google.com, pub-2818299811453184, DIRECT, f08c47fec0942fa0

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি? সম্পূর্ন তালিকা

ফ্রিলান্সিং বর্তমান যুগে খুব জনপ্রিয় একটি পেশার নাম। অনলাইনে আয় করার এই পেশার সাথে জড়িত হয়ে হাজারো মানুষ তাদের ক্যারিয়ার গড়েছে। যেহতু ফ্রিল্যান্সিং পুরোটাই অনলাইন নির্ভর তাই এর কর্মক্ষেত্রের পরিধিও অনেক বিশাল। আর্টিকালটিতে ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ কি কি তা নিয়ে আলোচনা করবো এবং এর কর্মক্ষেত্র সম্পর্কে আপনাকে পরিপূর্ন একটি ধারনা দিবো ।

যেন আপনি এই বিশাল কর্মক্ষেত্র থেকে যেকোনো একটি কাজ বাছাই করে ফ্রিল্যাসিং এ সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

আজকের ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন নতুনদের জন্য খুব কাজে দিবে। এর কারন হলো যারাই এই পেশায় আসতে চায় প্রথমে তাদের মাথায় প্রশ্ন জাগে ফ্রিলান্সিং এর কোন কাজ সমূহ শিখব এবং কোনগুলো শিখব না।, ভবিষ্যতে কোন কাজের ভালো চাহিদা থাকবে, ইত্যাদি । ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে তাদের ধারনা না থাকায় Freelancing Jobs সম্পর্কেও তারা কিছু জানে না ।

আপনি যদি আজকের আর্টিকালটি মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন তাহলে ফ্রিলান্সিং এর সকল Job opportunity সম্পর্কে আপনার একটি স্পষ্ট ধারনা হয়ে যাবে।

শুরু করার আগে আপনাদের কিছু কথা বলে নিতে চাই, তা হলো-

ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ সমূহ হচ্ছে Remote Job based. অর্থাৎ, ঘরে বসে এই কাজগুলো করতে হয়। ফ্রিলান্সিং এর যেকোনো কাজ করতে আপনার কোনো প্রকারের সার্টিফিকেট দরকার হবে না। আপনি শুধুমাত্র Skilled Person হলেই ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো কাজ করতে পারবেন।

যেহেতু যে কেউ যেকোনো বিষয়ে স্কিল অর্জন করে ফ্রিল্যান্সিং পেশার সাথে জড়িত হতে পারে তাই এই পেশায় প্রতিযোগীতাও তুলনামূলক অনেক বেশি।

তাই, আপনি যদি Market Research না করে হুটহাট ফ্রিলান্সিং করতে চলে আসেন তাহলে আপনার ব্যার্থ হওয়ার চান্স 90%.

কেননা একটি জিনিস খেয়াল করেন, প্রথমত এখানে কম্পিটিশন অনেক বেশি হওয়ার কারনে একটি জব পেতে আপনার দিন-রাত একাকার করে পরিশ্রম করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আপনার যদি তেমন স্কিল না থাকে তাহলে তেমন কিছুই করতে পারবেন না। বরং, কিছুদিন পরিশ্রম করে তারপর এই পেশা ছেড়ে দিতে হবে।

তাই, এখানে যে জিনিসটি গুরুত্বপূর্ন তা হলো আপনাকে প্রথমে Market Research করে ফ্রিল্যান্সিং জব ক্যাটাগরি সমূহ থেকে Most demandable freelancing Jobs খুজে বের করতে হবে এবং সে বিষয়ে খুব বেশি দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।

তা না হলে দেখবেন আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো একটি কাজ করতে যাবেন, তারপর বায়ারকে Satisfaction দিতে পারবেন না ফলে তিনি আপনাকে negative Review দিবে। এবং কিছুদিন পরই আপনাকে ফ্রিল্যাসিং কাজ করা বন্ধ করে দিতে হবে। তাই, ফ্রিল্যান্সিং এর যে কাজ তুলনামূলক সহজ এবং মার্কেটে ভালো চাহিদা রয়েছে সে কাজে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষন নিয়ে দক্ষ হয়ে তারপরই মার্কেটপ্লেস এ যাওয়া উচিত হবে।

তারপর, আরেকটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার জব AI বা Artificial Intelligence নিয়ে নেয় কিনা। কারন Chat GPT আবিষ্কৃত হওয়ার পরে কম চাহিদা সম্পন্ন অধিকাংশ জবগুলোই এই AI replace করে নিয়েছে।

Related Topic:

ফ্রিল্যান্সিং এর সকল কাজ সমূহ – All Freelancing Jobs

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ধরনের কাজই রয়েছে। তবে যে অনলাইন কাজগুলো সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় সেগুলো বিস্তারিত বলার চেষ্ঠা করবো।

১। ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)

Digital marketing ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের অনেক বড় একটি জায়গা দখল করে রেখেছে। কেবল মাত্র ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের ক্ষেত্রে নয়, বরং আন্তর্জাতিক অথবা বাংলাদেশের মার্কেটেও এর চাহিদা ব্যাপক।

মার্কেটিং মানে বিপণন বা প্রচার-প্রচারনা। আর অনলাইনে কোনো কিছু প্রচার-প্রচারনা করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে।

প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কম্পানি তৈরি হচ্ছে এবং ঐসব কম্পানির পণ্য বা সেবা অনলাইনে বিপণনের জন্য দরকার হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটারদের।

ধারনা করা হয়, ভবিষ্যতে সবকিছুর চাহিদা কমে গেলেও ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের চাহিদা কখনোই কমবে না।

তাই আপনি যদি একান্তই চান যে ফ্রিল্যাসিং শিখবেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং-কে সবার প্রথমে বিবেচনায় আনতেই পারেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটি সেক্টর। এই সেক্টরের অনেকগুলো কাজের ক্ষেত্র রয়েছে। আপনি এখান থেকে যেকোনো একটি বা একাধিক ক্ষেত্র বেছে নিয়ে Freelancing Journey শুরু করতে পারেন।

তবে, Freelancing Career গড়ার ক্ষেত্রে আমি বলি সবসময় একটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরীর কাজ সিলেক্ট করে সেটাতে আগে ভালোভাবে দক্ষ হয়ে উঠতে। দেখবেন তাহলে অনলাইনে কাজ পাওয়াটা আপনার জন্য অধিকতর সহজ হয়ে উঠবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ এর ক্ষেত্র বা ক্যাটাগরী সমূহঃ

  • SEO (Search Engine Optimization)
  • SEM (Search Engine Marketing)
  • Social Media Marketing
  • Email Marketing
  • Affiliate Marketing
  • Video Marketing
  • Mobile App Marketing
  • E-commerce Marketing
  • E-book Marketing
  • Guest Posting
  • Display Advertising
  • Influencer Marketing
  • Telemarketing
  • Podcast Marketing, ইত্যাদি।

২। প্রোগ্রামিং এবং ডেভেলপমেন্ট (Programming and Development)

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহের মধ্যে প্রোগ্রামিং এবং ডেভেলপমেন্ট এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে Web Development সেক্টর অন্যতম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর পরে ফ্রিল্যান্সিং এ সবচেয়ে বেশি চাহিদা সম্পন্ন সেক্টর হলো এই ওয়েব ডেভেলোপমেন্ট সেক্টর।

প্রোগ্রামিং এবং ডেভেলপমেন্ট সেক্টর পুরোটাই আসলে কোডিং বা প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত সেক্টর। এখানে কোডিং করে বিভিন্ন ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান ডেভেলোপমেন্ট, গেইম তৈরি ও বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হয়।

যেহেতু এই সেক্টরে কাজ করতে কোডিং শিখতে হয় সেহেতু এখানে দক্ষ হয়ে উঠাটা খুব চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। এবং সেসাথে এখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ অনেক বেশি।

তবে এই সেক্টরে ভালো কিছু করতে হলে আপনাকে অবশ্যই দৈর্যশীল হতে হবে। কারন, শুধু ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ফ্রিল্যান্সিং কোর্স করতেই আপনার ১ বছর বা তার বেশি সময় লেগে যাবে।

তারপর, মার্কেটপ্লেসে গিয়ে কাজ করে ক্যারিয়ার গড়তে আরো ১-২ বছর লেগে যাবে।

এই সেক্টরেও অনেকগুলো কাজের ক্ষেত্র বা ক্যাটাগরী রয়েছে।

প্রোগ্রামিং এবং ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজের ক্ষেত্র সমূহঃ

  • Web Development
  • WordPress Development
  • Web Application
  • Software Development
  • Python Developer
  • Java script specialist
  • Mobile App Development
  • Game Development
  • AI Development, and many more.

৩। রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন (Writing & Translation)

ফ্রিল্যাসিং এর কাজ সমূহ এর মধ্যে রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন এর কাজগুলোই বোধহয় সবচেয়ে সহজ। কেননা এই কাজগুলো করতে তেমন কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। আর সমস্ত বিশ্বে Writing এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

আপনি যেই পেশার মানুষই হোন না কেন Content Writing বা Article Writing করে হ্যাভি এমাউন্ট আপনি আয় করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে এবং মার্কেটপ্লেসের বাইরে থেকে। তবে কন্টেন্ট রাইটিং করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজী ভাষায় দক্ষ হতে হবে এবং অন পেইজ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে।

কন্টেন্ট রাইটিং এ কারা বেশি প্রাধান্য পায়?

যাদের লেখালেখি করতে ভালো লাগে এবং এই বিষয়ে ভালো দক্ষতা আছে তারাই কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজে বেশি প্রাধান্য পেয়ে থাকে। এক্ষেত্রে SEO Friendly Content Writer এর চাহিদা ব্যাপক।

রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন ফ্রিল্যাসিং কাজ এর অনেকগুলো ক্ষেত্র রয়েছে। এখান থেকে যেকোনো একটি ক্ষেত্র বেছে নিয়ে ফ্রিল্যান্স কন্টেন্ট রাইটিং জবে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।

Writing কাজ এর ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্র সমূহঃ

  • Website Content Writing
  • Article & Blog Post Writing
  • Ghost Writing
  • E-Book Writing
  • Script Writing
  • Product Descriptions Writing
  • Creative Writing
  • Podcast Writing
  • Speech Writting
  • Research and Summaries

Translation কাজ এর ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্র সমূহ

  • Translation (Local Language to English)
  • Translation(English to Local Language)
  • Transcription (Video to Text)
  • Transcription (Audio to Text)
  • Local Transcription, etc.

৪। গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন (Graphics & Design)

গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই জনপ্রিয় এবং অত্যাধিক চাহিদাসম্পূর্ন একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ। গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা মূলত বিভিন্ন জিনিস যেমন কম্পানির লোগো, অনালাইন বিজ্ঞাপন ব্যানার, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশান UI/UX ইত্যাদি ডিজাইন নিয়ে কাজ করে।

প্রত্যেকটি কম্পানি তাদের বিজনেস এর জন্য অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের হায়ার করে থাকে। যার কারনে দক্ষ ডিজাইনারদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

তবে এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, গ্রাফিক্স ডিজাইনের ফ্রিল্যান্সিং কাজ পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়ে অনেক পারদর্শী হতে হবে। নিজের মধ্যে ডিজাইন করার মতো Creative skill না থাকার কারনে অনেকেই এই সেক্টরে এসে সফল হতে পারে না।

গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন কাজ এর অনেকগুলো ক্যাটাগরী বা ক্ষেত্র রয়েছে।

গ্রাফিক্স এবং ডিজাইন এর ক্ষেত্রগুলো হলোঃ

  • Logo Design
  • Business Card Design
  • Banner Design
  • Website Design
  • Landing Page Design
  • App Design
  • UX Design
  • Icon Design
  • Art and Illustration
  • Industrial and Product Design
  • Social Post Design
  • Infographics Design
  • Fashion Design
  • Image Editing সহ আরো ইত্যাদি আরো অনেক ধরনের জব ক্যাটাগরী রয়েছে।

suggested Articles: লোগো ডিজাইন কি? লোগো ডিজাইন করে আয় করবেন যেভাবে

৫। ভিডিও এবং এনিমেশন (Video and Animation)

Video and Animation ফ্রিলান্সিং এর কাজ সমূহ এর মাঝে একটি অত্যাধিক চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। এই কাজের জন্য দক্ষ লোক খুজে পাওয়া অনেক মুশকিল।

তাই, এই ফ্রিল্যান্সিং কাজটিতে দক্ষ হওয়ার মাধ্যমে জীবন পরিবর্তন করা যেতে পারে। অনেক ফ্রিল্যান্সার শুধুমাত্র Video Editing কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।

শুধু তাই নয়, ভিডিও এডিটিং এর কাজ জানলে অনলাইনে Content Creator হিসেবে বিরাজ করা যায়। তাছাড়া এই সেক্টরে দক্ষ হওয়ার মাধ্যমে কম্পানির জন্য ভিডিও বিজ্ঞাপন তৈরি , এনিমেশন মোভি তৈরি, সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিও সহ আরো অনেক ধরনের সার্ভিস দেওয়া যায়।

নিচে ভিডিও এবং এনিমেশন নিয়ে কাজ করার তালিকা উল্লেখ করা হলোঃ

  • Editing & Post-Production
  • Social & Marketing Videos
  • Animation
  • Filmed Video Production
  • Explainer Videos
  • Product Videos

এই ক্যাটাগরীগুলোর মধ্যে আরো অনেক সাব ক্যাটাগরী চলে আছে যা আপনি চাইলে ফ্রিল্যাসিং কাজ সমূহ এর মধ্যে রাখতে পারেন। যেমন আপনি চাইলে শুধু Video Editing নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। অথবা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য বাছাই করতে পারেন – 3D product animation, Character Animation, Animated GIFs, ইত্যাদি।

Important link: Animation Basic course for free

৬। ডাটা এন্ট্রি

ডাটা এন্ট্রি খুব সহজ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই কাজ করতে বেশি দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। তবে, ডাটা এন্ট্রির কাজ করার জন্য টাইপিং স্পিড ভালো হতে হয় এবং বিভিন্ন টুলস ব্যবহারে পারদর্শী হতে হয়। যারা মূলত Freelancing Beginner তাদের জন্য এই কাজ ঠিক আছে।

তবে একটা কথা না বললেই নয় যে এই কাজের পেছনে কম্পিটিশন অনেক বেশি। তাই প্রথমত কাজ পেতে একটু বেশি সময় লাগতে পারে। আর তাছাড়া এই কাজের ডিমান্ড অন্যগুলোর মতো তেমন ভালো না হলেও নতুনদের জন্য ঠিক আছে।

কিন্তু ভালো ভবিষ্যত গড়ার আশায় ডাটা এন্ট্রির কাজ করা মঙ্গলজনক ফ্রিল্যান্সিং পদক্ষেপ হবে না।

এখানেও আপনি কয়েকটি ক্যাটাগরীর কাজ পায়ে যাবেন। যেমনঃ

  • Data Collection
  • Data Analysis
  • Data management
  • Data Storage, ইত্যাদি।

ডাটা এন্ট্রির চাহিদা তেমন না থাকলেও এই সেক্টরে অন্য কাজগুলোর খুব ভালো চাহিদা আছে এবং সেগুলো শিখতেও আপনার অনেক পরিশ্রম করতে হবে। যেমনঃ Data Science, Data Engineering, ইত্যাদি।

অবশ্যই পড়ুনঃ মোবাইলে ডাটা এন্ট্রি করে আয় করার উপায়

৭। ফোটোগ্রাফি

ছবি তোলা যদি হয় আপনার পেশা তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করার রয়েছে হাজারো সুযোগ। মোবাইল ক্যামেরা অথবা DSLR ক্যামেরা দিয়ে ফোটোগ্রাফি করে অনেকভাবে অনলাইন থেকে উপার্জন করা যায়।

Suggested: অনলাইনে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করার উপায়

তবে এর মধ্যে ফ্রিল্যাসিং অন্যতম। ফ্রিল্যাসিং এর ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো কম্পানির হয়ে ফোটোগ্রাফি করতে পারবেন। Fiverr , Upwork সহ বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে ফোটোগ্রাফারদের হারার করা হয়। তার মধ্যে রয়েছেঃ

  • Product Photographer
  • Food Photographer
  • Fashion Photographer
  • Event Photographer
  • Portrait prohographer
  • Modeling and Acting photography, etc.

তাছাড়া, অন্যের করা ফোটোগ্রাফি থেকেও আপনি আয় করতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যেমে। সেটি হচ্ছে Image Editing এর মাধ্যমে।

তাই, ছবি তোলা যদি আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে তাকে ক্যারিয়ারে রূপান্তর করতেই পারেন।

৮। ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট

ফ্রিল্যাসিং-এ ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট খুব জনপ্রিয় একটি কাজ। একটি কম্পানিতে একজন এসিস্টেন্ট এর যে কাজ থাকে মূলত ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট সে কাজগুলোই করে থাকে।

কিন্তু এখানে পার্থক্য হচ্ছে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট ঘরে বসে তার কাজগুলো সম্পাদন করতে পারে।

একটি কম্পানির বিভিন্ন কাজ ভার্চুয়াল এসিস্টেন্টরা করে থাকে। যেমন:

  • Social media management,
  • Email management,
  • Research,
  • Making phone calls,
  • Customer service সহ ইত্যাদি আরো অনেক।

ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসেবে ফ্রিল্যাসিং জব করার জন্য ইংরেজীতে খুব ভালো হতে হয়। কেননা, এখানে আপনার কাস্টমার সার্ভিস কিংবা কল দিয়ে ইংরেজী কথা বলার জন্য বলা হয়ে থাকবে। যদি আপনি ইংরেজী না পারেন তাহলে ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হিসেবে আপনি কাজ করতে কখনোই পারবেন না।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে সকল FAQs

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ শিখতে কতদিন সময় লাগে?

এটি নির্ভর করে আপনি কোন ধরনের কাজ শিখতে চান তার উপর। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তাহলে সর্বনিন্ম ৩ মাস, যদি আর্টিকাল রাইটিং শিখতে চান তাহলে সর্বনিন্ম ১ মাস, আবার যদি প্রোগ্রামিং বা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখতে চান তাহলে মিনিমাম ১ বছর লেগে যাবে। তাই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ শিখতে কতদিন লাগবে তা কাজের উপর নির্ভর করে।

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনগুলো?

ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে অনেক সহজ কাজ রয়েছে আবার অনেক কঠিন কাজও রয়েছে। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ কাজগুলো হলো ডিজিটাল মার্কেটিং, আর্টিকাল রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কিসের প্রয়োজন?

প্রোফেশনাল ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য কয়েকটি জিনিস আপনার লাগবেই। প্রথমত, আপনার যেকোনো একটি কম্পিউটার ডিভাইস থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে লেপটপ হলে ভালো হয়। দ্বিতীয়ত ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে ইন্টারনেট কানেকশন প্রয়োজন। এবং কাজ করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে আপনার একটি একাউন্ট থাকতে হবে।

সর্বশেষ

জনপ্রিয় সকল ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ নিয়ে কথা বলছিলাম এতক্ষন। আপনি যদি সত্যিই ভেবে থাকেন ফ্রিল্যান্সিং করবেন তাহলে এখানের যেকোনো একটি কাজ নিয়ে ফ্রিল্যাসিং করেন।

যে কাজটি সিলেক্ট করবেন আগে যে বিষয়ে দক্ষ হয়ে তারপর ফ্রিল্যান্সিং করার পদক্ষেপ নিবেন। আরেকটা কথা, যে কাজটি আপনি শিখতে যাচ্ছেন সেটি নিয়ে গুগলে সার্চ করে আরো ভালো করে যাচাই করে নিবেন।

যাচাই করবেনঃ কাজটির বর্তমানে কেমন চাহিদা রয়েছে, ভবিষ্যতে এর চাহিদা থাকবে কিনা, প্রতিটি কাজের জন্য কত ডলার দেওয়া হয়, ভবিষ্যতে এই কাজটি AI (Artificial Intelligence) করতে পারবে কিনা, ইত্যাদি।

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এর মহদ্যে যেটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে সেটি নিয়ে পরিকল্পনা করুন। কখনোও একের অধিক কাজ করার কথা চিন্তা করবেন না যেন। তাহলে আপনি Frustrated হয়ে যাবেন। এবং কোনোটিই আপনি আর একসময় করতে পারবেন না। তাই, যেকোনো একটির পেছনে গেলে থাকুন, সাফল্য আসবেই ইনশাআল্লাহ।

Check Also

সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ

সবচেয়ে জনপ্রিয় ও চাহিদাসম্পূর্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজ ২০২৪

যারা কঠোর কর্পোরেট পরিবেশ পছন্দ করেন না, তাদের মধ্যে ফ্রিল্যান্সিং পেশাটি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *