ব্লগ তৈরি করে আয় করার উপায় – Make Money Blogging 2024

একটি ব্লগ তৈরি করা সহজ ব্লগ তৈরি করে ইনকাম করাটা কঠিন। আপনি যদি ব্লগ তৈরি টাকা আয় করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম মেনে ব্লগিং করতে হবে। আজকের পোস্টে ব্লগ তৈরি করে আয় করার উপায় নিয়ে কথা বলবো।

ব্লগ তৈরি করে টাকা আয় করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। তারমধ্যে গুগল এডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রি, পেইড রিভিউ, লোকাল বিজ্ঞাপন, কোর্স বিক্রি, গেস্ট ব্লগিং ইত্যাদি অন্যতম

এসব উপায়ে একটি ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়। কিন্তু ব্লগিং করার কিছু রোলস আছে যেগুলো অনুসরণ না করলে আপনি কখনোই ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।

চলুন বিস্তারিত আলোচনা করা যাক। দেখে নেওয়া যাক ব্লগ কাকে বলে কিংবা কিভাবে ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়।

ব্লগ কাকে বলে

বহুল তথ্যযুক্ত ওয়েবসাইটকে ব্লগ ওয়েবসাইট বলে যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন আর্টিকাল পাবলিশ করা হয়। ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমনঃ ই-কমার্স ওয়েবসাইট, বিজনেস ওয়েবসাইট, ব্যাক্তিগত ওয়েবসাইট ইত্যাদি।

ব্লগ ওয়েবসাইটে প্রচুর তথ্য থাকে। এবং হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য ব্লগ ওয়েবসাইটে ভিজিট করে থাকে। আবার ব্লগ বলতে শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট তথ্যযুক্ত আর্টিকালকে বুঝানো হয়ে থাকে।

কিভাবে ব্লগ তৈরি করে আয় করা যায়?

ব্লগিং করে টাকা আয় করতে হলে শুধু্মাত্র ব্লগ তৈরি করলেই হবে না, নিয়ম মেনে সে ব্লগে নিয়মিত কাজ করতে হবে। তো কি নিয়মে কাজ করলে ব্লগ থেকে টাকা আয় হবে অর্থাৎ ব্লগ তৈরি করে আয় করার উপায়গুলো কি কি এখন আলোচনা করা হবে।

সঠিক নিশ বাছাই করা

ব্লগিং নিশ কি? নিশ মানে হলো টপিক আর ব্লগিং নিশ হলো একটি নির্দিষ্ট টপিকের উপর লেখালেখি করা। আপনি যদি টাকা আয় করার লক্ষে ব্লগ তৈরি করতে চান তাহলে আপনার সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে নিশ নিয়ে প্রথমে রিসার্চ করা।

যদি আপনি সঠিক নিশ বাছাইয়ে ব্যর্থ হোন তাহলে ব্লগিং শুরু করার ৬ মাস পর আপনাকে ব্লগিং ছেড়ে দিতে হবে, এটা মোটামোটি ৯০% শিউর থাকতে পারেন।

কিভাবে একটি সঠিক নিশ বাছাই করতে হয়ঃ

  • নিশ অবশ্যই ছোট হতে হবেঃ উদাহরনস্বরূপ, হেলথ অনেক বড় একটি নিশ তাই আপনি এটির ছোট নিশ যেমন weight loss, weight gain, hair, skincare, ইত্যাদি বাছাই করতে পারেন।
  • চাহিদাসম্পূর্ন নিশ নিতে হবেঃ এমন কোনো নিশ নেওয়া যাবে না যেটার বাজারে কোনো চাহিদা নাই। তাই, সার্চ বলিউম দেখে নিশ বাছাই করা উচিত।
  • লো কম্পিটিশন নিশ বাছাই করতে হবেঃ আপনি এমন নিশ বাছাই করবেন না যে নিশ নিয়ে অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট কাজ করে। তাহলে তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করে আপনি কখনোই সফল হতে পারবেন না।
  • আপনার ভালো লাগাকে প্রাধান্য দিনঃ আপনার যে বিষয় নিয়ে লেখালেখি করার কিছুটা আগ্রহ আছে সে বিষয়ে ব্লগ তৈরি করা উচিত। এতে করে ব্লগিং করতে আপনি কখনোও বোরিং হবেন না।

Low Competition Keyword নিয়ে কাজ করা

কি ওয়ার্ড বাছাই করা ব্লগ তৈরি করে আয় করার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ন। আপনি যদি সঠিক কি-ওয়ার্ড বাছাই না করতে পারেন তাহলে আপনার লেখা ব্লগ পোস্টগুলো গুগলে র‍্যাংক করবে না। আর যদি গুগল থেকে ওয়েবসাইটে ভিজিটর না পান তাহলে টাকা আয় করতে পারবেন না। তাই সার্চ বলিউম যেমনই হোক না কেন, চেষ্ঠা করবেন সবসময় লো কম্পিটিশন কি-ওয়ার্ড নিয়ে কাজ করার জন্য।

নিয়মিত ব্লগ পোস্ট করা

অনেক ব্লগার আছে যারা টাকা আয় করার জন্য ব্লগ তৈরি করে থাকে কিন্তু নিয়মিত ব্লগে পোস্ট না করার কারনে তাদের কন্টেন্ট গুগলে র‍্যাংক করে না। ফলে তারা ব্লগ তৈরি করে আয় করতে পারে না এবং ব্যর্থ হয়ে ব্লগিং করা ছেড়ে দেয়।

আপনি যদি ব্লগ তৈরি করে টাকা আয় করতে চান তাহলে ইনকাম হোক বা না হোক আপনাকে নিয়মিত পোস্ট করে যেতে হবে। গুগল যখন দেখবে আপনার সাইটে নিয়মিত পোস্ট করা হচ্ছে তখন ধীরে ধীরে আপনাকে র‍্যাংক দেওয়া শুরু করবে। তাই ব্লগ তৈরি করে প্রথম ৬ মাসে চেষ্ঠা করবেন ১০০ পোস্ট করার জন্য।

কোয়ালিটি কন্টেন্ট লেখা

ব্লগিং এর ক্ষেত্রে Content is King তাই ব্লগিং করে টাকা আয় করতে হলে আপনাকে কোয়ালিটি কন্টেন্ট লিখতে হবে। যার কন্টেন্ট যত ভালো হয় গুগল তাকে বেশি প্রাধান্য দেয়।

আর ব্লগ ওয়েবসাইট গুলোর মূল বিষয়বস্তুই হচ্ছে তার কন্টেন্ট। তাই আপনি যদি ব্লগ তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে আদর্শ কন্টেন্ট তৈরি করা জানতে হবে।

ব্লগের এসইও করা

এসইও শব্দটির অর্থ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। গুগলে একটি সাইট র‍্যাংক করানোর জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও করতে হয়।

তাই, আপনি যদি চান গুগল থেকে আপনার সাইটে বেশি বেশি ভিজিটর আসুক তাহলে কোয়ালিটি কন্টেন্ট দেওয়ার পাশাপাশি আপনার সাইটের এসইও করতে হবে। তাহলে কন্টেন্টগুলো গুগলে র‍্যাংক করবে এবং আপনি অনেক অর্গানিক ভিজিটর পাবেন।

আর আপনার ব্লগে যত বেশি ভিজিটর আসবে ব্লগ থেকে টাকা আয় আপনার তত বেশি হতে থাকবে।

ব্লগ তৈরি করে আয় করার ৭ টি মাধ্যম

বর্তমানে ব্লগ তৈরি করে আয় করার উপায় জানার আগে তাদের অবশ্যই এই বিষয়টা জেনে রাখা জরুরি যে আপনার ব্লগের ভিজিটর থাকতে হবে।

ভিজিটর হচ্ছে ব্লগের প্রাণ। আপনার ব্লগে যদি ভিজিটর না থাকে তাহলে আপনি কোনোভাবেই ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন না।

আপনার ব্লগে যখন নিয়মিত পাঠক আসবে অর্থাৎ অনেক সংখ্যক ভিজিটর আসবে তখন চাইলে ব্লগ থেকে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ব্লগ থেকে আয় করার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে।যে উপায় গুলো ব্যবহার করে আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে আয় করতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্লগ থেকে আয় করার ৭ টি উপায় সম্পর্কে:-

১. গুগল এডসেন্স থেকে আয় – Google AdSense 

গুগল এডসেন্স হচ্ছে গুগলের একটি বিজ্ঞাপন প্রচার প্রোগ্রাম। আপনার ওয়েবসাইটে যদি পর্যাপ্ত ভিজিটর থাকে তাহলে গুগল এডসেন্স এর মনিটাইজেশন করে আপনার সাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ব্লগ তৈরি করে আয় করতে পারবেন।

জেনে অবাক হবেন, বর্তমান সময়ে ৩০ লক্ষেরও অধিক লোক তাদের ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ব্লগ থেকে আয় করে থাকে। বাংলাদেশেও এমন অনেক ব্লগার আছেন যারা তাদের ব্লগে শুধুমাত্র গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা আয় করে।

২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় – Affiliate Marketing

আপনার যদি একটি ব্লগ তৈরি করে আয় করার উদ্দেশ্য থাকে তাহলে সেখানে রিভিউ আর্টিকাল লিখতে পারবেন। এবং সেসব রিভিউ আর্টিকালে যুক্ত করে দিতে পারেন আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংক।

যখন আপনার সাইটের ভিজিটররা আপনার রিভিউ আর্টিকালগুলো পড়ে আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করে কোনো পণ্য ক্রয় করবে তখনই আপনি কমিশন পেয়ে যাবেন।

এফিলিয়েট প্রোগ্রামে জয়েন করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটঃ

এই সকল সাইট গুলোর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

৩. নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে আয় – Sell Own Product

আপনার ব্লগিং নিশের সাথে জড়িত আপনার নিজস্ব প্রোডাক্ট আপনি আপনার ব্লগের মাধ্যমে বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন। ধরা যাক, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ব্লগিং করছেন। তাহলে আপনার ব্লগে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ক বিভিন্ন প্রোডাক্ট যুক্ত করে দিতে পারেন। যেমনঃ ই-বুক, বিভিন্ন টুলস, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স ইত্যাদি।

আপনার ওয়েসবসাইটে আসা ভিজিটররা এসব প্রোডাক্টগুলো দেখবে এবং কিনে নিতে আগ্রহী হতে পারে। এভাবে আপনি ব্লগ তৈরি করে ব্লগে নিজের পণ্য বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন।

৪. পেইড রিভিউ লিখে আয় – Writing Paid Review

“পেইড রিভিউ”, নামটি আপনার কাছে নতুন মনে হতে পারে। বলতে পারেন পেইড রিভিউ কি কিভাবে পেইড রিভিউ লিখে ব্লগ থেকে টাকা আয় করা যায়।

উদাহরনের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিচ্ছি। ধরুন, আপনার একটি টেকনোলজী ব্লগ আছে যেখানে বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে লেখালেখি করেন। এবং ধরা যাক আপনার ব্লগটিতে প্রচুর ভিজিটর আছে। তাহলে অনেক মানুষ তাদের প্রোডাক্ট প্রোমোশন করার জন্য আপনার সাইটে তাদের প্রোডাক্টের রিভিউ আর্টিকাল প্রকাশ করতে চাইবে। .

আর তার জন্য আপনি তার কাছ থেকে নিতে পারেন মোটা অংকের টাকা। আপনার ব্লগে যদি প্রতি মাসে ১ লাখ ভিজিটর আসে তাহলে একটি পেইড রিভিউ লেখার জন্য আপনি কাস্টমারের কাছ থেকে ২০০০ টাকা দাবী করতে পারেন।

এভাবে, আপনি একটি ব্লগ থেকে মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

৫. লোকাল বিজ্ঞাপন – Local Advertisement

এখন আসি লোকাল বিজ্ঞাপন নিয়ে। বিজ্ঞাপন নিয়ে তো আর বেশি কিছু বলার নাই, এটি সবাই চিনেন। কিন্তু ব্লগে কিভাবে লোকাল বিজ্ঞাপন থেকে টাকা আয় করা যায়?

আপনার ব্লগ যদি খুব জনপ্রিয় হয় তবে ব্লগের বিভিন্ন জায়গায় যেমন Header, Footer, কিংবা Sidebar বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য অফার পাবেন। আর এসব অফারগুলো পাবেন আপনার ব্লগের সাথে সম্পর্কিত কম্পানির কাছ থেকে।

এখন আপনি একটি ব্লগ তৈরি করে আয় করার জন্য লোকাল বিজ্ঞাপন দেখাতে পারেন নানাভাবে। যেমন দৈনিক বা সাপ্তাহিক অথবা মাসিক হিসেবে আপনি লোকাল বিজ্ঞাপন দেখানোর অফার করতে পারে।

উদাহরনস্বরূপ, এক দিন বিজ্ঞাপন দেখালে ১০০০ টাকা এবং বিজ্ঞাপনটি যদি ৩০ দিনের জন্য আপনার সাইটে যুক্ত করেন তাহলে দাবি করতে পারেন ২০,০০০ টাকা। এভাবেই মূলত একটি ব্লগ সাইটে লোকাল বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা রোজগার করা যায়।

ব্লগে লোকাল বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করার জন্য আপনাকে কোম্পানির সাথে সরাসরি কথা বলতে হবে কিংবা আপনার ব্লগে লোকাল বিজ্ঞাপন দেখানোর নামে একটি সার্ভিস যুক্ত করে দিতে হবে।

৬. কোর্স বিক্রি – Sell Online courses

প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে সবকিছু অনলাইনে করার প্রবণতা বাড়ার হার অনেক বেশি। মানুষ এখন অফলাইনে কোনো কোর্স করা থেকে অনলাইনে কোর্স করাতে বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করে। তাই, আপনি যদি কোনো বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে সে বিষয়ে একটি রেকর্ডেড ভিডিও কোর্স বানিয়ে সেটি বিক্রি করতে পারেন।

আপনার ব্লগটি যদি জনপ্রিয়তা পায়, এবং আপনার লেখা যদি অডিয়েন্সদের ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার কোর্স মানুষ কিনতে আগ্রহী হয়ে উঠবে। আর এভাবেই একটি অনলাইন কোর্স থেকে সারাজীবন ইনকাম হতে থাকবে।

৭. গেস্ট ব্লগিং – Guest Blogging 

যারা নতুন ব্লগার রয়েছেন তারা তাদের ব্লগে সাইটের ব্যাকলিংক এবং সাইটের অথরিটি স্কোর বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোতে গেস্ট ব্লগিং করে থাকে। গেস্ট ব্লগিং একটি সাইটকে র‍্যাংক করাতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা রাখে।

আপনার যদি একটি ভালো ব্লগ থাকে তাহলে আপনার ব্লগ থেকে পাওয়া একটি ব্যাকলিংক তাদের ব্লগের অথরিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। তাই, অনেক ব্লগার আপনার সাইটে গেস্ট ব্লগিং করতে চাইবে। বিনামূল্যে তো কেউ কাউকে কিছু দেয় না। তাই আপনিও গেস্ট পোস্ট আপনার সাইতে পাবলিশের জন্য মোটা অংকের টাকা চাইতে পারেন।

আমার দেখা অনেকেই শুধুমাত্র গেস্ট ব্লগিং সার্ভিস দিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে মাসে ৪০ হাজার টাকা আয় করে। তাই ব্লগ তৈরি করে আয় করার জন্য গেস্ট ব্লগিং খুব কার্যকারী একটি মাধ্যম।

ব্লগ তৈরি করার নিয়ম

বিভিন্ন উপায়ে ব্লগ তৈরি করা যায়। তবে সবচেয়ে সহজ ব্লগ তৈরির নিয়ম এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস। এটি একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। কোনো প্রকার কোডিং করা ছাড়াই চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ তৈরি করে ফেলা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে একটি ব্লগ তৈরি করে ১০ মিনিটের বেশি সময় লাগে না।

মূলত, একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে কয়েকটি জিনিসের প্রয়োজন হয়। উপকরণগুলো নিন্মরূপঃ

  1. ডোমেইন নাম
  2. হোস্টিং সার্ভার
  3. কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)
  4. ওয়েব টেমপ্লেট (Theme)

ডোমেইন নামঃ আপনার ব্লগের জন্য প্রথমেই একটি ডোমেইন নাম সিলেক্ট করতে হবে। আগে কখনোই কেউ ব্যবহার করেনি আপনি এমন নাম সিলেক্ট করতে পারবেন। ওয়েবসাইটের জন্য সুন্দর নাম খুঁজে পাওয়ার পদ্ধতি দেখে নিন।

হোস্টিং সার্ভারঃ আপনার ব্লগটি যেন অনলাইনে সবাই এক্সেস করতে এবং পড়তে পারে সেজন্য হোস্টিং সার্ভার কিনতে হবে। বিভিন্ন হোস্টিং প্রোভাইডার থেকে আপনি এই সেবাটি নিতে পারবেন।

কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমঃ আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টগুলো সুন্দরভাবে ম্যানেজ করার জন্য একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে, যাকে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে। এটি ফ্রিতে ইন্সটল করতে হয়। ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করার নিয়ম দেখে নিন।

ওয়েব টেমপ্লেটঃ ওয়েবসাইটকে উন্নতমানের কাঠামো বা ডিজাইন প্রদানের জন্য ওয়েব টেম্পলেট বা থিম ব্যবহার করা হয়। অনলাইনে ফ্রি এবং পেইড উভয় ধরনের থিম রয়েছে।

ব্লগ তৈরি করতে নিচের এগুলো অবশ্যই পড়ুনঃ

Check it also:

ব্লগ পোস্ট লেখার নিয়ম – How to Write Blog Post

ব্লগ লেখার নিয়ম অত্যন্ত সহজ। যে কেউ চাইলেই ব্লগ লিখে টাকা আয় করতে পারে। ব্লগ লিখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন হচ্ছে টপিক সিলেকশন বা কিওয়ার্ড রিসার্চ

অর্থাৎ, আপনি কি বিষয় নিয়ে ব্লগ লিখবেন তা আগে ঠিক করতে হবে। এবং অবশ্যই যে জিনিসের ভালো চাহিদা আছে সে জিনিস নিয়ে ব্লগ লিখা উচিত। এসইও কোর্স করলে এই সম্পর্কে আপনি ভালো ধারনা পাবেন।

তারপর সে টপিকে উপর ভালো করে আর্টিকাল লিখতে হবে। এক্ষেত্রে যত বেশি তথ্য যুক্ত করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আর্টিকাল শুধু বড় লিখলেই হবে না এটিকে বিভিন্ন Image, Headings ইত্যাদি দিয়ে সাজাতে হবে।

আর ব্লগিং করে আয় করতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে ধারাবাহিকতাকে। অর্থাৎ, আপনাকে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যেতে হবে; ব্লগ পাবলিশ করে যেতে হবে।

বাংলা ব্লগ তৈরি করে আয় করার উপায়

বাংলা ব্লগ সাইট এর চেয়ে ইংরেজী ব্লগ সাইটে ইনকাম বেশি। কারন, ইংরেজী ভাষায় ব্লগিং করলে বেশিরভাগ ভিজিটর ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে আসে। তাছাড়া, কিওয়ার্ডের সিপিসি অনেক বেশি থাকে। যার ফলে, ইংরেজী সাইটে বাংলা ব্লগ সাইট থেকে ইনকাম এর কয়েকগুন বেশি হয়।

তবে, বাংলা ব্লগ লিখে আয় করছে বাংলাদেশে এমন মানুষের সংখ্যাও কম না। আবার কেউ কেউ আছে ব্লগার দিয়ে ফ্রি ব্লগ থেকে আয় করে।

যদি আপনি বাংলা ব্লগ তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে আপনাকে বেশি ভিজিটর পেতে হবে। আর এর জন্য বেশি বেশি ব্লগ পোস্ট করতে হবে। আনুমানিক ৪০ হাজার ভিজিটরের জন্য বাংলা ব্লগ থেকে ১০০ ডলার ইনকাম হয়।

আমাদের শেষ কথা 

বর্তমান সময়ে ব্লগিং অনেক জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্মে পরিণত হয়েছে। ব্লগিং সেক্টরে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সফলতা পাওয়া যায়। এখন এমন অনেক ব্লগার রয়েছে যারা ব্লগিং কে প্যাসিভ ইনকাম এর উৎস হিসেবে নিচ্ছেন।

তাই আপনার যদি একটি ব্লগ থেকে থাকে এবং ব্লগ তৈরি করে আয় করতে চান তাহলে উপরের পদ্ধতিগুলোর অবলম্বন করে ব্লগ থেকে প্রতিমাসে আপনারা ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

Avatar of Shakib Hasan

Blogger and SEO Expert. Founder of Techbdtricks. I always try to explore something new and let the people know about that. Keep me in your prayers.

Leave a Comment