google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

এসইও-এর কয়েকটি সাধারণ শব্দ আপনাকে জানতেই হবে

আশা করি সকলে ভালো আছেন। আজকে আমি আলোচনা করবো এসইও-এর এমন কিছু শব্দ নিয়ে, এসইও নিয়ে কাজ করতে গেলে যেগুলো অবশ্যই আপনার জানা থাকতে হবে। তো চলুন জেনে নিই-

SERP-(সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ)

SERP শব্দটিএ সম্পূর্ণ অর্থ হলো Search Engine Results Pages.

আমরা কোনো কিছু লিখে গুগলে সার্চ করলে যেই পেইজটিতে অনেক অনেক রেজাল্ট আসে তাকেই সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেইজ বা সংক্ষেপে SERP বলে।

Keyword-(কি-ওয়ার্ড)

যা লিখে মূলত গুগলে সার্চ করা হয় তাকেই কি-ওয়ার্ড বলে। যেমনঃ Best mobile in BD

কি-ওয়ার্ড এর অনেক প্রকারভেদ রয়েছে। কিছু কি-ওয়ার্ড আছে অনেক বড় আবার কিছু আছে ছোট। কিছু আছে কমার্সিয়াল কিছু আছে ইনফরমেটিভ বা নন-কমার্সিয়াল । এসইও-তে সঠিক কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে বাছাই করতে হবে। তা না হলে সাইট রেংক করানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

কি-ওয়ার্ডের প্রকারভেদ এবং কিভাবে Keyword research করতে হয় জানতে হলে পড়ুনঃ

Web Page-(ওয়েবপেইজ)

ইন্টারনেটের যেকোনো পেইজকেই ওয়েবপেইজ বলে। একটি ওয়েবসাইটের ভেতরে অনেক ধরনের ওয়েবপেইজ থাকে। ওয়েবপেইজের কিছু উদাহরন হলোঃ about page, privacy page, contact us page ইত্যাদি।

URL-(ইউ আর এল)

আপনি যখন একটি ওয়েবসাইটে থাকেন তখন আপনার ব্যবহৃত ব্রাউজারের উপরে অর্থাৎ এড্রেসবারে যেই লেখা বা কোডটি দেখতে পান তাই হলো URL.

ইউআরএল মূলত http:// অথবা https:// দিয়ে শুরু হয়। এবং তারপর ওয়েবসাইটের ডোমেইন নামটি থাকে ।

Link-(লিংক)

যদি অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের URL আপনার ওয়েবসাইটে থাকে তাহলে সেটিকে লিংক বলে। ওয়েবসাইটে সাধারনত লিংক কোনো টেক্সটের ভেতরে থাকে। হয়তো খেয়াল করলে দেখবেন , হাইলাইট করা কোনো টেক্সটে ক্লিক করলে আপনি অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাচ্ছেন। কারন সেই টেক্সটির মধ্যে ঐ ওয়েবসাইটের লিংক ছিল।

Backlink-(ব্যাক-লিংক)

ব্যাক-লিংক হলো আপনার ওয়েবসাইটের লিংক যা অন্য ওয়েবসাইটের মধ্যে রয়েছে। মনে করুন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটের একটি লিংক ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। তারমানে, আপনি ফেসবুক থেকে একটি ব্যাক-লিংক পেলেন।

এসইও-তে এই ব্যাক-লিংক এর অনেক গুরুত্ব রয়েছে বিশেষ করে অফ-পেইজ এসইওতে। ব্যাক-লিংক এর উপর নির্ভর করে গুগল একটি ওয়েবসাইটকে রেংকিং-এ জায়গা দেয়। তাই, আপনার সাইটের যদি এসইও করতে চান তাহলে আপনার সাইটের বেশি বেশি ব্যাক-লিংক তৈরি করতে হবে।

Inbound link-(ইনবাউন্ড লিংক)

যে লিংকে ক্লিক করা হলে আপনার ওয়েবসাইটের ভেতরে প্রবেশ করে তাকে ইনবাউন্ড লিংক বলে। অর্থাৎ, বুঝাই যাচ্ছে যে, ইনবাউন্ড লিংক অন্য মানুষের ওয়েবসাইটের মধ্যে থাকে। সেই লিংকে যদি কেউ ক্লিক করে তাহলে সে আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসে।

