ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় এটি নিয়ে অনেক মানুষের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। ব্লগিং কে অনেকেই প্যাসিভ ইনকামের উপায় হিসেবে জানে। কিন্তু একটি ব্লগ থেকে এক্টিভ এবং প্যাসিভ উভয় ধরনের ইনকাম করা যায়।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, আয় করার উপায় কি এবং ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকের পোস্টে কথা বলবো।
ব্লগ থেকে অনেক ধরনের আয় হয়। প্যাসিভ ইনকামের মধ্যে আছে বিজ্ঞাপন, এফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, বি টু বি ব্যাবসা। আর একটিভ ইনকামের মধ্যে রয়েছে পন্য/সেবা বিক্রি, গেস্ট পোস্টিং, ব্যাকলিংক বিক্রি, স্পন্সরড পোস্ট, ইত্যাদি।
ব্লগ(Blog) কাকে বলে?
ব্লগ হচ্ছে এক ধরনের ওয়েবসাইট যেখানে নির্দিষ্ট টপিকের উপর নিয়মিত আর্টিকাল প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন প্রকারের ব্লগ রয়েছে যেমন পার্সোনাল ব্লগ, নিউজ ব্লগ, টেক ব্লগ, হেলথ ব্লগ, লাইফস্টাইল ব্লগ, ইত্যাদি।
ব্লগ শব্দটি এসেছে কোনটি হতে?
ব্লগ শব্দটি এসেছে ইংরেজী Weblog থেকে। যিনি নিয়মিত ব্লগ পোস্ট করেন তাকে বলা হয় ব্লগার। আর এই সম্পূর্ন প্রসেসকে বলা হয় ব্লগিং।
ব্লগের মূল চালিকাশক্তি কি?
ব্লগের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে এর কন্টেন্ট। একটি ব্লগে নিয়মিত কন্টেন্ট প্রকাশ এবং আপডেট করা হয়। ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে ভিজিটর আসে এবং এসব ভিজিটরে মাধ্যমে ব্লগ থেকে টাকা-পয়সা রোজগার হয়। তাই, ব্লগে থাকা কন্টেন্ট সমূহকে ব্লগের মূল চালিকাশক্তি বলা চলে।
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়?
একটি ব্লগ থেকে বিভিন্নভাবে টাকা আয় করা যায়। যেমন, বিজ্ঞাপন থেকে আয়, পন্য বিক্রি, সেবা প্রধান, স্পন্সর পোস্ট ইত্যাদি। এসব আয়গুলোর কোনো হচ্ছে একটিভ ইনকাম, আবার কোনোটি প্যাসিভ ইনকাম।
তাই কাজের ধরনের উপর ভিত্তির করে ব্লগ থেকে ২ ভাবে ইনকাম করা যায়। যথাঃ
- Active income
- Passive income
Active income হলো কোনো পণ্য বিক্রি করে বা সেবা প্রধান করার বিনিময়ে সাথে সাথে যে টাকা পাওয়া যায়।
আর, Passive income বলতে বুঝায় একটা সময় কাজ করে কোনো কিছু তৈরি করার পর আজীবন সেটা থেকে আয় হওয়াকে।
এখন একটি ব্লগ থেকে প্যাসিভ ইনকাম এবং এক্টিভ ইনকাম দুই ধরনের আয়ই করা হয়।
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় Active Income
একটিভ ইনকাম কি সেটা আমরা জেনেছি। তারপরও উদাহরনের মাধ্যমে সেটি আরো ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
মনে করুন, আপনি একজন মুদি দোকানদার। তাহলে আপনি দোকানের পণ্য বিক্রি করার মাধ্যমে ইনকাম করেন। এখন যদি আপনি মুদি পণ্য বিক্রি করেন তাহলেই ইনকাম হবে, অন্যথায় ইনকাম হবে না। এটিই হচ্ছে একটিভ ইনকামের একটি উদাহরণ।
এক্টিভ ইনকামের ক্ষেত্রে বিক্রি আছে মানে ইনকাম আছে এবং বিক্রি নাই মানে ইনকাম নাই। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ব্লগ থেকে কিভাবে এক্টিভলি ইনকাম জেনারেট করা যায়?
একটিভ ইনকামে ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় তার কিছু ধারনা নিচে উল্লেখ করা হলো।
নিজের পণ্য বিক্রি
ধরুন, আপনার একটি হেলথ ব্লগ আছে সেখানে সাস্থ বিষয়ক বিভিন্ন ব্লগ পোষ্ট করে থাকেন এবং আপনার ব্লগে মোটামুটি ভালো ভিজিটর আছে। তাহলে আপনি আপনার ব্লগে বিভিন্ন সাস্থ সম্পর্কিত পণ্য বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারবেন।
উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি। মনে করুন, আপনি ফর্সা হওয়ার ডাক্তারি ক্রিম সম্পর্কে একটি ব্লগ পোস্ট করলেন সেখানে ৫-৬ টি ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত লিখে Buy Now বাটন যুক্ত করে দিলেন। তাহলে ভিজিটরা আপনার পোস্ট পড়ে আপনার কাছ থেকে পণ্যটি কিনতে আগ্রহী হবে। আর এভাবেই ব্লগ থেকে নিজের পণ্য বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।
অন্যের পণ্য বিক্রি
নিজের পণ্য বিক্রি করার পাশাপাশি আপনি আপনার ব্লগে অন্য মানুষের পণ্য বিক্রি করেও একটিভ ইনকাম করতে পারবেন। সেজন্য, আপনাকে মার্কেট রিসার্চ করতে হবে এবং বিভিন্ন সাপ্লাইয়ারদের সাথে যোগাযোগ করে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্কে গড়ে তুলতে হবে।
গেস্ট পোস্টিং
আপনি যদি ব্লগিং এ নতুন হয়ে থাকেন তাহলে গেস্ট পোস্টিং বা গেস্ট ব্লগিং শব্দটি আপনার কাছে অচেনা হতে পারে। এটি বুঝার জন্য আপনাকে প্রথমে এসইও সম্পর্কে বুঝতে হবে।
তবুও আমি সংক্ষেপে আপনাকে বুঝানোর চেষ্ঠা চালাচ্ছি।
ব্লগিং এর ক্ষেত্রে গুগল থেকে বেশি অর্গানিক ভিজিটর পাওয়ার জন্য প্রতিটি ওয়েবসাইটের মালিক নিজের ওয়েবসাইটের এসইও করিয়ে থাকে। আমি যদি আমার সাইটের অফ পেইজ এসইও করাতে চাই তাহলে আমার সাইটের লিংক বিভিন্ন সাইটে প্রকাশ করতে হবে। আর সে জন্য আমাকে গেস্ট ব্লগিং করতে হবে।
অর্থাৎ, অন্য ওয়েবসাইটে আমি ব্লগ লেখালেখি করে সেসব ব্লগে আমার ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দিবো। তার জন্য আমাকে আর্টিকালও লিখতে হবে এবং অন্য ওয়েবসাইটের মালিকদের টাকাও দিতে হবে।
তো, আপনারও যদি একটি ব্লগ থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্লগে গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করতে পাবেন। এটি এক ধরনের একটিভ ইনকাম।
ব্যাকলিংক বিক্রি
গেস্ট ব্লগিং এর মতো ব্যাকলিংক বিক্রি করেও একটি ব্লগ থেকে একটিভ ইনকাম করা যায়। গেস্ট ব্লগিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে একটি আর্টিকাল দিবে কিন্তু ব্যাকলিংক বিক্রির ক্ষেত্রে আপনাকে কোনো আর্টিকাল দেওয়া হবে না।
বায়ার এক্ষেত্রে আপনার ব্লগ সাইটের যেকোনো পোস্ট থেকে ব্যাকলিংক চাইতে পারে। আপনার পোস্টে শুধুমাত্র একটি অন্য ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারছেন। মজার না ব্যাপার টা!
আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, আপনার ওয়েবসাইটের কোয়ালিটির উপর ভিত্তি করে একটি লিংক বিক্রির জন্য আপনি ২০-১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান
আপনি যেকোনো অনলাইন যেকোনো কাজে দক্ষ হতে পারেন। যেসব কাজের সার্ভিস দিয়ে আপনি আপনার ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।
যেমন ধরা যাক, আপনি ভালো আর্টিকাল লিখতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার যদি একটি ব্লগ থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্লগ সাইটের মেনুতে Article Writing Services নামে একটি সার্ভিস যুক্ত করে দিতে পারেন।
আপনার ব্লগ সাইটের ভিজিটরদের মধ্যে থেকে দেখবেন আপনার কাছ থেকে সার্ভিস নেওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠবে। এভাবে বিভিন্ন সার্ভিস প্রদান করে ব্লগ থেকে আয় করা হয়।
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় Passive Income
ব্লগ থেকে একটিভ ইনকাম স্বমন্ধে এতক্ষন পড়ছিলেন। এখন আসুন ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় Passive Income সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
প্যাসিভ ইনকাম হলো এমন এক ধরনের ইনকাম যেখানে একটা সময় কাজ করার পর আর কোনো কাজ করতে হয় না।
উদাহরনস্বরূপ, আপনি একটি ১০ তালা বাড়ি তৈরি করে ভাড়া দিয়ে দিলেন। তাহলে এখানে কিন হচ্ছে লক্ষ করুন। বাড়িটা তৈরি করার সময় আপনাকে কাজ এবং টাকা ইনভেস্ট করতে হচ্ছে। কিন্তু যখন বাড়িটি তৈরি করে ফেললেন তখন আর কাজ করতে হচ্ছে না, কাজ ছাড়াই বাড়ি ভাড়া থেকে আপনি ইনকাম করতে পারছেন। একটি বাড়ি তৈরি করে সে বাড়ি ভাড়া দিয়ে ইনকাম করা খুব সুন্দর একটি প্যাসিভ ইনকামের উদাহরণ।
এখন, আপনি যদি টাকা, শ্রম ইত্যাদি ব্যয় করে একটি ব্লগ দাড় করাতে পারেন, তাহলে সে ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। নিচে ব্লগ থেকে প্যাসিভ ইনকামের কয়েকটি উপায় সম্পর্কে বলে দিচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য বিজ্ঞাপন খুব জনপ্রিয় একটি উপায়। প্রায় প্রতিটি ব্লগেই বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে প্যাসিভ ইনকাম করা হয়।
অনেকেই প্রশ্ন করেন ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়। ব্লগ থেকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করতে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল নিতে হয়।
যদি আপনার একটি ব্লগ থাকে থাকে এবং সে ব্লগে ভালো ভিজিটর থাকে তাহলে আপনি আপনার ব্লগে গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আজীবন প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করার বিভিন্ন প্লাটফর্ম রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এড নেটওয়ার্ক হচ্ছে গুগল এডসেন্স।
এফিলিয়েট মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ব্লগ থেকে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। প্রশ্ন আসতে পারে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি। এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো বাংলা ভাষায় দালালি করা।
যেকোনো অন্য কম্পানির প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্লগ পোস্ট করবেন এবং সে পোস্টে উক্ত প্রোডাক্টের লিংক দিয়ে দিবেন। কেউ যদি আপনার এই লিংকে ক্লিক করে সে কম্পানির প্রোডাক্ট ক্রয় করে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন। এটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রক্রিয়া।
ব্লগে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করাকে প্যাসিভ ইনকামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কারন, একবার আর্টিকাল লিখে র্যাংক করানোর পর সেখানে আর কোনো কাজ করতে হয় না। অটোমেটিং লিংকে ক্লিক আসে এবং সেল থেকে কমিশন পাওয়া যায়।
কয়েকটি এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসঃ
সিপিএ মার্কেটিং
সিপিএ মার্কেটিং অনেকটা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে মিল থাকলেও এখানে কিছু পার্থক্য আছে।
যেমনঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার মাধ্যমে পণ্য বিক্রি হলেই কেবল কমিশন পাবেন, অন্যথায় না। কিন্তু সিপিএ মার্কেটিং পণ্য বিক্রি না হলেও কমিশন পাওয়া যায়। কেউ যদি আপনার সিপিএ লিংকে ক্লিক করে কোনো একটি একশন নেয় (যেমনঃ সাইন-আপ, ক্যাপচা পূরন, ইত্যাদি) তাহলেই আপনি কমিশন পাবেন।
একটি ব্লগের মাধ্যমে সিপিএ মার্কেটিং করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।
B2B ই-কমার্স ব্যবসা
ই-কমার্স আমরা সবাই বুঝি, কিন্তু B2B ই-কমার্স আপনার কাছে নতুন মনে হতে পারে। শুধু ই-কমার্স হচ্ছে আপনার একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকবে এবং সে ওয়েবসাইটে আপনার বিভিন্ন পণ্য থাকবে যে পণ্যগুলো বিক্রি করে আপনি টাকা রোজগার করবেন।
কিন্তু B2B ই-কমার্স একটু আলাদা। B2B ই-কমার্সের ক্ষেত্রে আপনার কোনো পণ্য থাকবে না , আপনার শুধু একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট থাকবে। সে ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিক্রেতা রেজিস্ট্রেশন করে তাদের পণ্য বিক্রি করবে এবং আপনি মাঝখানে বসে পয়সা কামাবেন।
সে ই-কমার্স সাইটে ব্লগ নামে একটি অপশন রাখবেন যেখানে আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত পোস্ট করা হবে। আর সে ব্লগ থেকে ভিজিটর পাবেন এবং ভিজিটরকে কাস্টমারে রূপান্তর করবেন। এভাবে B2B ই-কমার্স হতে পারে আপনার সারা জীবনের প্যাসিভ ইনকামের একটি উপায়।
ব্লগ কি লাভজনক?
ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় যে বিষয়টি আশা করি এতোক্ষনে বুঝে গেছেন এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে যে ব্লগ কি এখনো লাভজনক।
হ্যা, ব্লগ এখনো লাভজনক একটি পেশা এবং এই পেশার সাথে জড়িয়ে আছে বিশ্বে বিভিন্ন মানুষ। ব্লগ লাভজনক এই কারনেই বলছি এখানে কম টাকা ইনভেস্ট করে বেশি টাকা উপার্জন সম্ভব। তবে ব্লগিং করা লাভজনক হলেও এখানে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়, প্ররিশ্রম করতে হয়।
তবে, একবার প্ররিশ্রম করে একটি ব্লগ দাড় করাতে পারলেই আপনার আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
মানুষ কি আর ব্লগ পড়ে?
বর্তমান যুগে ভিডিও কন্টেন্ট বেশি জনপ্রিয় হয়ে যাওয়ার ফলে অনেকের ভুল ধারনা যে ব্লগ মনে হয় এখন আর বেশি মানুষ পড়ে না।
কিন্তু সত্যিটা হলো এখনো সারা বিশ্বের মানুষ কোনো কিছু জানার জন্য ব্লগ পড়ে থাকে। হ্যা, মানুষ এখনো বিভিন্ন বিষয়ে জানার জন্য গুগলে সার্চ করে। এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় প্রতিদিন গুগলে 8.5 billion সার্চ হয়ে থাকে।
তো বুঝতেই পারছেন প্রতিনিয়ত মানুষ বিভিন্ন জিনিস জানার জন্য গুগলে সার্চ করছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পড়ছে। তার ব্লগ এখনো মারা যায় নি। মানুষ এখনও ব্লগ পরে।
কোন ধরনের ব্লগ থেকে বেশি উপার্জন করা যায়?
ব্লগ থেকে বিভিন্ন ধরনের আয় হয় সেটা আমরা জেনেছি, কিন্তু কোন ধরনের ব্লগ থেকে বেশি উপার্জন করা যায় সেটা হয়তো আমাদের অজানা।
যদি ভালো ভাবে কাজ করা যায় তাহলে সকল ধরনের ব্লগ থেকেই আয় করা সম্ভব। কিন্তু আপনাকে আয় করার সবগুলো বিষয়ের উপর ফোকাস করতে হবে। যেমনঃ আপনি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপনও দেখাবেন সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, প্রোডাক্ট বিক্রি, ব্যাকলিংক বিক্রি ইত্যাদি একসাথে চালাবেন । তাহলেই দেখবেন আপনার ব্লগ থেকে বেশি টাকা আয় করতে পারছেন।
আর ব্লগে বিজ্ঞাপন থেকে আয় হওয়া কন্টেন্ট এবং কন্টেন্ট এর সিপিসি এর উপর নির্ভর করে। তাছাড়া আপনার ব্লগে ট্রাফিক কোন দেশ থেকে আসছে এই সবকিছু নির্ভর করে। আপনার ব্লগ যদি ইংরেজী ভাষায় তৈরি করেন এবং ট্রাফিক যদি ইউরোপ কিংবা আমেরিকার হয় তাহলে বিজ্ঞাপন থেকে বেশি উপার্জন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
তাছাড়া কিছু টপিক আছে যেগুলো নিয়ে লিখলে বেশি উপার্জন করা সম্ভব। তা হলোঃ
- Digital Marketing
- Insurance
- Blogging
- Lawyer
- Health
- lifestyle, ইত্যাদি।
আমাদের শেষ কথা
আমার মনে হয় ব্লগিং করার পূর্বে ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় সে বিষয়টি জেনে নেওয়া অতীব জরুরী। কেননা এতে যেমন সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরনা পাওয়া যায় তেমন সঠিক পরিকল্পনা করে এগুনো যায়। সে জন্যই ব্লগ থেকে আয় করার মাধ্যমগুলো আজকের পোস্টে পুরোপুরিভাবে তুলে ধরার চেষ্ঠা করেছি।
আমার বিশ্বাস, আর্টিকালটি আপনার উপকারে এসেছে। ব্লগিং সম্পর্কে এরকম উপকারী পোস্ট নিয়মিত পেতে আমাদের ব্লগটি ফলো দিয়ে রাখুন। ভালো থাকবেন।