আপনি কি অনলাইন থেকে ফেসবুকের মাধ্যমে টাকা আয় করতে চান? আপনি খুব সহজেই ঘরে বসে এটি করতে পারবেন। এর জন্য শুধু দরকার হবে শুধু জ্ঞান এবং দক্ষতা। জ্ঞান, দক্ষতা এবং ফেসবুক চালানোর জন্য একটি ডিভাইস (মোবাইল অথবা কম্পিউটার) হলেই ফেসবুকে সহজ উপায়ে টাকা আয় করা যায়।
১৫ টির বেশি উপায়ে আপনি ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায় হলো ফেসবুক বিজনেস পেইজ থেকে টাকা আয় করা।
একটি বিজনেস পেইজ থাকলে ফেসবুক থেকে ঘরে বসে হাজার উপায়ে ইনকাম করার সুযোগ থাকে।
দেশে হাজার হাজার মানুষ ফেসবুক থেকে আয় করছে।
আমাকে তাই অনেকে জিজ্ঞাসা করে যে ভাই কিভাবে ফেসবুকে টাকা আয় করবো? তাদের সবার জন্য আমার আজকের আর্টিকালটি যথেষ্ঠ।
কারন, ফেইসবুক থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এর ১৫ টি সহজ উপায় নিয়ে আজকে আলোচনা করবো।
আপনি হয়তো আগে কোথাও শুনেছেন অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায় এবং এর জন্য বিভিন্ন apps রয়েছে। কিন্তু এটা শুনে অভাক হচ্ছেন facebook app এর মাধ্যমেই অনলাইনে টাকা উপার্জন করা যায়।
অনলাইনে আরো অনেক টাকা আয় করার apps আছে, কিন্তু এদের মধ্যে সবগুলো বিশ্বস্ত না। কিন্তু ফেসবুক একদম বিশ্বস্ত একটি প্লাটফর্ম যেখানে আপনি ক্যারিয়ার গড়ার বিভিন্ন উপায় খুজে পাবেন। যেমন ফেসবুক পেইজ থেকে ইনকাম, লাইক দিয়ে টাকা আয় কিংবা ভিডিও তৈরি করে আয় ইত্যাদি।
নিচে ধাপে ধাপে আলোচনা করা হলোঃ
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার ১৫ উপায়
১। ফেসবুক বিজনেস পেইজ থেকে টাকা আয়
ফেসবুক বিজনেস পেইজ হলো এক ধরনের ওয়েব পেজ যেখানে বিভিন্ন সেবা-পরিসেবা চালানো যায় এবং সেখানে বিজনেস করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যায়।
ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করার অন্যতম একটি সহজ এবং কার্যকরী মাধ্যম হলো এই বিজনের পেইজ তৈরি করা। যে কেউ চাইলে খুব সহজে একদম ফ্রি-তে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করে নিতে পারেন।
এবং সেই পেইজ মার্কেটিং করে ফলোয়ার জড়ো করে পারেন। যার পেজে যত বেশি ফলোয়ার থাকবে সে সবচেয়ে দ্রুত এবং সহজেই ফেসবুকে টাকা ইনকাম করতে পারবে। বিশেষ করে আপনার যদি কোনো ব্যাবসা থাকে তাহলে সেই ব্যাবসার জন্য একটি ফেসবুক পেইজ তো অবশ্যই থাকা উচিত।
ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যাবসার কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সার্ভিসের বেশি-বেশি প্রচার-প্রচারনা করতে পারবেন। এর ফলে আপনি বেশি-বেশি কাস্টমার পাবেন। এতে করে ফেসবুকে আপনার পণ্য বিদ্ধির হার বেড়ে যাবে।
তাছাড়া ফেসবুকে পেইজের মাধ্যমে আরো অনেক উপায়ে টাকা আয় করা যায় কিভাবে তা নিচে গেলে আস্তে আস্তে জানতে পারবেন। যেগুলো নিচে পর্যায়ক্রমে জানতে পারবেন।
২। ফেসবুকে Instant Article থেকে টাকা আয়
মোবাইল ইউজারদের দ্রুত খবর পড়ার সুবিধা দিতে ফেসবুক নিয়ে এসেছে ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল (Instant Article)।
খেয়াল করলে দেখতে পাবেন কিছু খবর বা শিরোনামে সঙ্গে বজ্রের মতো একটি চিহ্ন দেওয়া থাকে এবং সে শিরোনামের লিংকে ক্লিক করলে ফেসবুকের মধ্যেই খবরটি ওপেন হয়।
এর জন্য আবার অন্য ব্রাউজার ওপেন করতে হয় না।
ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল থেকে ক্লিক করে কোনো পোস্ট পড়তে গেলে সেখানে অনেক বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন।
এই বিজ্ঞাপন দেখানোর বিনিময়েই ফেসবুক ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল প্রকাশককে টাকা দিয়ে থাকে।
বিশ্বের বড় বড় সংবাদ মাধ্যমগুলো ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেলের মধ্যমে বিভিন্ন খবরা-খবর প্রকাশ করে থাকে।
দ্রুত সাইটে প্রবেশ, ফেসবুকেই পাঠকদের পড়ার সুবিধা এবং ওয়েবসাইটের মালিকদের সঙ্গে রেভিনিউ শেয়ার করার জন্য এই ফিচারটি চালু করেছে ফেসবুক।
আপনার যদি নিজস্ব কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে এবং সেখানে পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকে তাহলেই কেবল এই ফিচারটির মাধ্যমে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন।
Instant Article এর মাধ্যমে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়?
Facebook Instant Article এর মাধ্যমে অনেকেই ফেসবুকে লাখ লাখ টাকা আয় করে, কিন্তু এর জন্য আপনার ফেসবুক পেজে পর্যাপ্ত পরিমানে ফলোয়ার থাকতে হবে। তাছাড়া ফেসবুকের সিটিআর রেট খুবই জঘন্য। অনেকেই ফেসবুকের এ রেটের জন্য বিরক্ত।
আপনার পেইজটি কতটা জনপ্রিয় তার ওপর নির্ভর করবে আপনার আয় কত হবে। সাইটের ভাষা বাংলা নাকি ইংরেজি এটি কোনো বিষয় নয়। তবে, ইউরোপীয় দেশ তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ থেকে যদি ক্লিক পড়ে তাহলে আপনার আয় তুলনামূলক বেশি হবে।
জেনে রাখা ভালো বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠান মাসে লাখ টাকার বেশি আয় করে শুধুমাত্র ফেসবুকের এই ইন্সট্যান্ট আর্টিকাল ফিচারটি ব্যবহার করে। আয়ের টাকা ১০০ ডলার হলেই সরাসরি চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এবং সেজন্য ফেসবুকের সাথে আপনার ব্যাংক একাউন্টটি যুক্ত করতে হবে।
৩। ফেসবুক ভিডিও থেকে আয়
ইউটুবে ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করা যায় এটা হয়তো আমরা সবাই জানি। কিন্তু, আজ আমরা জানবো, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে কিভাবে টাকা আয় করা যায়।
ফেসবুকের ভিডিও-তে বিজ্ঞাপন দেখানোর এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় In-Stream Ads. আপনার যদি যদি ভালো মানের একটি ফেসবুক পেজ থাকে। অর্থাৎ, আপনার পেজে যদি ভালো ফলোয়ার থাকে এবং পোস্টগুলোতে যদি নিয়মিত বেশি বেশি ভিউ আসে, তাহলে আপনি আপনার পেজে ভিডিও আপলোড করে লাভবান হতে পারেন।
আপনার পেইজ ফেসবুক ইন-স্ট্রীম এডের জন্য মনিটাইজ করার পর, আপনার ভিডিওতে ফেসবুক বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখাবে। এবং এসকল বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য ফেসবুক আপনাকে টাকা দিবে।
আপনার ফেসবুক পেইজের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতে হলে আপনার পেইজের কিছু যোগ্যতা থাকা উচিত। যেগুলো পরিপূর্ণ করলেই আপনি আপনার ফেসবুকে ভিডিও মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
ফেসবুক ভিডিও মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য যা যা লাগবেঃ
- একটি ফেসবুক পেইজ থাকতে হবে।
- আপনার ফেসবুক পেইজে ১০,০০০ লাইক থাকতে হবে।
- গত ৬০ দিনে ভিডিওতে মিনিমাম ৩০,০০০ ভিউস থাকতে হবে।
- প্রত্যেকটি ভিউ মিনিমাম ১ মিনিটের হতে হবে।
- প্রত্যেকটি ভিডিও কমপক্ষে ৩ মিনিট লম্বা হতে হবে।
- আপনার বয়স অবশ্যই কপক্ষে ১৮ হতে হবে।
- ফেসবুক এর Partner Monetization Policies মেনে ভিডিও তৈরি করতে হবে।
৪। ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করে আয়
ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করার জন্য, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস নামে একটি ফিচার চালু করেছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট ডিসপ্লে করা থাকে। এবং যার যেই প্রোডাক্ট পছন্দ হয়, বিক্রেতার সাথে কথা বলে সেটি কিনে নিতে পারে।
আপনি ও চাইলে যেকোনো একটি প্রোডাক্ট নিয়ে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে যুক্ত করতে পারেন। তারপর, আপনার সেই প্রোডাক্টটি অন্য কারো পছন্দ হলে আপনার পেজে মেসেজ পাঠাবে। এবং এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে অনলাইন মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন।
তাছাড়া ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করার আরো অনেক উপায় রয়েছে। যেমনঃ কোনো একটি প্রোডাক্টের বিস্তারিত লিখে পোস্ট করে সেটি ফেসবুকে পেইড বিজ্ঞাপন চালাতে পারেন। এতে করে বেশি বেশি মানুষের কাছে আপনার পোস্টটি পৌছাবে এবং সেখান থেকে আপনার অনেক কাস্টোমার জেনারেট হবে।
চলুন একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করি-
শীতের সময় দেখতে পাবেন আপনার নিউজ ফিডে অনেক ধরনের মধু কিংবা সোয়েটারের পোস্ট চলে আসে। কখনো কি ভেবেছেন কেনো আসে? কিভাবেই বা আসে? কারন যিনি এই মধু কিংবা শীতের জামা বিক্রি করতেছে, তিনি ফেসবুক-কে কিছু টাকা দিয়ে তার পোস্ট বেশি মানুষের কাছে পৌছাচ্ছে।
এটিকে বলা হয়, ফেসবুক পেইড ক্যাম্পেইন বা এড ম্যানেজমেন্ট।
ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং-এর এই বিজনেস করতে অনেকের কোনো পুঁজিও দরকার হচ্ছে না। তো আপনার যদি কোনো পণ্য বা সেবা থাকে তাহলে, আজই শুরু করতে পারেন।
কিভাবে পুঁজি ছাড়া ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং করে আয় করা যায়?
অনলাইন মার্কেটিং বলতে বুঝায় অনলাইনে পন্য বেচা-কেনা করা। আপনার কাছে যদি কোনো পুঁজি না থাকে তাহলেও ফেসবুকে আপনি এই বিজনেসটি করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে আগে বাচাই করতে হবে যে আপনি কোনধরনের পণ্য দিয়ে বিজনেসটি করবেন।
এক্ষেত্রে মনে রাখবেন যেসব পণ্যের চাহিদা সবসময়ই থাকে সেসব পণ্য বাচাই করা আপনার জন্য লাভজনক হবে। আপনি যদি পণ্য হিসেবে মধুকে বাছাই করেন তাহলে শুধু শীতেকালে আপনি লাভবান হতে পারবেন। কেননা শীতকালে মানুষ মধু খেতে বেশি পছন্দ করে।
মনে করুন আপনি যেকোনো একটি পণ্য বাছাই করলেন। তাহলে আপনি যেটি করতে পারেন পাইকারী/খুচরা উভয় দোকানদারের সাথে কথা বলতে পারেন। বলতে পারেনঃ “আমি ফেসবুকে অনলাইন মার্কেটিং বিজনেস করি, তো আপনার দোকানের কিছু প্রোডাক্ট যদি আমাকে একটু কমদামে দেন তাহলে আমি অনেক প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারবো।”
এভাবে বুঝিয়ে দোকাদারদের সাথে ডিল করবেন এবং পরবর্তীতে আপনি কোনো অর্ডার পেলে সরাসরি দোকানদার থেকে সেটি নিয়ে অল্প লাভে ফেসবুকে কাস্টোমারদের কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন।
আপনার ফেসবুক পেজে লাইক বেশি থাকলে লোকজন আপনার প্রোডাক্টগুলো দেখতে পাবে এবং কেউ কেউ সেটি কিনতে অবশ্যই আগ্রহ দেখাবে। আপনি যদি সততার সাথে পন্য ডেলিভারি দেন, তাহলে প্রশংসা শুনে আরো হাজারো লোক দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আপনার প্রোডাক্ট কিনার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।
এভাবে আস্তে আস্তে পুঁজি জমিয়ে বড় করে বিজনেসটি করে ফেসবুকে টাকা আয় করা যায়।
৫। ফেসবুকে অ্যাপ থেকে আয়
প্রোগ্রামার বা গেম ডেভলপারদের জন্য ফেসবুকে টাকা আয় করার রয়েছে এক অপার সম্ভাবনা। ফেসবুক অ্যাপ তৈরির মাধ্যমেও ভালো টাকা উপার্জন সম্ভব। আপনি যদি একজন গেম ডেভেলোপার হন তাহলে আপনি নিজস্ব অ্যাপ তৈরির মাধ্যমেও ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ফেসবুকের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করেন এবং ফেসবুকে পাবলিশ করেন তাহলে ফেসবুক আপনার অ্যাপ ইউজারের উপর ভিত্তি করে আপনাকে নির্দিষ্ট অর্থ প্রধান করবে। এক্ষেত্রে আপনার অ্যাপের ইউজার যত বেশি টাকাও তত বেশি।
ফেসবুকে গেম চালু হওয়ার শুরু দিকে একটি গেম খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, নাম ফার্মভিল। এখন ফেসবুকে লুডু থেকে শুরু করে অনেক গেমস রয়েছে। যারা এই গেমগুলো পাবলিস করে তারা এখন ফেসবুক থেকে বিপুল পরিমানে টাকা পাচ্ছে।
তো আপনিও যদি গেম বানাতে পারেন তাহলে চেষ্টা করতে পারেন।
৬। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে টাকা আয়
অন্যের পণ্যের প্রচার করে বিক্রয়ের উপর কমিশন নিয়ে আসার আরেক নাম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অনলাইনে অনেক ধরনের প্রোডাক্ট বিদ্যমান।
আবার, আমরা অনেকেই প্রোডাক্ট বলতে ফিজিক্যাল পণ্যকে বুঝে থাকি। কিন্তু অনলাইনে শুধুমাত্র ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট নয় অনেক ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্টও রয়েছে। যেমনঃ অডিও, ভিডিও, ই-বুক, ওয়ার্ডপ্রেস থিম, ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগিং সহ নানান কিছু।
আপনারা নিশ্চয় জানেন যে, উন্নত দেশগুলোতে মানুষ এখন আর বাজারে গিয়ে বাজার থেকে প্রোডাক্ট কিনে আনে না। তারা অনলাইনে বিভিন্ন পর্যালোচনা দেখে অর্ডার করে এবং পণ্যটি তাদের বাড়িতে পৌছে যায়। আর অর্ডার করার জন্য বিশ্বাসযোগ্য ই-কমার্স ওয়েবসাইটের মধ্যে Amazon, eBay, Alibaba, Ali express অন্যতম।
তাছাড়া বাংলাদেশে রয়েছে Daraz, BD Shop এর মতো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যেখানে একটি পণ্য বিক্রয়ের জন্য তার প্রচারককে শতকরা হিসেবে কমিশন দিয়ে থাকে।
এসকল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বাদেও এখন প্রায় সকল ওয়েবসাইটেরই একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম থাকে।
আপনি চাইলে এ ধরনের মার্কেটপ্লেসগুলোতে একটি একাউন্ট খোলে তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করতে পারেন। এবং সেখান থেকে যেকোনো প্রোডাক্ট বাছাই করে তা ফেসবুকে প্রচার করার মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারেন।
কিভাবে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম কাজ করে?
যেসকল ওয়েবসাইটে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে আপনি সেই সকল ওয়েবসাইটে একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট খুলবেন। সেখানে থেকে যেকোনো প্রোডাক্ট বাছাই করবেন। এবং সাথে সাথে আপনার জন্য ঐ প্রোডাক্টের একটি অ্যাফিলিয়েট লিংক তৈরি হয়ে যাবে। আপনি মূলত এই লিংকটিকেই প্রচার করবেন।
আপনার প্রচারিত এই লিংক থেকে ক্লিক করে যদি কেউ এই পণ্যটি অনলাইনে ক্রয় করে তাহলে আপনি সেখানে থেকে নির্দিষ্ট পরিমানের কমিশন পেয়ে যাবেন।
কিভাবে ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করা যায়?
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য যেটি বেশি দরকারী সেটি হলো একটি ওয়েবসাইট কিংবা ইউটুব চ্যানেল থাকা। আপনি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট থেকে ইনফরমেশন(পণ্যের ছবি+ অ্যাফিলিয়েট লিংক) নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে সুন্দর করে একটি পর্যালোচনা লিখবেন। এবং আপনার ওয়েবসাইটের লিংকটি পণ্যের ছবিসহ ফেসবুকে শেয়ার করে দিবে।
কিন্তু এক্ষেত্রে ভালো হয় যদি আপনি একটি লেন্ডিং পেইজ তৈরি করে কাজ করেন।
লেন্ডিং পেইজ বলতে বুঝায়, আপনি একটি ওয়েব পেইজ তৈরি করবেন যেখানে পণ্যের ছবি থাকবে এবং নিচে লিখা থাকবে Buy Now, Order Now বা এরকম কিছু একটা। এবং কেউ যদি এই লিখাতে ক্লিক করে তাহলে যেন সরাসরি অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইটে চলে যায়। এবং যদি কেউ প্রোডাক্টটি ক্রয় করে তাহলে আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।
লেন্ডিং পেইজ তৈরি করলে সুবিধা হয় কি? আপনার ওয়েবসাইটের স্পেমিং স্কোর বৃদ্ধি পায় না ফলে আপনার সাইট সুরক্ষিত থাকে।
আর অবশ্যই প্রচারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রুপে এবং নিউজ ফিডে একটি ফেসবুক পেইজ দিয়ে প্রচার করবেন । চাইলে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং ও করতে পারেন।
৭। ফেসবুক পেইজ বিক্রি করে টাকা আয়
এতক্ষনে হয়তো জেনে গেছেন যে ফেসবুক পেইজের গুরুত্ব কি। ডিজিটাল মার্কেটিং করে নিজের একটি বিজনেস দ্বার করাতে ফেসবুকের পেইজের গুরুত্ব অপরিসীম। অনেকের যেমন ফেসবুক পেইজ তৈরি করার সময় নেই, তেমন অনেকের আবার ফেসবুক পেইজের ফলোয়ার বাড়ানো তথা পেইজের মার্কেটিং করার মতো সময় নেই।
তারা সবসময় সহজ রাস্তা খোজে যে কি করে খুব সহজে একটি বিল্ড করা পেইজ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, অনলাইনে অনেক মানুষ আছে যারা বেশি লাইক বা ফলোয়ার আছে এমন পেইজ ক্রয় করতে আগ্রহী।
আপনি চাইলে যেকোনো ধরনের পেইজ তৈরি করে সেখানে লাইক/ফলোয়ার বাড়িয়ে সেটি বিক্রি করে দিয়ে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। এবং সেটি ফেসবুকের মাধ্যমেই বিক্রয় করতে পারবেন।
আসলে ফেসবুক পেজের গুরুত্ব অনেক যা আপনাকে বলে বুঝানো যাবে না। তাই আপনি যদি প্রশ্ন করেন কিভাবে ফেসবুকে টাকা আয় করা যায় তাহলে আমি বলবো আপনি একটি ফেসবুক বিজনেস পেইজ তৈরি করে নিন।
আরো পড়ুনঃ
৮। ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয়
ফ্রিল্যান্সিং মানে হলো, নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অন্য কারো কাজ করে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা।
ফেসবুকের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সিং করার অনেক অপশন আছে, যেমন ফেসবুক পেইজ ম্যানেজ করা, ফেসবুক পেইজ প্রোমোট করা, এড ক্যাম্পেইন করা, এমনকি প্রোফেশনাল ফেসবুক পেইজ তৈরি করে দেওয়া।
মনে করুন আপনার যেকোনো একটি দক্ষতা আছে। ধরুন আপনি খুব ভালো করে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করতে পারেন, অথবা আপনি ফেসবুক পেইড ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন তাহলে ইন্টারনেশনাল মার্কেটপ্লেসে জয়েন করে আপনি ফেসবুকেই এই সকল সার্ভিসগুলো দিতে পারবেন।
কিভাবে ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা যায়?
ফেসবুক যেহেতো বিশ্বের সবচেয়ে বড় একটি মিডিয়া তাই ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করাটাই সবচেয়ে বেশি সহজ। ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আলাদা অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে।
যেমনঃ
- fiverr.com
- upwork.com
- freelancer.com, ইত্যাদি
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য এসব মার্কেটপ্লেস স্বমন্ধে আপনার আইডিয়া থাকতে হবে। মূলত ফ্রিল্যান্সিং করবেন ঐ সকল মার্কেটপ্লেসে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য কাজগুলো আপনি ফেসবুকের মাধ্যমে যোগার করে নিতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ফাইবার কি? কিভাবে fiverr একাউন্ট খুলবো
যেমন আপনি যদি ফটো ডিজাইন তথা লগো ডিজাইন, ব্যাকগ্রাউন্ড রিমোব, টি-শার্ট ডিজাইন ইত্যাদি কাজ করে ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান তাহলে এই বিষয় নিয়ে যাবতীয় যত গ্রুপ রয়েছে সবগুলোতে জয়েন করে সেখানে আপনার স্কিল শেয়ার করতে পারেন। আপনার কাজ দেখে মানুষের পছন্দ হলে অবশ্যই আপনাকে তারা কাজ দিবে । এবং এভাবেই ফেসবুকে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করা যায়।
৯। ফেসবুক গ্রুপ থেকে টাকা আয়ঃ
ফেসবুক গ্রুপ পারস্পরিক ভাব বিনিময়ের একটি সহজ মাধ্যম। সেখানে প্রতিদিন সবাই সবার নিজের মতো করে পোষ্ট করতে পারে।
ফেসবুক পেজের মধ্যে শুধু মাত্র আপনি একা পোস্ট করতে পারবেন। আপনার ফলোয়ারস রা পোস্ট করতে পারবে না। কিন্তু ফেসবুক গ্রুপে যে কেউ পোস্ট করতে পারে এবং যে কেউ সেখানে কমেন্টে সমাধান দিতে পারে।
তাই টাকা আয় করার অন্যতম সহজ মাধ্যম হতে পারে ফেসবুক গ্রুপ। ফেসবুকে গ্রুপ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় তার কয়েকটি উদাহরন দিচ্ছি।
পণ্য বেচাকেনা করে-
আপনার যদি যেকোনো পণ্য আপনার ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সহজেই বিক্রি করতে পারবেন। এর জন্য আপনার ফেসবুক গ্রুপে পর্যাপ্ত মেম্বার থাকতে হবে, এবং মেম্বারগন কোন বিষয়ে আগ্রহী সেটি আপনাকে খুজে বের করতে হবে।
মেম্বাররা যেই বিষয়ে আগ্রহী সেই বিষয়ের পণ্য কিংবা সার্ভিস বিক্রি করে ফেসবুকে গ্রুপ থেকে টাকা আয় করা যায়।
আপনি চাইলে একটি গ্রুপ তৈরি করে আজই এটি শুরু করতে পারেন।
গ্রুপে এডমিন ডিল করে–
মনে করুন আপনার একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে অর্থাৎ আপনি গ্রুপের এডমিন। আপনার গ্রুপটি যদি অনেক বড় হয় তথা গ্রুপ মেম্বার অনেক বেশি হয় তাহলে অবশ্যই আপনি তাদের পরিচিত হবেন।
এখন ২ জন মানুষ যদি অনলাইনে কোনো কিছু ক্রয় বা বিক্রয় করতে চায় তাহলে উভয়েই একটু দ্বিধার মধ্যে থাকে। একজন মনে করে সে টাকা নিয়ে পণ্যটি দিবে না আবার আরেকজন মনে করে পণ্যটি দিয়ে দিলে সে টাকা দিবে না। এরকম প্রতারিত হওয়ার ভয় সবার মধ্যেই থাকে।
তো আপনি যদি তাদের উভয়ের বিশ্বস্ত এডমিন হয়ে থাকেন তাহলে ওদের ডিলটি আপনি করে দিতে পারবেন এবং আপনার সময় দেওয়ার জন্য কিছু অর্থ চার্জ করতে পারবেন।
যদিও এখন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট কেনাবেচার জন্য কোরিয়ান সার্ভিসে ক্যাশ অন ডেলিভারি সিস্টেম রয়েছে কিন্তু ডিজিটাল প্রোডাক্ট বেচা-কেনার সময় এই ঝামেলাটি হয়ে থাকে।
তাই, আপনি আপনার গ্রুপে এডমিন ডিলের সার্ভিসটি প্রোভাইড করতে পারেন এবং সেখান থেকে কিছু একটা ইনকাম করতে পারেন।
প্রোমোশনাল পোস্ট অফার করে-
অনেক কম্পানি বা ব্যাক্তিবর্গ রয়েছে যারা তাদের পণ্য বা ব্যান্ড সবার মধ্যে প্রচার করতে চায়। আপনার যদি নির্দিষ্ট টপিকের উপর একটি ফেসবুক গ্রুপ থাকে এবং সেখানে বিপুল মেম্বার থাকে তাহলে তাদেরকে প্রোমশনাল পোস্ট করার সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমেও আপনি টাকা আয় করতে পারবেন।
মনে করুন , আপনার ব্লগিং ট্রিপ্স রিলেটেল একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে যেখানে সবাই ব্লগিং তথা ওয়েবসাইটে লেখালেখি করে টাকা আয় করতে আগ্রহী। তো যারা ব্লগিং করবে তাদের তো অবশ্যই একটি ডোমেইন এবং একটি হোস্টিং লাগবে।
যারা ডোমেইন হোস্টিং প্রোভাইড করে তারা আপনাকে টাকা দিয়ে আপনার গ্রুপে তাদের কম্পানির প্রোমোশনাল পোস্ট করবে যাতে করে তাদের পণ্য বেশি বিক্রি হয়। আপনি একটি পোস্টের জন্য ১০০০ টাকা চার্জ করতে পারেন।
কভার ফটো বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমে-
গ্রুপের মধ্যে প্রবেশ করার পর যেই জিনিসটি সবার আগে চোখে পরে তা হলো গ্রুপের কভার ফটো। আপনার যদি একটি বড় কমিউনিটি গ্রুপ থাকে তাহলে আপনি এই কভার ফটো বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন।
প্রোমোশনাল পোস্ট থেকে এই কভার ফটো বেশি কার্যকারী হয়ে থাকে। কারন একটি পোস্ট কিন্ত গ্রুপের সংশ্লিষ্ট সবার কাছে রিচ না ও হতে পারে। কিন্তু যেই গ্রুপে প্রবেশ করুক না কেনো সবার আগে কভার ফটোটি তার চোখে পড়বেই পড়বে। তাই আপনি যেকোনো কম্পানির সাথে ডিল করতে পারেন যে আমি ১ দিনের জন্য আপনার কম্পানির ব্যানারটি আমার গ্রুপের কভারে রাখবো এর জন্য আমাকে ১৫০০ টাকা দিতে হবে।
এভাবে কভারে বিজ্ঞাপন দেওয়ার মাধ্যমেও ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
১০। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা আয়
আপনার যদি আগে থেকে কোনো একটি কম্পানি থাকে অথবা নতুন কোনো কম্পানি দ্বার করাতে চাচ্ছেন তাহলে এই ফেসবুক বিজ্ঞাপন আপনার সঙ্গী হতে পারে।
আপনি চাইলে আপনার কম্পানির বিভিন্ন পণ্য খুব অল্প মূল্যে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে সেখান থেকে অধিক লাভ নিয়ে আসতে পারেন। খেয়াল করলে দেখবেন অনেক পোস্টের উপরে ছোটো করে sponsored নামের একটি শব্দ লেখা থাকে। এর মানে হলো যেই কম্পানি এই পোস্টটি করেছে সে ফেসবুককে টাকা প্রদান করছে বেশি মানুষের কাছে তার পোস্টটি পৌছে দেওয়ার জন্য।
তো আপনি চাইলেও এই ধরনের পোস্ট করে তার ফেসবুকে এড দিয়ে দিতে পারেন। এতে করে আপনার পণ্যটি বেশি বেশি বিক্রি হবে। এবং আপনি বেশি লাভবান হবেন।
১১। ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটিং করে আয়
যার অনেক অনেক ফলোয়ার থাকে এবং সে মানুষকে যেকোনোত পথে ধাবিত করে তাকে আমরা ইনফ্লোয়েন্সার বলি। মনে করুন আপনাকে অনেক অনেক মানুষ ফলো করে এবং আপনিও তাদেরকে কিছু না কিছু শিখানে চেষ্ঠা করেন, নির্দিষ্ট একটি গন্তব্যে নিয়ে যেতে চেষ্ঠা করেন, তাহলে আপনি একজন ইনফ্লোয়েন্সার।
ইনফ্লোয়েন্সার ৫ ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ
- Mega-influencers (১০ লাখের বেশি ফলোয়ার/ সেলিব্রিটি)
- Macro-influencers (৫ লাখ থেকে ১০ লাখ ফলোয়ারস)
- Mid-tier influencers (৫০ হাজার থেকে ১০ লাখ ফলোয়ারস)
- Micro-influencers (৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার ফলোয়ারস)
- Nano-influencers(১ হাজার থেকে ১০ হাজার ফলোয়ারস)
যার ফলোয়ার যত বেশি ইনফ্লোয়েন্সার মার্কেটে তার মূল্যও ততো বেশি। বাংলাদেশের পেক্ষাপটে মেগা ইনফ্লোয়েন্সার যেকোনো একটি পণ্য প্রোমোট করলে সর্বনিন্ম ১ লক্ষ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকার মতো পেয়ে থাকে। শুধু মাত্র লাইভে এসে কথা বলার সময় ১ মিনিট বা তার চেয়ে কম সময় নিয়ে ঐ পোডাক্টি সম্পর্কে একটু বলে দেওয়ার মাধ্যমে।
তো আপনার যদি টুকটাক ফলোয়ার থাকে তাহলে এই ফর্মুলা কাজে লাগাতে পারেন।
১২। কোর্স বিক্রি করে ফেসবুক থেকে আয়
আপনার যদি যেকোনো বিষয়ে অনেক দক্ষ হন তাহলে সে দক্ষতাকে কাজে লাগানোর উপায় ফেসবুক আপনাকে করে দিয়েছে। আপনি যেকোনো বিষয়ে কোর্স তৈরি করে সেটি ফেসবুকে ফ্রি প্রচার করতে পারবেন। এবং সেগুলো বিক্রি করে ফেসবুকে টাকা আয় করা যায়।
যেমন, আপনি যদি খুব ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারেন তাহলে গ্রাফিক্স ডিজাইনের একটি কোর্স বানিয়ে ফেলুন। এবং সেটি ফেসবুক প্রুপে প্রচার করুন। কিন্তু সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি কোনো গ্রুপের এডমিত হয়ে থাকেন। তাহলে সবাই আপনার কাছ থেকে কোর্স কিনতে আগ্রহী হবে।
১৩। অনলাইন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ফেসবুক থেকে আয়
ফেসবুকে অনেকসময় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য লটারী, কুইজ সহ নানা কর্মসূচী পালন করে থাকে। সেখানে তারা নানান অফার এবং পুরষ্কার নিয়ে আসে।
মূলত বলা হয়ে থাকে , তাদের পোস্টে লাইক দিয়ে শেয়ার করা জন্য তাহলে লটারীর মাধ্যমে বিজয়ী বাছাই করে পুরষ্কার দেওয়া হবে। আবার অনেক সময় অনেক প্রতিষ্ঠান কুইজের আয়োজনও করে। তো আপনি চাইলে এখানে যুক্ত হয়ে পুরষ্কার জিতে নিতে পারেন। যদিও এতো এতো মানুষের মধ্যে খুব ভাগ্যবান না হলে পুরষ্কার জেতা যায় না।
কিন্তু অনেক সময় পণ্যের উপর অনেক অফার নিয়ে আসে অনেক প্রতিষ্ঠান। আপনি চাইলে অফারে কম মূল্যে সেই পণ্য ক্রয় করে আবার পুনরায় বিক্রিও করে দিতে পারেন।
আশা করি এতক্ষনে বুঝে গেছেন যে ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়। এখন একটি ট্রিপ্স জেনে নিন-
১৪। ফেসবুক জব করে টাকা আয়
ফেসবুকে Job নামের একটি অপশন রয়েছে। সেটিতে প্রবেশ করলে আপনি বিভিন্ন ধরনের চাকরীর খবর পাবেন। আপনার আসে পাশের অনেক প্রতিষ্ঠান যারা কর্মচারী নিয়োগ নিতে চায় তাদের বিজ্ঞপ্তিগুলো আপনি সেখানে দেখতে পাবেন।
সেখান থেকে যেকোনো একটি জব পছন্দ হলে আপনি সেখানে এপ্লাই করতে পারেন। যদি আপনার চাকরী করার যোগ্যতা থাকে তাহলে ফেসবুকের মাধ্যমে খুব সহজেই চাকরী জোগার করে আয় করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার হয়েও ঘরে বসে আয় করতে পারবে। এইজন্য আপনার ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করে নিতে হবে।
১৫। ফেসবুক পেইজ তৈরি করে দিয়ে টাকা আয়
আপনি জানলে অবাক হবেন, পৃথিবীতে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যাদের কাছে একটি ফেসবুক পেইজ তৈরি করার মতো সময় থাকে না। তারা অন্যদের দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিজনেস পেইজ তৈরি করিয়ে নেয়।
আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে সময়ের কোনো মূল্য নেই। কিন্তু ইউরোপ-আমেরিকার মানুষের সময়ের অনেক মূল্য। তাদের কাছে টাকার চেয়ে সময়ের মূল্য অনেক বেশি।
বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান সহ বিভিন্ন দেশের মানুষ ফেসবুক পেইজ তৈরি করে দেওয়ার এই সেবাটি দিয়ে থাকে। আপনি যদি ভালোভাবে ফেসবুক পেইজ তৈরি এবং ডিজাইন করতে পারেন তাহলে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে জয়েন হয়ে এই কাজটি করে প্রতিমাসে ফেসবুকে ভালো টাকা আয় করতে পারবেন।
Conclusion
এই ছিল ফেসবুক থেকে টাকা আয়ের উপায়।
আশা করি ফেসবুকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় এই সম্পর্কে আপনারা অবগত হয়েছেন।
ফেসবুক থেকে টাকা আয় যদি আপনি করতে চান তাহলে আজ থেকেই এই নিয়মগুলো অনুসরন করা শুরু করে দিন।
মন দিয়ে দু-এক বছর কাজ করতে পারলে ফেসবুক থেকে খুব তাড়াতাড়ি ইনকাম করতে পারবেন।
আজকের আর্টিকালটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে কিন্তু ভুলবেন না।
আর আর্টিকাল আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে রেখে দিবেন, যাতে করে অন্যরা দেখতে পারে এবং আপনিও পরবর্তী যেকোনো সময় আবার পড়তে পারেন।
দারুন কিছু টিপস আ্যন্ড ট্রিক্স সেয়ার করেছে ফেসবুক থেকে আয় সম্পর্কে। যারা ফেসবুক আয়ের উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছে তারা এ থেকে দারুণ ভাবে উপকৃত হবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান কমেন্ট করার জন্য।
আগে যদি এই বিষয়ে ধারণা থাকতো তাহলে অযথা ফেসবুকে সময় নষ্ট করতাম না, অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট করার জন্য।