এটি সম্পূর্ণ ব্যাক-লিংক এর মতো কাজ করে। বলতে গেলে, ব্যাক-লিংক এবং ইনবাউন্ড লিংক একই জিনিস।

Outbound link-(আউটবাউন্ড লিংক)

আপনার ওয়েবসাইটে থাকা অন্য মানুষের লিংকগুলোকে আউটবাউন্ড লিংক বলে।

মনে করুন, আপনি আপনার ওয়েবসাইটে টুইটারকে একটি লিংক দিলেন। তো এই লিংকটি আপনার জন্য Outbound link. কিন্তু এটি টুইটারের জন্য Backlink অথবা Inbound link.

আশা করি সকলেই ব্যপারটা খুব ভালো ভাবেই বুঝেছেন।

Content-(কন্টেন্ট)

ওয়েবসাইটে থাকা যেকোনো জিনিসই হলো কন্টেন্ট। যেমনঃ ছবি, ভিডিও, আর্টিকাল, পিডিওফ ফাইল, লিংক ইত্যাদি।

Traffic-(ট্রাফিক)

ডিজিটাল মার্কেটিং-এর ভাষায় ট্রাফিক বলতে ভিজিটরকে বুঝায়। অর্থাৎ, যে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলো সেই হচ্ছে আপনার ট্রাফিক বা ভিজিটর। একটি সাইটের এসইও করার জন্য সাইটের ট্রাফিক খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়। একটি ট্রাফিকের এক্টিভিটি গুগল খুব ভালোভাবে যাচাই করে সাইটকে রেংক দেয়।

Conversion rate-(কনভারশন রেট)

Conversion rate বলতে বুঝায় আপনার ওয়েবসাইটে কতজন মানুষ প্রবেশ করলো এবং সেখান থেকে কতজনে আপনার কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করলো তার অনুপাতকে।

মনে করুন, আজকে আপনার ওয়েবসাইটে ১০০ টি ট্রাফিক এসেছে এবং সেখান থেকে ২০ জন আপনার কাছ থেকে পণ্য কিনে নিয়েছে। তাহলে আপনার কনভারশন রেট হলো ২০%।

কনভারশন রেট যে শুধু পণ্য বিক্রয়ের জন্যই হয় শুধু তাই না। যেকোনো জিনিসের কনভারশন রেট হতে পারে। যেমনঃ read more conversion rate

ধরুন, ১০০ জন ভিজিটরের মধ্যে ৫০ জন একের অধিক আর্টিকাল পরেছে অর্থাৎ read more বাটনে ক্লিক করেছে। তাহলে একের অধিক আর্টিকাল পড়ার জন্য আপনার কনভারশন রেট হলো ৫০%।

Meta Information-(মেটা ইনফরমেশন)

Meta Information বলতে Meta Title এবং Meta Description এই দুটোকে বুঝানো হয়ে থাকে।

একটি পেইজের এই ২ টি জিনিস থাকা আবশ্যক। আপনি যদি একটি আর্টিকাল লিখেন তাহলে সেই আর্টিকালের তো একটি টাইটেল দিতেই হবে। আর সেই টাইটেলটিই মেটা টাইটেল হিসেবে কাজ করে।

কিন্তু, মেটা ডিসক্রিপশন আপনাকে আলাদা করে দিতে হবে যেন গুগল খুব সহজেই বুঝতে পারে যে আপনার আর্টিকালটি কি রিলেটেড। যদি মেটা ডিসক্রিপশন না লিখেন তাহলে এসইও করে সাইট রেংক করানো খুবই কষ্টকর হয়ে যায়।

সর্বশেষ কথা

আশা করি পর্যালোচনাটি আপনাদের একটু হলেও সহায়তা করবে। যদি এই সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আমাদের আর্টিকালগুলো মন দিয়ে পড়ার জন্য রইল অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

আরো পড়ুনঃ

Check Also

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় -Passive Income and Active Income

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় এটি নিয়ে অনেক মানুষের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *