রেন্ডলি করার জন্য অবশ্যই ফাইল সাইজ কমাবেন এবং Alt tag ব্যবহার করবেন। ইমেজের ফাইল সাইজ কমানোর জন্য এবং Webp ফরমেটে রূপান্তর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন xconvert, এটি আমার দেখা সবচেয়ে ভালো একটি টুলস।

১০। পারমালিংক স্ট্রাকচার ঠিক করুন

Permalink হলো সে জিনিস যেটি ব্রাউজারে লিখে সার্চ করলে একটি নির্দিষ্ট পেইজ ওপেন হয়। ওয়েবসাইটে প্রতিটি আর্টিকেল একটি ওয়েব পেইজের মধ্যে থাকে এবং প্রতিটি পেইজের একটি URL/Permalink থাকে।

এখন একটি পারফেক্ট আর্টিকেলের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই সঠিক স্ট্রাকচার মেনে পারমালিংক তৈরির করতে হবে।

  • লিংকে Alphabet, number, and hyphens (-) ছাড়া অন্য কোনো কিছু ব্যবহার করবেন না।
  • বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রেও লিংক ইংরেজীতে দিলে ভালো। Article বাংলা লিংক স্ট্রাকচার এসইও ফ্রেন্ডলি নয়।
  • ইউআরএল এ ২ থেকে ৫ টি শব্দ ব্যবহার করার চেষ্ঠা করবেন। a, an, the, in, on এগুলো ব্যবহার না করলেই ভালো, তবে প্রয়োজনে করতে পারেন।

১১। মেটা ডিস্ক্রিপশন দিন

আমরা যখন গুগলে সার্চ করি তখন সেখানে অনেকগুলো ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের টাইটেল দেখতে পাই। এবং টাইটেলের নিচে আরেকটি জিনিস দেখতে পাই সেটি হলো মেটা ডিস্ক্রিপশন।

মেটা ডিসক্রিপশন

বাংলা আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে মেটা ডিস্ক্রিপশন বাংলাতেই দেওয়া উচিত। আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেখানে এই মেটা ডিস্ক্রিপশন যুক্ত করার জন্য বিভিন্ন SEO plugin পেয়ে যাবেন।

আর অবশ্যই আর্টিকেলের মেটা ডিস্ক্রিপশনে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড যুক্ত করবেন।

যে কাজগুলো আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে করা যাবে নাঃ

অন্য জায়গা থেকে কোনো কিছু কপি করা

ইন্টারনেটে প্রায় প্রত্যেকটি জিনিসেরই কপিরাইট রয়েছে। অর্থাৎ, এখানে একজনের কন্টেন্ট অন্যজন ব্যবহার করাটা অপরাধের শামিল এবং এটি কখনোই করা যাবে না।

আর, আপনি যদি কোনো যায়গা থেকে কোনো কিছু কপি করেন তাহলে গুগল সেটি খুব সহজেই বুঝে যাবে, এবং আপনার কন্টেন্ট কখনোই র‍্যাংক করাবে না।

আপনিও কিছু টুলস যেমন Dupli Checker এর মাধ্যমে আপনার লেখাটে কোনো কপিরাইট আছে কিনা তা দেখে নিতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং করার পর অবশ্যই কপিরাইট আছে কিনা তা চেক করে তারপর আপনার ব্লগে প্রকাশ করবেন।

আর্টিকেল re-write করা

যদিও বাংলা কন্টেন্ট re-write করে লেখা একটু কষ্টকর কিন্তু অনেক কন্টেন্ট রাইটার রয়েছে যারা ইংরেজী কন্টেন্ট কে রি রাইট করে তারপর ট্রান্সলেশন করে থাকে। এটি করা কখনোই উচিত নয়।

কারন, আর্টিকেল রি রাইট করার অর্থ হলো সেখানে কিছু কিছু শব্দের পরিবর্তে এর সমার্থক শব্দ বসানো হবে, যা বিভিন্ন টুলসের সাহায্য নিয়ে করা হয়। এটি করলে কঠিন কঠিন অনেক শব্দ যুক্ত হয় যা অতি সহজে বুঝা এবং পড়া যায় না।

ইংরেজী আর্টিকেল থেকে ট্রান্সলেট করা (বাংলা আর্টিকেলের ক্ষেত্রে)

Bangla Article এর ক্ষেত্রে যে বিষয়টি অনেক আর্টিকাল রাইটার করে থাকে তা হলো ইংরেজী কোনো সাইটে থেকে কপি করে সেটি গুগল ট্রান্সলেটের মাধ্যমে ট্রান্সলেশন করে নিজেদের ব্লগ সাইটে পোস্ট করে থাকে।

আবার, আপনি যদি কম দামে কোনো রাইটার হায়ার করতে চান তাহলে তারাও এই কাজটি প্রায়ই করে থাকে, এটি করা কখনোই উচিত নয়। কারন, গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এবং ভাষা ট্রান্সলেট করতে জানে।

আপনি যদি কোনো জায়গা থেকে কোনো কিছু ট্রান্সলেট করেন তাহলে সেটি খুব সহজেই ধরা পড়বে।

100 KB এর বড় ইমেজ ফাইল যুক্ত করা

আমরা সাধারনত Shared Hosting ব্যবহার করে ওয়েবসাইট/ব্লগ তৈরি করে থাকি। যে কারনে আমাদের ওয়েবসাইটগুলোতে তেমন বেশি লোডিং স্পিড পাই না।

আবার আপনি যদি বেশি বড় বড় ফাইল সাইটে যুক্ত করেন তাহলে একটি পেইজ লোড নিতে অনেক বেশি সময় নেয়। আর যদি আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং পারফরমেন্স খারাপ থাকে তাহলে আপনার কন্টেন্ট র‍্যাংক করার সম্ভাবনা কমে যায়।

এ কারনে, সবসময় আর্টিকেলে ইমেজ ব্যবহার করলে এর সাইজ ছোট করে ব্যবহার করবেন। আর যদি Webp format ব্যবহার করেন তাহলে আরো বেশি পারফরমেন্স পাবেন।

মানুষের জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী ও প্রশ্নোত্তর ( FAQs)

আর্টিকেল লেখার process কোনটি?

আর্টিকাল লেখার process হলো প্রথমে একটি টপিক/কিওয়ার্ড বাছাই করতে হয়। তারপর একটি টাইটেল দিয়ে শুরু করতে হয়। তারপর ভূমিকা, মূল অংশ, এবং সারসংক্ষেপ দিয়ে শেষ করতে হয়। একটি আদর্শ আর্টিকেল লেখার সঠিক নিয়ম জানতে আমাদের সম্পূর্ন গাইডলাইন ভালোকরে পড়ুন।

ইংরেজী এবং বাংলা আর্টিকাল লেখার নিয়ম কি একই রকম?

হ্যা, বাংলা এবং ইংরেজী আর্টিকেল লেখার নিয়ম একই রকম। কিন্তু, ব্লগে বাংলা আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে পারমালিংক ইংরেজীতে দিতে হবে। তা না হলে আপনার আর্টিকেল এসইও ফ্রেন্ডলি হবে না।

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম কনটেন্ট লেখা সেরা উপায় কি?

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম কনটেন্ট লেখা সেরা উপায় হলো Low Competition কিওয়ার্ড রিসার্চ করে উপরের নিয়ম অনুযায়ী কন্টেন্ট লেখা। একটি কিওয়ার্ড দিয়ে গুগলে সার্চ করে প্রথম ২/৩ টি আর্টিকেল খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করবেন এবং ১০০% কপিরাইটমুক্ত আর্টিকেল লেখার চেষ্ঠা করবেন।

আমাদের শেষ কথা

তাহলে একটি আর্টিকেল লেখার উপায় সম্পর্কে এতক্ষনে আমরা কি কি জানলাম সে বিষয়টি চলুন আরেকবার রিভাইন করা যাক।

একটি আদর্শ আর্টিকেল লেখার শুরুতে আমাদের কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে বের করতে হবে। তারপর সে কি-ওয়ার্ডের রিলেটেড আরো কিছু কি-ওয়ার্ড খুজে বের করতে হবে যাকে LSI Keyword বলা হয়।

তারপর আমরা সুন্দর একটি টাইটেল ব্যবহার করবো এবং সেখানে আমাদের ফোকাস কি-ওয়ার্ডটি দিয়ে দিবো। এখন আমাদের মূল কন্টেন্ট লেখার পালা। মূল কন্টেন্টকে আপনার ৩ ভাগে ভাগ করে নিবো।

  • ভূমিকাঃ এখানে ফোকাস কি-ওয়ার্ড ১ বার ব্যবহার করবো।
  • মূল অংশঃ মূল অংশতে আমরা হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করবো। হেডিং ট্যাগে ১বার এবং মূল কন্টেন্ট এ ১ বার সর্বমোট ২ বার এই অংশে ফোকাস কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করবো এবং পাশাপাশি অন্যান্য LSI Keyword-গুলো ব্যবহার করবো।
  • উপসংহারঃ এখানেও আমরা ফোকাস কি-ওয়ার্ডটি একবার ব্যবহার করবো।

তাহলে টোটাল আর্টিকেলের মধ্যে আমাদের ফোকাস কি-ওয়ার্ড ৪ বার ব্যবহার করা হলো, এটিই যথেষ্ট।

তারপর আপনার ছোট ছোট আকারে প্যারাগ্রাফ লিখবো এবং আর্টিকেলে ইমেজ যুক্ত করবো। ইমেজ অবশ্যই রিসাইজ করে নিবো। মেটা ডিস্ক্রিপশন দিবো এবং মেটা ডিস্ক্রিপশনে ফোকাস কি-ওয়ার্ড যুক্ত করবো।

পারমালিংক স্ট্রাকচার ঠিক করবো এবং আর্টিকেলে ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল প্রয়োজনীয় রিসোর্চ যুক্ত করবো। আর অবশ্যই চেষ্ঠা করবো সঠিক এবং তথ্যবহুল ইনফরমেশন যুক্ত করার মাধ্যমে খুব সুন্দর এসইও ফ্রেন্ডলী একটি আর্টিকেল লেখার জন্য।

আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আর্টিকেল লেখার নিয়ম এবং ব্লগের জন্য কিভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে হয় সে বিষয়ে পরিপূর্ন একটি ধারনা পেয়েছেন। কন্টেন্ট লেখার নিয়ম নিয়ে যদি আরো কোনো প্রকার প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

Check Also

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় – অভিজ্ঞতা থেকে বলা

ব্লগিং হলো একটি ভার্চুয়াল ডায়েরী বা দিনলিপিতে লেখালেখি করার একটি পেশা। অনলাইনে ব্লগিং করে টাকা …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *