আপনি কি একটি ব্লগ তৈরির নিয়ম জানতে চান? হয়তো আপনি সম্প্রতি জেনেছেন যে ব্লগ তৈরি করে টাকা আয় করা যায়, তাই আপনি ইনকামের রাস্তা হিসেবে ব্লগিং-কে বেছে নিতে চাচ্ছেন। যাই হোক না কেন, আজকের আর্টিকালে আমরা আপনাকে একটি গুগল ব্লগ তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে বলবো।
আজকে এখান থেকে ব্লগ তৈরি করার নিয়ম দেখে আপনি নিজের প্রচেষ্ঠায় একটি ওয়েবসাইট বানাতে সক্ষম হবেন, এবং সেই ওয়েবসাইটে ব্লগিং করার মাধ্যমে উপার্জন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার জন্য থাকবে অসাধারন গাইডলাইন।
প্রশ্নঃ আমি কি মোবাইলে ব্লগ তৈরি করতে পারবো?
উত্তরঃ হ্যা, আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ব্লগ বানাতে পারবেন। তবে মোবাইলের স্ক্রিন ছোট হওয়ার কারনে আপনি ব্লগিং করে আনন্দ পাবেন না।
প্রশ্নঃ আমাকে কোডিং জানতে হবে?
উত্তরঃ না, আপনাকে কোডিং জানতে হবে না। ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে কোডিং জানতে হয় না।
প্রশ্নঃ একটি ব্লগ তৈরি করতে কত টাকা খরচ হবে?
উত্তরঃ নতুন অবস্থায় ২-৩ হাজার টাকা হলেই আপনি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।
ব্লগ তৈরির আগে যেসব প্রশ্নগুলো মাথায় আসতে পারে, সেগুলোর উত্তর আগেই দিয়ে দিলাম। ধাপে ধাপে এই ব্লগ তৈরির টিউটোরিয়াল সম্পূর্ন পড়ার মাধ্যমে আপনি ব্লগিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই প্রতিটি অক্ষর মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
ঠিক আছে! তাহলে সবার আগে চলুন ব্লগ সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।
ব্লগ কাকে বলে?
ব্লগ হচ্ছে মূলত একধরনের ওয়েবসাইট যেখানে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয়।
ব্লগ নামটি এসেছে ওয়েবলগ থেকে। যিনি একটি ব্লগ পরিচালনা করেন তাকে বলা হয় ব্লগার। আর এই ব্লগ পরিচালনা করার এই পেশাটাকে বলা হয় ব্লগিং।
বিভিন্ন টপিকের উপর ভিত্তি করে ব্লগ বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। যেমনঃ Personal blogs, business blogs, professional blogs, fashion, travel, food, ইত্যাদি। .
ব্লগিং এর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট টপিকের উপর বিভিন্ন তথ্যবহুল কন্টেন্ট লিখতে হয় এবং সেই কন্টেনগুলোকে বিভিন্ন উপায়ে মার্কেটিং করে ব্লগ ওয়েবসাইটে পাঠক/ভিজিটর নিয়ে আসা হয় যা থেকে পরবর্তীতে টাকা আসে।
বাংলা এবং ইংরেজী কিছু ব্লগের উদাহরণ নিচে দেওয়া হলোঃ
- Ordinary IT (বাংলাদেশী)
- banglatech.info (বাংলাদেশী)
- Pratiborton (বাংলাদেশী)
- WPBeginner
- The Blog Starter
এরকম ইন্টারনেটের আনাচে-কানাচে লক্ষ কিংবা কোটি ব্লগ ওয়েবসাইট রয়েছে।
আশা করি ব্লগ সম্পর্কে একটি বেসিক ধারনা পেয়েছেন, এখন ব্লগ তৈরি করার নিয়ম নিয়ে চলুন আলোচনা করি।
নতুন ব্লগ তৈরি করার জন্য যা যা লাগবে
একটি নতুন ব্লগ তৈরি করার জন্য কিছু বেসিক জিনিস এবং সে সাথে ওয়েবসাইট তৈরির অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ লাগবে।
ব্লগ তৈরির বেসিক জিনিসের মধ্যে রয়েছেঃ
- একটি ডিভাইস (স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার),
- ইন্টারনেট কানেকশন,
- মোবাইল/কম্পিউটার চালানোর বেসিক দক্ষতা।
ওয়েবসাইট তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো হলোঃ
- একটি ডোমেইন নাম,
- একটি ওয়েব হোস্টিং,
- এবং, SSL certificate.
জেনে রাখা ভালোঃ ডোমেইন হলো ওয়েবসাইটের নাম যা ঐ ওয়েবসাইটের এড্রেস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আর ওয়েব হোস্টিং হলো ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো ইন্টারনেটে লোড এবং প্রদর্শন করানোর জন্য ভার্চুয়াল স্পেস/ম্যামুরী।
কিভাবে একটি প্রফোশনাল ব্লগ তৈরি করা যায়?
প্রফেশনাল একটি ব্লগ তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। তারপর সে ওয়েবসাইটে নিয়মিত ব্লগ পোস্ট করে যেতে হবে। তাহলেই আপনি ব্লগ তৈরি করে সেখানে ব্লগিং করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
এবং ব্লগিং করার উদ্দেশ্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আরো কিছু অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের প্রয়োজন হবে যা সম্পর্কে উপরে একবার বলেছি। সেগুলো সংগ্রহ করতে হলে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে।
এখন আসুন কিভাবে ব্লগ তৈরি করবো সে সম্পর্কে কথা বলি। প্রথমেই আপনাকে একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং যেকোনো কম্পানি থেকে কিনে নিতে হবে। তারপর কম্পানি আপনাকে কন্ট্রোল প্যানেল দিবে সেখানে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা হয়ে গেলে আপনি সবকিছু(যেমনঃ পোস্ট করা, ব্লগ ডিজাইন করা, বিভিন্ন ফিচার যুক্ত করা, ইত্যাদি) সে WordPress Admin Dashboard থেকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। এভাবেই মূলত একটি ব্লগ তৈরি করতে হয়।
- ওয়ার্ডপ্রেস কাকে বলে
- ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি পরিপূর্ন গাইডলাইন
প্রফেশনাল একটি ব্লগ তৈরি করার নিয়ম
ব্লগ তৈরি করা আসলে কঠিন কিছু না বরং ব্লগ তৈরি করার নিয়ম অনেক সহজ। তবে নতুনরা ব্লগ তৈরি করতে গিয়ে অনেক ভুল করে বসে। তাই নতুনদের জন্য প্রফেশনালভাবে ব্লগ তৈরির নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। এই ব্লগ তৈরির টিউটোরিয়াল থেকে কিভাবে ব্লগ তৈরি করবেন সে বিষয়টি যেকেউ শিখে নিতে পারবেন (How to Start a Blog).
Follow the Steps below:
1. ব্লগের জন্য ডোমেইন নাম নির্বাচন করুন
ব্লগ তৈরি করার জন্য প্রথমে ব্লগের জন্য একটি নাম বাছাই করতে হবে। আর এই নামকে বলা হয় Domain Name. গ্রহনসাধ্য রয়েছে এমন একটি ডোমেইন আপনাকে বাছাই করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে বিকাশে টাকা দেওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন কম্পানি থেকে ডোমেইন ক্রয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, বছরে বছরে এটি আবার টাকা দিয়ে রিনিউ করতে হবে।
2. একটি হোস্টিং ক্রয় করুন
হোস্টিং হলো আপনার ব্লগ অনলাইন করার একটি মাধ্যম। এটিকে অনেকে সার্ভার বা ওয়েব হোস্টিং সার্ভার নামে চিনে। একটি ব্লগ তৈরি করতে ওয়েব হোস্টিং অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান।
এটিও আপনি বিভিন্ন কম্পানি থেকে কিনে নিতে পারবেন।
হোস্টিং যদি আপনি ১ বছরের জন্য কিনেন তাহলে পরবর্তী বছর আবার সেটি রিনিউ করতে হবে। এবং রিনিউ করার খরচ কেনার খরচ থেকে বেশি হয়ে থাকে।
সুসংবাদ হলো, যদি আপনি এক বছরের জন্য হোস্টিং ক্রয় করেন তাহলে অধিকাংশ হোস্টিং প্রোভাইডার আপনাকে ১ বছরের জন্য ফ্রি ডোমেইন প্রোভাইড করবে।
বি.দ্রঃ ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনার পর আপনার প্রথম কাজ হচ্ছে আপনার কেনা ডোমেইনটি একটি হোস্টিং এর সাথে কানেক্ট করা।অর্থাৎ, nameserver update করা। কিন্তু একই কম্পানি থেকে প্রথমবার ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করলে অটোমেটিক ডোমেইনের সাথে হোস্টিং-এর নেম সার্ভার সংযুক্ত হয়ে যায়।
3. ওয়েবসাইট বিল্ডার (ওয়ার্ডপ্রেস) ইন্সটল করুন
তো ডোমেইন হোস্টিং সেটাপ করার পর ব্লগ তৈরি করার জন্য আপনার প্রথম কাজ হলো ওয়েবসাইট বিল্ডার ইন্সটল করা।
ওয়েবসাইট বিল্ডার হিসেবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে পারেন। ওয়ার্ডপ্রেস হলো বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বিল্ডার।
আপনি যখন একটি হোস্টিং কিনবেন তখন আপনাকে একটি সি প্যানেল দেওয়া হবে। সেই সিপেনেল থেকে আপনি আপনার সার্ভার এবং সার্ভারে রাখা ফাইল এবং ডাটাবেজ এক্সেস করতে পারবেন। অর্থাৎ, আপনি সেখানে বিভিন্ন ওয়েবসাইট রাখতে পারবেন, ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করতে পারবেন, ওয়েবসাইটের বেক-আপ রাখতে পারবেন ইত্যাদি।
কিন্তু, ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে নিলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে সি প্যানেলে যেতে হবে না। তার কারন, সবকিছু আপনি ওয়ার্ডপ্রেস থেকেই ম্যানেজ করতে পারবেন।
আর যেহেতো ব্লগ ডিজাইন করা, ব্লগে আর্টিকাল পাবলিশ করা, ব্লগ পেইজ ক্রিয়েট করা ইত্যাদি ওয়ার্ডপ্রেস থেকেই ম্যানেজ করা যায়, তাই আপনাকে প্রথমে সি প্যানেল থেকে 1 click WordPress Installer এর মাধ্যমে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করে নিতে হবে ।
4. ওয়ার্ডপ্রেস Admin Dashboard এ লগ-ইন করুন।
আপনার ব্লগের জন্য ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা হয়ে গেলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আপনার সম্পূর্ণ ব্লগ সাইট কন্ট্রোল বা ম্যানেজ করতে পারবেন।
এটি করার জন্য আগে আপনাকে WordPress Dashboard এ লগ-ইন করতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেসে লগিন করার জন্য আপনাকে যেকোনো একটি ব্রাউজারে গিয়ে আপনার সাইটের এড্রেসের পর wp-admin লিখে সার্চ করতে হবে।
উদাহরনঃ www.Abcd.com/wp-admin
তারপর ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার সময় যেই ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন তা দিয়ে সহজেই ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ড-এ লগ-ইন করতে পারবেন।
5. ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল
ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার পর আপনার ব্লগ তৈরির কাজ ৯০% হয়ে গেছে। কিন্তু ঐ মূহুর্তে আপনার সাইট ভিজিট করতে দেখবেন সাইটের ডিজাইন ঠিক নাই।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে কিভাবে ব্লগ ডিজাইন করা যায়?
ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ওয়ার্ডপ্রেস থিম। বিভিন্ন প্রকার ব্লগের জন্য আপনি বিভিন্ন ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস থিম পেয়ে যাবেন।
আপনার ব্লগে ডিজাইন করার জন্য চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো একটি WordPress Theme ইন্সটল করুন, তাহলেই আপনার ব্লগ তৈরির কাজ ১০০% হয়ে যাবে।
ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করার জন্য, বামপাশের মেনু থেকে appearance-এ চলে যাবেন। এবং সেখান থেকে Theme অপশনে গিয়ে আপনার যে থিমটি পছন্দ হয় তা বাছাই করে নিবেন। এবং সেটি ইন্সটল করে এক্টিবেট করে ফেলুন।
তারপর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এবং দেখতে পাবেন সেখানে নতুন একটি ডিজাইন তৈরি হয়ে গেছে।
6. ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট করুন
ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করার ফলে আপনার ব্লগ তৈরি করা হয়ে গেছে। এখন আপনি ইচ্ছামতো সেখানে আর্টিকাল প্রকাশ করতে পারবেন ।
ব্লগ পোস্ট করার জন্য, ওয়ার্ডপ্রেস ড্যাশবোর্ডের বামপাশের মেনু থেকে Post অপশনে যেতে হবে।
তারপর আপনার আর্টিকালের একটি টাইটেল দিয়ে সুন্দর করে আর্টিকাল লিখতে হবে।
তারপর Publish বাটনে ক্লিক করলেই আপনার ব্লগ আর্টিকাল প্রকাশিত হয়ে যাবে।
ফ্রি উপায়ে ব্লগ তৈরি করার নিয়ম
ফ্রি ব্লগ তৈরি করতে আপনাকে এক টাকাও খরচ করতে হবে না। আপনার যদি Blogger.com স্বমন্ধে আইডিয়া থাকে তাহলে ঘরে বসেই ২ মিনিটেই একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন। কিন্তু সেক্ষত্রে আপনি কোনো উচ্চমানের ডোমেইন নাম পাবেন না। আপনাকে সাব-ডোমেইন ব্যবহার করতে হবে।
যেমনঃ www.mydomain.blogspot.com
ব্লগার একাউন্ট কিভাবে খুলবো তা জানতে বিস্তারিত পড়ুন- বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরির নিয়ম।
ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য আপনাকে প্রথমে চলে যেতে হবে blogger.com এ। তারপর নিচের নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবেঃ
১। Create Your Blog বাটনে ক্লিক করুন।
২। আপনার ব্লগের একটি টাইটেল দিন।
৩। ফ্রি ব্লগের জন্য একটি URL বাছাই করুন। যেমনঃ letestbdnews.blogspot.com
ব্যাস, হয়ে গেল আপনার ফ্রি ব্লগ। এখন এখানেও থিম অপশন রয়েছে। সেখান থেকে যেকোনো একটি ডিজাইন সিলেক্ট করে দিলেই আপনার ওয়েবসাইটতি ওয়ি ডিজাইনের মতো হয়ে যাবে।
ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায় কিভাবে?
এবার হচ্ছে মূল পাঠ। কারন, আপনি একটি ব্লগ খুলে রেখে দিলেন কিন্তু সেখান থেকে কোনো আয় হচ্ছে না। এটা তো আর হয় না। তাই আপনাকে আয় করতে হবে। ব্লগ তৈরি করে আয় করার উপায়গুলো হলোঃ
- গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ব্লগ থেকে টাকা আয়।
- ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয়
- এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম
- ব্যাকলিংক বিক্রি করে টাকা আয়
- সাইটের এসইও করে অর্থ উপার্জন
- অন্যান্য সাইটের জন্য ক্লায়েন্ট জোগার করে দিয়ে রোজগার
- স্পন্সর বিজ্ঞাপন দিয়ে এবং ইত্যাদি উপায়ে ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়।
তো ব্লগ তৈরি করে কিভাবে এর থেকে আয় করা যায় তা আরো বিস্তারিত জানতে নিচের আর্টিকালটি পড়ুন দেখে নিন-
ব্লগ তৈরির ব্যাপারে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর (FAQs)
কোন উপায়ে ব্লগ তৈরি করবো – ফ্রি নাকি পেইড?
যদি আপনি প্রফেশনাল একটি ব্লগ তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে টাকা দিয়ে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে অর্থাৎ পেইড উপায়ে ব্লগ সাইট তৈরি করেন। কারন, ফ্রি ব্লগে ব্লগিং করে সফল হওয়া কষ্টসাধ্য।
প্রথমে ফ্রি ব্লগ তৈরি করে কিছুদিন পর সেটাকে ওয়ার্ডপ্রেস এ নিতে পারবো?
হ্যা, পারবেন। কিন্তু সেখানে কিছু অসুবিধা হবে যেমন Blogger দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করলে সেখানে লিংকগুলোতে তারিখ বসানো থাকে। ওয়ার্ডপ্রেসে ট্রান্সফার করলে লিংকগুলো তেমনই থাকবে। আর যদি আপনি লিংক পরিবর্তন করেন তাহলে এসইও তে খারাপ প্রভাব পড়বে।
ব্লগ তৈরি করার পর টেকনিকাল সমস্যা হলে কিভাবে সমাধান করবো?
এটা একটা ভালো প্রশ্ন। নতুন অবস্থায় একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বানালে সেখানে বিভিন্ন সমস্যা হতেই পারে। সেগুলো আপনাকেই সমাধান করতে হবে। গুগলে সার্চ করে এবং ইউটিউবে ভিডিও দেখে আপনি টেকনিকাল সমস্যার সমাধান করবেন। তা না পারলে আমাদের এখানে কমেন্ট করবেন, আমরা আপনাকে সমাধান বলে দিবো ইনশাআল্লাহ।
পরিশেষে
আশা করি ব্লগ তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে পরিপূর্ন একটি ধারনা অর্জন করেছেন। এখন আপনি চাইলে ফ্রি অথবা পেইড উভয় উপায়ে ব্লগ তৈরি করতে পারবেন।
আপনি যদি ব্লগ তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে আজই একটি নতুন ব্লগ তৈরি করে ফেলুন। এবং সেখানে লেখালেখি করার মাধ্যমে আয় করা শুরু করে দিন।
I’m also starting a blog.
Got some motivation by reading it.