google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

এসইও-তে কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ন?

আমরা যখন কোনো কিছু লিখে গুগলে সার্চ করি তখন দেখতে পাই একটি ওয়েবসাইট ১ নাম্বারে রয়েছে এবং আরেকটি ২ নাম্বারে এবং আরেকটি ৩ নাম্বারে। এভাবে করতে করতে ১০০, ২০০ এমনকি ১০০০ নাম্বারেও ওয়েবসাইট রয়েছে। তো এগুলোর পিছনে একমাত্র কারন হচ্ছে এসইও। তো আজকে আমরা জানবো এসইও-তে গুগলে প্রথম স্থানে থাকতে কোন কোন বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ।

গুগল কতগুলো ফেক্টরের উপর নির্ভর করে কোনো সাইটকে বা কোনো পেইজকে র‍্যাংক দিয়ে থাকে। যে ব্যাক্তি এইসব ফ্যাক্টর এর দিকে খেয়ার রেখে ওয়েবসাইটকে অপ্টিমাইজ করতে পারে সেই গুগলে প্রথমে থাকে। তাই আমাদের এইসব র‍্যাংকিং ফ্যাক্টরগুলো জেনে নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করা উচিত যেন আমরা গুগলে প্রথম স্থানে থাকতে পারি।

জেনে নিনঃ কিভাবে ওয়েবসাইটের এসইও(SEO) করতে হয় ?

Important Ranking Factor of Google

আগেই বলেছি গুগল কিছু র‍্যাংকিং ফেক্টরের উপর নির্ভর করে ওয়েবাসাইট বা ওয়েবপেইজকে র‍্যাংকে জায়গা দিয়ে থাকে। কিন্তু গুগল এই র‍্যাংকিং ফ্যাক্টরগুলো কখনো আমাদের মাঝে শেয়ার করে না। যদি গুগল এইগুলো শেয়ার করতো তাহলে লোকজন শুধু এই র‍্যাংকিং ফেক্টরের উপর বেশি করে নজর দিত এবং কন্টেন্ট এর উপর নজর দিত না।

ফলে, কেউ কোনো কিছু লিখে সার্চ করলে গুগল নির্ভুল ফলাফল দিতে পারতো না। এই কারণে গুগল তাদের রেংকিং ফেক্টরগুলো প্রকাশ করে না। কিন্তু, এসইও এক্সপার্টরা কিছু পরীক্ষা করে কিছু র‍্যাংকিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে জানতে সক্ষম হয়েছে। তো আজকে এমনই ৫ টি গুরুত্বপূর্ন র‍্যাংকিং ফেক্টর সম্পর্কে চলুন জেনে নিই-

Content Quality-(কন্টেন্ট কোয়ালিটি)

এসইও র‍্যাংকিং-এর জন্য কন্টেন্ট কোয়ালিটি খুবই গুরুত্বপূর্ন। আপনার ওয়েবসাইটে যদি কোনো কোয়ালিটি কন্টেন্ট না থাকে তাহলে এসইও করে কোনো লাভ হবে না। কেননা, কোয়ালিটিফুল এবং ইনফরমেটিব কন্টেন্ট যেহেতু মানুষকে সাহায্য করে তাই গুগলও একে বেশি প্রাধান্য দেয়।

কোয়ালিটি কন্টেন্ট ছাড়া কখনো আপনি আপনার সাইট রেংক করাতে পারবেন না। যদিও জোর করে গুগলে র‍্যাংক করেন কিন্তু সেটি বেশিদিন স্থায়ি হবে না । বরং, এতে বিপরীতও হতে পারে। তারমানে, গুগল আপনাকে প্যানাল্টি ও দিতে পারেন। তাই কন্টেন্টের উপরে বেশি নজর দিন এবং কন্টেন্টের কোয়ালিটি বজায় রাখার চেষ্ঠা করুন।

Domain factors-(ডোমেইন ফেক্টর)

কন্টেন্টের পরে যে বিষয়টি এসইও তে বেশি গুরুত্বপূর্ন তা হলো ডোমেইন নাম। ডোমেইন ফেক্টর বলতে বুঝায় আপনার ডোমেইনের অথরিটি কেমন এবং কোনো নির্দিষ্ট ইন্ড্রাষ্টিজে আপনার ডোমেইনকে কেমন প্রাধান্য দেয় ইত্যাদি।

ডোমেইন নামের ধরন খুব বেশি একটা এসইওতে প্রভাব ফেলে না। তবুও, ডোমেইন নামটি যেন ৬-১৫ টি শব্দের মধ্যে থাকে এবং অর্থপূর্ণ শব্দ হয় সেদিকে খেয়াল রাখতা হবে।

গুগলে র‍্যাংক পেতে হলে অবশ্যই ডোমেইনের অথরিটি বাড়ানো নিইয়ে চিন্তা করতে হবে, তাহলে খুবই সহজেই গুগক আপনাকে প্রথম স্থান দিয়ে দিতে পারে।

User activity-(ইউজার এক্টিভিটি)

আপনার ওয়েবসাইটের একটি ইউজার বা ভিজিটরকে গুগল খুব ভালো করে যাচাই করে।

মনে করুন, আপনি যেকোনো একটি শব্দ লিখে সার্চ করে একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলেন। তারপর গুগল যাচাই করে, আপনি কিভাবে ওয়েবসাইটিতে ভিজিট করেছেন, এটি কি আস্তে-আস্তে পড়েছেন নাকি দ্রুত স্ক্রল করেছেন, এই আর্টিকালটি থেকে অন্য কোনো আর্টিকালে গিয়েছেন পড়ার জন্য নাকি ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে এসেছেন, সেখানে কি কোনো মন্তব্য করেছেন বা কোনো পণ্য ক্রয় করেছেন কিনা ইত্যাদি বিষয়ের উপর এনালাইসিস করে গুগল একটি ওয়েবসাইটকে র‍্যাংক দিয়ে থাকে ।

যদি কারো ওয়েবসাইটে ভিজিটর প্রবেশ করে আবার ফিরে আসে তাহলে তার ওয়েবসাইটে Bounce Rate বেড়ে যায়, ফলে গুগল একে খারাপ চোখে দেখে।

তাই, আপনার ইউজার যেন আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে সাথে সাথে বের হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে ।

Onsite factors-(অন-সাইট ফেক্টর)

অন-সাইট ফেক্টর বলতে বুঝায় আপনার ওয়েবসাইটটি কিভাবে অপ্টিমাইজ করেছেন, সব কন্টেন্টের অন-পেইজ এসইও করা আছে কিনা, সব আর্টিকালগুলো ঠিকঠাক আছে কিনা , মেটা টাইটেল এবং মেটা ডিসক্রিপশন দিয়েছেন কিনা, কি-ওয়ার্ডগুলো ঠিকমতো দিয়েছেন কিনা, আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কেমন, ওয়েবসাইটের ভেতরে ইউজারের অসুবিধা হয় এমন কিছু আছে কিনা ইত্যাদি।

ওয়েবসাইটের ভেতরে এসব বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে গুগল একটি সাইটকে যাচাই করে এবং র‍্যাংক দিয়ে থাকে। তাই কোনো সাইটের এসইও করার সময় এই অনপেইজ ফেক্টরগুলোর প্রতি আমাদের খেয়াল রাখা জরুরী।

Offsite factors-(অফ-সাইট ফেক্টর)

ওয়েবসাইটের বাইরেও বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা র‍্যাংকিং-এর জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ন। তার মধ্যে অন্যতম হলো ব্যাক-লিংক।

একটি ওয়েবসাইটকে র‍্যাংকে নিয়ে আসার জন্য ব্যাক-লিংক খুবই গুরুত্বপূর্ন। গুগল যাচাই করে কোনো ওয়েবসাইটের কয়টি ব্যাক-লিংক রয়েছে এবং ব্যাক-লিংকগুলো কেমন ওয়েবসাইটগুলো থেকে নেওয়া হয়েছে, সেসকল ওয়েবসাইটগুলো কি ভালো না খারাপ ইত্যাদি।

এই-সকল অফ-সাইট ফেক্টরের উপর লক্ষ করেও গুগল একটি সাইটে র‍্যাংক দিয়ে থাকে। তাই আমাদের কোয়ালিটি ব্যাক-লিংকের দিকে নজর দিতে হবে যদি আমরা এসইও করে সাইট র‍্যাংক করাতে চাই।

সর্বশেষ কথা

গুগলের প্রায় ২০০ টির মতো Ranking Factor আছে বলে জানিয়েছে গুগল। কিন্তু সবগুলোর প্রতি আমাদের নজর দিতে হবে না। যে যে গুরুত্বপূর্ন র‍্যাংকিং ফেক্টরগুলো আছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। আপনাদের কোনো মতামত থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

ধন্যবাদ।

আরো পড়ুনঃ

Check Also

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় -Passive Income and Active Income

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় এটি নিয়ে অনেক মানুষের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *