google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে দেখে নিন ২০২৪

আপনি কি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান? এবং জানতে চান ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে ?

তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন।

আজকের আর্টিকালে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন হয় তা সম্পর্কে একটি পরিপূর্ন গাইডলাইন পেতে যাচ্ছেন।

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই কিন্তু ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে তা জানি না।

আবার অনেকের ধারনা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে বুঝি প্রথমে কোডিং শিখতে হয় কিংবা কম্পিউটারের দরকার হয়।

কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করতে কোনো প্রকার কোডিং শিখতে হয় না। WordPress নামক একটি সফটওয়্যার দিয়ে খুব সহজে মোবাইল দিয়েই ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়।

প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো নিশ্চিত হয়ে গেলে ঘরে বসে আপনি নিজে নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে। কোনো ওয়েব ডিজাইনার বা ডেভেলোপার ভাড়া করার প্রয়োজন নেই।

এখন জেনে নিন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে ঠিক কি কি জিনিস প্রয়োজন হয়…

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?

ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন জিনিস দরকার হয়। এর মধ্যে কতগুলো আসে আপনি ফ্রিতে পেয়ে যাবেন। আর কতগুলো আপনাকে কিনে নিতে হবে।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা যা লাগেঃ

১। ডোমেইন নাম

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে সর্বপ্রথম যে বিষয়টি লাগে তা হলো একটি ডোমেইন নাম।

আপনি যেই ডোমেইন নাম দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তা যদি কোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তাদের ব্রাউজারে লিখে সার্চ করে তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি খুজে পাবে।

এ কারনে ডোমেইন নামকে ওয়েবসাইটের ওয়েব এড্রেসও বলা হয়ে থাকে।

ডোমেইন নাম আপনার পছন্দমতো আপনি যেকোনো কম্পানি থেকে কিনতে পারবেন। তবে ডোমেইন নেম হচ্ছে একটি একক নাম। তার মানে হলো কেউ যদি একটি ডোমেইন নাম কিনে নেয় পরবর্তিতে সেটি কেউ কিনতে পারে না যদি না ডোমেইনের মেয়াদ শেষ হয়।

যেমনঃ Techbdtricks.com

আমাদের ডোমেইন নামটি ১ বছরের জন্য ৮০০ টাকা দিয়ে কেনা আছে। পৃথিবীর আর কেউ এটি কিনতে পারবে না। তবে এক বছর পর যদি আবার ৮০০ টাকা দিয়ে রেজিস্ট্রেশন না করি, তাহলে যে কেউ আবার এই ডোমেইন নামটি কিনে নিতে পারবে।

তো আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা ভাবেন তাহলে প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়েবসাইটের সুন্দর নাম খুজে বের করা লাগবে।

যেহেতু আপনার ওয়েবসাইটের নাম আপনার একটি ব্র্যান্ড তাই ডোমেইন খুব সতর্কতার সাথে বাছাই করা উচিত। তাই আগে এটি পড়ুন- ডোমেইন নেম কি এবং কিভাবে ডোমেইন কিনতে হয়

২। ওয়েব হোস্টিং সার্ভার

ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য দ্বিতীয়ত যে জিনিসটি লাগে তা হলো একটি ওয়েব হোস্টিং সার্ভার।

ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে এক ধরনের অনলাইন স্পেস যার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে লাইভ করাতে পারবেন।

এটি ওয়েবসাইটের জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।

হোস্টিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্ভব না।

এটি একটি অনলাইন মেমুরীর মতো কাজ করে।

তবে মেমুরী আর হোস্টিং এর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে আপনার মেমুরী আপনি ছাড়া আর কেউ ব্যবহার করতে পারে না কিন্তু হোস্টিং এ কোনো ওয়েবসাইট রাখলে সেটি পৃথিবীর সবাই ব্যবহার করতে পারবে। অর্থাৎ, ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারে।

হোস্টিং বিভিন্ন কম্পানি থেকে কিনে নিতে হয়। এবং এটিও বছরে বছরে ভাড়া দিতে হয়। একটি ভালো মানের হোস্টিং কিনতে হলে আপনাকে প্রতিবছর ২০০০-৩০০০ টাকার আশেপাশে খরচ করতে হবে।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হোস্টিং অবশ্যই থাকা লাগে। হোস্টিং ছাড়া কখনই কোনো ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে লাইভ করানো যায় না।

নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে কমপক্ষে ১ জিবি কিংবা ২ জিবি হোস্টিং নেওয়ার চেষ্টা করবেন। হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নিন – হোস্টিং কি এবং হোস্টিং কেনার গাইডলাইন

৩। সি এম এস(CMS)

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এই প্রশ্ন করলে চলে আসে সি এম এস এর কথা। আর সবচেয়ে জনপ্রিয় সিএমএস হলো ওয়ার্ডপ্রেস

সি এম এস একটি ইংরেজী শব্দ Content Management system এর সংক্ষিপ্ত রূপ যথা CMS.

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে দরকার হয় একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটে কন্টেনগুলো খুব সহজভাবে ম্যানেজ করা যায়।

এই কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যাবহার করে কোডিং ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এবং ওয়েবসাইট যেকোনো ধরনের ডিজাইন করা যায় এবং নতুন নতুন বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করা যায়।

সি এম এস ব্যবহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন সুবিধা হলো এখানে পোস্ট করা অত্যন্ত সহজ। এবং প্রকাশিত পোস্টগুলো লিস্ট আকারে পাওয়া যায় এবং যেকোনো সময় ইডিট করা যায়।

পৃথিবীতে সবচেয়ে জনপ্রিয় সি এম এস (CMS) হলো ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)

ওয়ার্ডপ্রেস কি, কেন শিখব, কিভাবে শিখব আগে বিস্তারিত জেনে আসুন।

ওয়ার্ডপ্রেস হলো সবচেয়ে জনপ্রিয় কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এটি একটি অপেন-সোর্স সফটওয়ার, তাই বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।

বর্তমানে ইন্টারনেটে যত ওয়েবসাইট দেখতে পাচ্ছেন এর ৪০% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে তৈরি।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে একটি সি এম এস লাগে, আর আপনি সি এম এস হিসেবে ওয়ার্ডপ্রেসকে বাছাই করতে পারেন।

যদিও আরো অনেক সি এম এস রয়েছে যেমনঃ Joomla, Drupal, Magento, Wix এবং ইত্যাদি।

তবে, নতুনদের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস ব্যাবহার করা সবচেয়ে সহজ এবং প্রস্তাবিত। মনে রাখবেন, ওয়েবসাইট তৈরি করতে একটি সি এম এস লাগবেই।

আরো পড়ুনঃ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরির পরিপূর্ন গাইডলাইন

৪। ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজিং দক্ষতা

একটি ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা এবং ম্যানেজ করার দক্ষতা থাকা লাগবে।

আসলে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা অনেক সহজ। হোস্টিং ক্রয় করার পর আপনাকে একটি সি-প্যানেল তথা কন্টোল প্যানেল দেওয়া হবে।

সেখান থেকে আপনি কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে নিতে পারবেন।

কিন্তু সমস্যা হয় তখন, যখন আপনি ভিন্ন ভিন্ন কম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে থাকেন।

সেক্ষেত্রে আপনার হোস্টিং সিপ্যানেলে প্রথমে ডোমেইন যুক্ত করতে হয়। এবং ডোমেইন প্যানেলে নেমসার্ভার আপডেট করতে হয়।

তারপর, ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হয়। তাই, আলাদা আলাদা হোস্টিং প্রোভাইডার থেকে ডোমেইন-হোস্টিং ক্রয় করলে আপনার এডভান্স লেভেলের কিছু দক্ষতা লাগবে।

৫। ওয়ার্ডপ্রেস থিম

ডোমেইন-হোস্টিং কিনলাম, এবং ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করলাম, তাহলে এখন আর ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?

থামুন!

এখনও আপনার ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্পূর্ন হয় নি।

আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পরে ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারবেন। ভিজিট করলে দেখতে পাবেন, আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক নেই।

কারন, আপনি সেখানে কোনো ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করেন নি।

ওয়েবসাইটের সঠিক ডিজাইন করার জন্য আপনাকে ওয়েব ডিজাইনার হতে হবে না। শুধুমাত্র একটি ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করলেই আপনার ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হয়ে যাবে।

ওয়ার্ডপ্রেস থিম হচ্ছে মূলত ওয়েবসাইটের রেডি-মেইড ডিজাইজ যা কোনো ডেভেলোপার কতৃক তৈরি হয়ে থাকে।

কিছু থিম ডেভেলোপাররা ফ্রিতে দিয়ে থাকে। আবার কিছু থিম ব্যবহার করতে হলে আপনাকে টাকা খরচ করতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেসে অনেক ধরনের ফ্রি থিম আছে। ফ্রি থিম ইন্সটল করার জন্য আপনাকে WordPress Dashboard থেকে Appearance অপশনে যেতে হবে এবং সেখানে Theme নামক একটি অপশন থাকবে।

আপনার পছন্দমতো থিম বাছাই করে সেখান থেকে ইন্সটল করে নিন। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রি থিম হচ্ছে Astra

৬। ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন

ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিন ওয়েবসাইট তৈরির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন। ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করা এবং ওয়েবসাইট সুন্দরভাবে ম্যানেজ করার জন্য প্লাগিন ব্যবহার করতে হয়।

যেমন, আপনি একটি থিম ইন্সটল করলে আপনার সাইট থিমের মতো দেখতে হয়ে যাবে। কিন্তু, সেখানের Text বা লেখাগুলো আপনার মতো করে সাজিয়ে নেওয়ার জন্য দরকার হবে একটি পেইজ বিল্ডার প্লাগিন (Elementor)

আপনি যদি আপনার সাইটের এসইও করে গুগল সার্চ রেজাল্টে আসতে চান তাহলে তাহলে দরকার হবে একটি এসইও প্লাগিন (Yoast SEO)

আপনি যদি আপনার সাইটের পারফর্মেন্স বাড়াতে চান অর্থাৎ সাইট আরো ফাস্ট করতে চান তাহলে দরকার হবে Cache প্লাগিং (Litespeed)

তাছাড়া, ওয়েবসাইটকে আরো সয়ংক্রিয় করে তোলার জন্য অনেক ধরনের প্লাগিনের ব্যবহার করতে হয়।

তো এই বিষয়গুলো নিশ্চিত হয়ে গেলে আপনি নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন।

Colclusion

আশা করি, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারনা আপনাদের দিতে সক্ষম হয়েছি। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে বিস্তারিত সকল গাইডলাইন আমাদের ওয়েবসাইটে পাবেন।

Check Also

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় -Passive Income and Active Income

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় এটি নিয়ে অনেক মানুষের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *