google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই – কিভাবে তৈরি করবো?

আপনি হয়তো ভাবছেন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। তাই হয়তো গুগলে এসে সার্চ করেছেন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই ওয়ার্ডটি লিখে। ওয়েবসাইট তৈরি নিয়ে অনেক আর্টিকাল আপনি সেখানে পেয়ে যাবেন ঠিকই।

কিন্তু কেউ আপনাকে সঠিকভাবে ওয়েবসাইট তৈরির উপায় ব্যাখ্যা করবে না। কিন্ত আমাদের এই আর্টিকালে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই এবং এর সহজ উপায় কি তা সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হবে।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কিছু জিনিসের দরকার হয়। সর্বোপ্রথম যে জিনিসটি লাগবে তা হলো একটি ডিভাইস (মোবাইল অথবা কম্পিউটার) এবং ইন্টারনেট কানেকশন।

ডিভাইস হিসেবে আপনি চাইলে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন, কোনো সমস্যা নাই।

তারপর ভালোমানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে আরো কিছু জিনিস দরকার হবে। যেমনঃ ডোমেইন, হোস্টিং, ওয়ার্ডপ্রেস, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইত্যাদি।

আবার, চাইলে ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে একটি ডিভাইস এবং ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া আর কিছুই লাগবে না।

তো, চলুন এবার ওয়েবসাইট তৈরির উপায় জেনে নেওয়া যাক।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই, উপায় কি?

আমরা অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই কিন্তু মনে করি ওয়েবসাইট তৈরি করতে প্রথমে কোডিং জানতে হয়। মনে করি ওয়েব ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে হয়।

তাই অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাহস পাই না।

আসলে বর্তমান প্রযুক্তির এত উন্নয়ন হয়েছে যে এখন ওয়েবসাইট বানাতে আর আগের মতো কোডিং করার দরকার পরে না।

কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিমিষেই ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা যায়। যেমনঃ WordPress, Blogger, Wix, Weebly, ইত্যাদি।

তবে, ওয়েবসাইট তৈরির সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত সফটওয়্যার হলো WordPress.

ওয়েবসাইট কিভাবে বানাবো?

ওয়েবসাইট বানানোর কথা আসলে প্রথমে চিন্তা করতে হবে আপনি কি ধরনের ওয়েবসাইট বানাবেন; আপনার ওয়েবসাইট বানানোর মূল উদ্দেশ্য কি; আপনি কি ফ্রি ওয়েবসাইট বানাবে নাকি পেইড।

প্রথমে বলে রাখি, ফ্রি ওয়েবসাইটে আপনি সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন না। তবুও দেখে নিন – কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়

তাহলে, আপনি হয়তো ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইবেন। তাহলে, প্রথমে আপনাকে ডোমেইন এবং হোস্টিং নিয়ে প্ল্যান করতে হবে।

যদি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ভালোমানের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই তাহলে আগে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে হবে।

তারপর ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হবে। এবং ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টমাইজেশন করে ওয়েবসাইটটি তৈরি করে নিতে হবে।

ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম (Step by step)

যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই তাহলে নিচের স্টেপগুলো অনুসরন করুন এবং খুব সহজে বানিয়ে নিন ভালোমানের একটি ওয়েবসাইট।

এখানে ওয়েবসাইট বানানোর উপায় সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো। বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম

১। ডোমেইন কিনুন

ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন খুব গুরুত্বপূর্ন একটি অংশ। ডোমেইন হলো একধরনের নামবিশেষ যা ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ Techbdtricks.com হলো আমাদের ওয়েবসাইটের ডোমেইন।

প্রতিটি ওয়েবসাইটের একটি ডোমেইন থাকে। তাইলে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাইলে আগে ডোমেইন নেন কিনতে হবে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন কম্পানি থেকে আপনি এই ডোমেইন কিনতে পারবেন। আর তার জন্য বছরে আপনাকে ৭০০-৮০০ টাকার মতো খরচ করতে হবে।

ডোমেইন কেনার জন্য প্রবেশ করুনঃ Hostever.com অথবা Exonhost.com

২। হোস্টিং কিনুন

ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো রাখার জন্য আপনাকে একটি হোস্টিং কিনতে হবে।

ডোমেইন এবং হোস্টিং একই কম্পানি প্রোভাইড করে থাকে। তো, আপনি চাইলে যেকোনো একটি কম্পানি থেকেই ডোমেইন হোস্টিং কিনতে পারবেন।

হোস্টিং কিনলে আপনাকে একটি সি-প্যানেল দেওয়া হবে। সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইট কন্ট্রোল করতে পারবেন।

হোস্টিং এর জন্য আপনার বছরে ১৫০০-২০০০ টাকার মতো লাগতে পারে নতুন অবস্থায়।

৩। ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করুন

যেহেতু ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই সেহেতু ডোমেইন হোস্টিং কেনা হয়ে গেলে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হবে।

কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করতে হয় – দেখে নিন।

ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করলেই মোটামোটি ওয়েবসাইট তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু ওয়েবসাইট একদম সাধামাটা থাকে।

তখন ওয়ার্ডপ্রেস থিম এবং বিভিন্ন কন্টেন্ট দিয়ে পরিপূর্নভাবে ওয়েবসাইট বানানো হয়ে যায়।

৪। ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করুন

ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল দিয়ে তা কাস্টমাইজেশনের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বানাতে হবে। যদি তা না করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে শুধুমাত্র সাধা একটি পেজ হয়ে থাকবে।

তাই বিভিন্ন কন্টেন্ট সুসজ্জিতভাবে প্রকাশ করার জন্য প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেস থিম ইন্সটল করুন। এবং থিমের Header, Menu, Widget, Sidebar, Footer ইত্যাদি সুন্দর করে ডিজাইন করুন।

এটি Drag and Drop এর মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবেন। সেজন্য কোড লিখার প্রয়োজন হবে না।

৫। কন্টেন্ট পাবলিশ করুন

উপরের সবকিছু ঠিকঠাক মতো করলে ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ সম্পূর্ন হয়ে যাবে। এখন ওয়েবসাইটের মূল উদ্দেশ্য সাধনের পালা।

যদি আর্টিকাল লিখে টাকা আয় করতে চাই তাহলে ওয়েবসাইটে আর্টিকাল পাবলিশ করতে থাকুন। আর যদি কোনো বিজনেসের লক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই তাহলে আপনার বিজনেস রিলেটেড কন্টেন্ট পাবলিশ করুন।

আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি সাজানো-গুছানো কন্টেন্ট থাকবে ওয়েবসাইটটি দেখতে ততই আকর্ষণীয় লাগবে।

ওয়েবসাইট তৈরি সম্পর্কে সাধারন জিজ্ঞাসাবলী

ওয়েবসাইট তৈরির খরচ মোট কত হতে পারে?

ওয়েবসাইট তৈরির খরচ কত তা নির্ভর করে আপনি কেমন ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে চান তার উপর।

যেমন আপনি যদি একটি পার্সোনাল ওয়েবসাইট বানাতে চান যেখানে শুধুমাত্র আপনার ইনফরমেশনগুলো থাকবে তাহলে অনেক কম খরচ হবে।

কিন্তু যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট কিংবা নিউজপোর্টাল বানাতে চান যেখানে হাজার হাজার ভিজিটর আসবে তাহলে অবশ্যই বেশি টাকা খরচ করতে হবে।

কারন, ব্লগে বেশি ভিজিটর আসলে উন্নতমানের হোস্টিং ব্যবহার করতে হয়। তা না হলে সাইট লোড নিতে অনেক বেশি সময় নেয় যা এসইও-তে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

Recommended: এসইও কি এবং কিভাবে ওয়েবসাইটের এসইও করতে হয়

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত সময় লাগে?

বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরি করতে বেশি সময় লাগে না। ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জানা থাকলে একটি ডোমেইন হোস্টিং কিনে ১০-২০ মিনিটের মধ্যেই একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিতে পারবেন।

কিন্তু ওয়েবসাইটের সুন্দর ডিজাইন করতে কিছু সময় বেশি লাগতে পারে। আপনি যদি একটি থিম ইন্সটল করে ডিজাইন করতে চান তাহলে প্রায় ১ দিন সময় লাগতে পারে।

তাই বলা যায়, ১ দিনের মধ্যেই একটি ভালোমানের ওয়েবসাইট তৈরির কাজ সম্পূর্ন করা যায়।

ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই, কিভাবে করবো?

ফ্রিতে অনেকভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। যদি ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে আপনি আপনাকে Blogger.com ব্যবহার করার জন্য সাজেস্ট করবো।

কারন এখানে আপনি something.blogspot.com নামের একটি ডোমেইন এবং গুগলের একটি হোস্টিং পেয়ে যাবেন।

আর এখানে নিয়মিত আর্টিকাল প্রকাশ করে এসইও করার মাধ্যমে ফ্রিতে অনেক ভিজিটরও পেতে পারেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করতে চাই

ওয়েবসাইট তৈরি করে অনেক উপায়ে টাকা আয় করা যায়। এর মধ্যে রয়েছে গুগল এডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সরশীপ রিভিও, গেস্ট ব্লগিং, নিজস্ব পণ্য বিক্রি, ইত্যাদি।

যদি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই এবং সেখান থেকে টাকা আয় করতে চাই তাহলে ওয়েবসাইটে নিয়মিত কাজ করতে হবে। নিয়মিত লেখালেখি করতে হবে।

অবশ্যই পড়ুনঃ

ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

ওয়েবসাইট থেকে অনেক টাকা আয় করা যায়। আমি দেখেছি কেউ কেউ ওয়েবসাইট তৈরির ১ বছর পর থেকে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা আয় করে।

আবার অনেককে দেখেছি ওয়েবসাইট তৈরি করে ৬ মাস কাজ করেই এর পর থেকে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করে।

তো আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে কত টাকা আয় করতে পারবেন তা নির্ভর করে আপনার ওয়েবসাইটের ধরনের উপর এবং আপনার দক্ষতার উপর।

কিন্তু যদি সব নিয়ম মেনে ব্লগিং করেন তাহলে এক বছর পর থেকে আপনার ইনকাম শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। তখন মাসে ১০-২০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করার উপায় কি

ফ্রি ওয়েবসাইট করে সেখান থেকে টাকা আয় করা আসলে অনেক কঠিন।

কারন, ব্লগার দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে ভিজিটর নিয়ে আসতে আপনাকে অনেক প্ররিশ্রম করতে হবে।

কারন, যারা প্রোফেশনাল ব্লগার তারা ভালোমানের পেইড ওয়েবসাইট দিয়ে কাজ করে।

আর আপনি ফ্রি ওয়েবসাইট দিয়ে তাদের সাথে প্রতিযোগীয়া করে জয়ী হতে পারবেন না। আর গুগল র‍্যাংকিং এ প্রতিযোগীতা করে জয়ী হতে না পারলে বেশি ফ্রি ট্র্যাফিক বা ভিজিটর পাবেন না। ফলে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন না।

তাই কিছু টাকা বেশি খরচ হলেও টাকা দিয়ে আপনার ব্লগিং ভ্রমন শুরু করুন।

শেষ কথা

ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাই যদি হয় আপনার প্রশ্ন তাহলে আজকের আর্টিকালটি হচ্ছে তার সমাধান। আশা করি ওয়েবসাইট তৈরি নিয়ে যত সমস্যা ছিল সব গুছে গেছে।

তবুও যদি আপনার মনে এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাকে জানাবেন। আপনাকে সহযোগীতা করার জন্য আমি এবং আমার টীম সর্বধা প্রস্তুত।

আমাদের সাথেই থাকুন, ধন্যবাদ।

Check Also

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় -Passive Income and Active Income

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় এটি নিয়ে অনেক মানুষের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *