google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

ব্লগিং কিভাবে শিখব? ব্লগিং শেখার সহজ উপায় জেনে নিন

ব্লগিং শিখা অনেক সহজ, কিন্তু নিয়মিত ব্লগিং করা এবং ব্লগ থেকে টাকা আয় করা কঠিন এবং সময়সাপেক্ষ। আপনি নিশ্চয় ব্লগিং শুরু করার কথা ভাবছেন, তাই দেখে নিন ব্লগিং কিভাবে শিখব অর্থাৎ ব্লগিং শেখার উপায় কি। ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় এটি জেনে নিয়ে আপনি ব্লগার হওয়ার নিয়ম শিখতে পারবেন। কারন ব্লগিং শুরু করার গুরুত্বপূর্ন সকল টিপস এবং ট্রিকস এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।

তাই চলুন সবার আগে জেনে নি ব্লগ জিনিসটা কি।

ব্লগ মানে কি?

ব্লগ মানে হচ্ছে লেখালেখি করার জন্য একটি ওয়েবসাইট। যে ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট একটি টপিকের উপর বিভিন্ন সাজেশন, টিউটোরিয়াল, ট্রিকস ইত্যাদি নিয়ে নিয়মিত আর্টিকাল লেখা হয় তাকে ব্লগ ওয়েবসাইট বলে।

আপনি যদি ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনাকে একটি টপিক/নিশ বাছাই করে তারপর একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে উক্ত টপিকে লেখালেখি করতে হবে। তারপর, আপনার ব্লগ জনপ্রিয় হলে, সেখানে পর্যাপ্ত ভিজিটর এলে আপনি ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন।

ব্লগিং কিভাবে শিখব?

ব্লগিং কি এই বিষয়টা আপনি জানেন, তাই ব্লগিং শিখতে চাচ্ছেন। ব্লগিং শেখা অনেক সহজ। বিভিন্ন উপায়ে আপনি ব্লগিং শিখতে পারবেন। তবে ব্লগিং এ যত দিন যাবে আপনার তত অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষা বাড়বে।

এখন কথা হচ্ছে কিভাবে ব্লগিং শিখা যায়?

  • বিভিন্ন ব্লগ পড়ার মাধ্যমে
  • ইউটিউব ভিডিও দেখে
  • পেইড ব্লগিং কোর্স করে
  • ব্লগিং শুরু করার মাধ্যমে

ব্লগ পড়ার মাধ্যমে ব্লগিং কিভাবে শিখব

ব্লগিং এ যেহেতু লেখালেখি করতে হয়, আর্টিকাল প্রকাশ করতে হয়, তারমানে ইন্টারনেটে গুগলে সার্চ করে ব্লগ পোস্ট পড়ার মাধ্যমে আপনি সবচেয়ে দ্রুত ব্লগিং শিখতে পারবেন। এটাই স্বাভাবিক।

ব্লগিং শেখার জন্য ব্লগ পোস্ট পড়লে আপনার ২টি লাভ।

১। ব্লগিং শেখার সম্পূর্ন গাইডলাইন পাবেন।

২। উক্ত ব্লগ সম্পর্কে জানতে পারবেন, জানতে পারবেন তারা কিভাবে ব্লগিং করে।

তাই আপনি যদি ব্লগ পড়ার মাধ্যমে ব্লগিং শিখতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন, পাশাপাশি অন্যসব ব্লগিং ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব ভিডিও ফলো করুন।

ইউটিউব ভিডিও দেখে কিভাবে ব্লগিং শিখব

ইউটিউবে ব্লগিং নিয়ে বাংলা, ইংরেজী, এবং হিন্দী ভাষায় অনেক গাইডলাইন পেয়ে যাবেন, সেগুলো দেখে দেখে আপনি ব্লগিং শিখতে পারবেন।

তাছাড়া ব্লগিং করতে গিয়ে নানান সমস্যার সমাধান আপনি ইউটিউব থেকেই নিতে পারবেন। যেমন ব্লগিং শুরু করতে গেলে প্রথম সমস্যা আপনি ব্লগ তৈরি করতে যানেন না।

তাই, আপনি ইউটিউবে সার্চ করবেন “কিভাবে ব্লগ তৈরি করতে হয়”। তারপর, যদি ব্লগ পোস্ট করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন সার্চ করবেন “কিভাবে ব্লগ পোস্ট করতে হয়”। এভাবে বিভিন্ন বিষয়ে গুগল এবং ইউটিউবে সার্চ করে আপনি ব্লগিং শিখতে পারবেন।

তাছাড়া ব্লগিং শিখার আরেকটি উপায় আছে সেটি হলো ব্লগিং কোর্স করার মাধ্যমে।

পেইড কোর্স করে ব্লগিং শেখার উপায়

ব্লগিং শেখার জন্য বাংলাদেশে অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কোর্স করিয়ে থাকে। তারা, কিভাবে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করা থেকে নিয়ে শুরু করে সাইটের ডিজাইন করা, কন্টেন্ট লেখা এবং প্রকাশ করা, সাইটের এসইও করা ইত্যাদি সবকিছু সম্পর্কে কোর্সে শিখিয়ে থাকে।

তাই, আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ব্লগিং করতে চান এবং হাতে পেইড কোর্স করার মতো টাকা থাকে তাহলে বিভিন্ন আইটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে ব্লগিং শুরু করুন। তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ব্লগিং করে সফল হতে পারবেন।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় – ব্লগিং শুরু করার উপায়

দেখুন, আপনি যদি পানিতে না নামেন তাহলে কখনোই সাতার শিখতে পারবেন না। সাতার কাটার উপায় নিয়ে যতই বই পড়ুননা কেন পানিতে না নেমে আপনি সাতার শিখতে পারবেন না, সাতার শেখার জন্য আপনাকে পানিতে নামতেই হবে।

ঠিক তদ্রূপ ব্লগিং শেখার জন্য আগে আপনাকে এর সাথে জড়িত হতে হবে। সেজন্য আপনাকে জানতে হবে কিভাবে একটি ব্লগ তৈরি করতে হয়, কিভাবে ব্লগে আর্টিকাল লিখতে হয়, কিভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর পাওয়া যায়, ইত্যাদি।

ব্লগিং শুরু করার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নিনঃ

১। একটি নিশ সিলেক্ট করুনঃ নিশ হচ্ছে ব্লগের টপিক। অর্থাৎ, আপনি কোন বিষয়ে ব্লগ খুলতে চান সেটি আগে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে। আর আপনি যদি মনে করেন, আপনি আপনার ব্লগে সব বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন তাহলে আমার অভিজ্ঞতা হবে আপনি ব্লগিং এ সফল হতে পারবেন না।

২। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুনঃ ব্লগিং নিশ আইডিয়া বের করার পর আপনার কাজ হচ্ছে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা। এখন আপনার কাছে হয়তো কম্পিউটার নাই তাই মোবাইল দিয়ে ব্লগিং শুরু করতে চাচ্ছেন তাহলে মোবাইল দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করুন। আপনার কাছে টাকা না থাকলে আপনি চাইলে বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং শিখা শুরু করতে পারেন।

৩। ওয়েবসাইটে নিয়মিত পোস্ট করুনঃ একটি ব্লগের মূল বিষয় হচ্ছে ব্লগ পোস্ট। তাই, ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলে দিলে হবে না। সেখানে নিয়মিত অন্তত ৬ মাস দিনে ২/৩ টি করে ব্লগ পোস্ট করে যেতে হবে।

৪। এসইও করুনঃ আপনি যদি নিয়মিত ব্লগে পোস্ট করে যান তাহলে ৬ মাস পর থেকে হয়তো আপনার সাইটে অল্প কিছু ভিজিটর আসা শুরু করবে, যা থেকে আপনি টাকা আয় করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার ভিজিটরের সংখ্যা বাড়াতে চান তাহলে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটের এসইও করাতে হবে।

৫। ব্লগ মনিটাইজেশন করুনঃ ব্লগিং শুরু করার মূল উদ্দ্যেশ্য কি আপনার? টাকা আয় করা, তাইতো? উপরের ৪ টি ধাপ যদি ঠিকঠাক ফলো করে সাইটে পর্যাপ্ত ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন, তাহলেই ওয়েসাইট থেকে টাকা আয় করতে পারবেন। ব্লগ থেকে টাকা আয় করার আসলে অনেক মাধ্যম আছে। যেমনঃ

ব্লগিং শেখার উপায় সম্পর্কিত প্রশ্নাবলী ও প্রশ্নোত্তর (FAQs)

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

ব্লগিং থেকে আয় করা অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। তবে আনুমানিকভাবে বলা যায় যে ব্লগিং করে প্রতিমাসে ১০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রাথমিক অবস্থায় আয় করা যায়। তারপর সে আয় দিন যাওয়ার সাথে সাথে আরো বাড়তে পারে। এ বিষয়ে সম্পূর্ন গাইডলাইন পেতে এই আর্টিকালটি পড়ুন- ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়?

ব্লগ থেকে অনেক ধরনের আয় হয়। এর মধ্যে প্রধান দুটি হলো একটিভ ইনকাম এবং প্যাসিভ ইনকাম। একটি ব্লগ তৈরি করার সাথে সাথেই একটিভ ইনকাম করা যায়। কিন্তু প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে অনেক সময় লাগে। এই বিষয়ে পুরোটা পড়ুন – ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়

আমাদের শেষ কথা

আশা করি, ব্লগিং কিভাবে শিখব বা ব্লগিং কিভাবে শুরু করা যায় সে বিষয়ে একটি পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন এই আর্টিকাল পরে পেয়েছে। যদি ব্লগিং করতে গিয়ে কোনো সমস্যায় পড়েন এবং নিজে নিজে সমাধান করতে না পারেন তাহলে আমাদের পোস্টগুলোতে কমেন্ট করবেন। আমরা আপনার সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্ঠা করবো বলে আপনাকে ব্লগিং এ উৎসাহিত করছি।

Check Also

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় – অভিজ্ঞতা থেকে বলা

ব্লগিং হলো একটি ভার্চুয়াল ডায়েরী বা দিনলিপিতে লেখালেখি করার একটি পেশা। অনলাইনে ব্লগিং করে টাকা …

One comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *