বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের অনলাইন সম্পর্কে অনেক ধারনা আছে। কিন্তু কিভাবে বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় তা জানা নেই। আবার অনেকেই মনে করেন ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে প্রোগ্রামিং এর জ্ঞান থাকতে হয় বা অনেক টাকার প্রয়োজন হয় । আপনাদের সকলের ধারনা আমি আজকে ভুল প্রমান করে দিবো। অর্থাৎ, একদম বিনামূল্যে কোনো প্রকার কোডিং ছাড়াই ফ্রি-তে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনাদের দেখাবো। আপনি যদি না জানেন যে কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়,বা ওয়েবসাইট তৈরির পদ্ধতি কি তাহলে আজকের পর্যালোচনাটি আপনার জন্য।

তো চলুন শুরু করা যাক –

সূচিপত্রঃ

ওয়েবসাইট কাকে বলে

আসলে, একাধিক ওয়েব পেজের সমষ্টিকে ওয়েবসাইট বলে। ওয়েব পেজ হলো ইন্টানেটে থাকা কোনো একটি পৃষ্ঠা যেখানে ছবি, অডিও, ভিডিও, টেক্সট, ইত্যাদি সংরক্ষিত থাকে।

অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। যেমনঃ ব্লগ ওয়েবসাইট, ই-কমার্স ওয়েবসাইট, নিউজ সাইট, ইত্যাদি।

বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে এই ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে।

কেনো ওয়েবসাইট তৈরি করবো?

ওয়েবসাইট তৈরি করার অনেক কারন থাকতে পারে। বর্তমান ডিজিটাল মার্কেটিং-এর যুগের সবার নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা খুবই জরুরী। তাছাড়া একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে বিভিন্ন জিনিস নিয়ে লেখালেখি করে বর্তমানে অনেক মানুষ গুগল এডসেন্স-এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে টাকা আয় করছে।

তাছাড়া অনেকে অনেক প্রয়োজনে ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। যেমন, আপনি যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিক হন তবে আপনার সেবা মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজন হবে। তাছাড়া একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রি করেও ক্যারিয়ার গড়া যায়।

আসলে একটি ওয়েবসাইটের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে শেষ করা যাবে না।

ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করার উপায় কি?

ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত লেখালেখি করে অনেক উপায়ে আয় করা যায়। আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন এবং সেখানে প্রতিদিন ভালো কিছু লেখালেখি করেন তাহলে আপনার সাইটটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তবে এর জন্য অবশ্যই আপনার সাইটের এসইও এবং অন্যান্য মার্কেটিং করতে হবে।

আর একটি জনপ্রিয় সাইট থেকে অনেক উপায়েই আয় করা যায়। যেমনঃ

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয়ঃ আপনার ওয়েবসাইট যদি গুগল এডসেন্সের সাথে মনিটাইজ করান তাহলে আপনার সাইটে এডসেন্স কতৃক বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। এবং প্রতিটি বিজ্ঞাপন দেখার জন্য আপনি পেয়ে যাবেন নির্দিষ্ট পরিমানের ডলার। দেখে নিনঃ গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার সবচেয়ে সহজ উপায়

নিজের পণ্য বিক্রি করে আয়ঃ আপনার যদি ওয়েবসাইট থাকে এবং সেখানে প্রতিদিন মানুষ ভিজিট করে তাহলে আপনি আপনার নিজস্ব পন্য বিক্রি করতে আয় করতে পারবেন।

বিজ্ঞাপনের জায়গা বিক্রি করে আয়ঃ বিভিন্ন কম্পানির প্রচারের জন্য আপনি আপনার ওয়েবসাইটের সেকোনো জায়গায় তাদের ব্যানার দিয়ে অর্থ আয় করতে পারবেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয়ঃ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের পন্য প্রচার করে সেখান থেকে সেল আসলে কমিশনের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ

কিভাবে একটি ওয়েবসাইট খোলা যায়?

২০০৩ সালে কিংবা এর আগে ওয়েবসাইট খুলতে হলে কোডিং সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক ছিল। তখন ইন্টারনেটে এখনকার মতো এতো ওয়েবসাইটও ছিল না। কিন্তু বর্তমান ২০২৪ সালে ইন্টানেটে ওয়েবসাইটের কোনো অভাব নেই। যেকোনো বিষয় নিয়ে মানুষ সার্চ করলে লক্ষ-লক্ষ কিংবা কোটি-কোটি ওয়েবসাইট চলে আসে।

কেনোই বা আসবে না, এখন যে কেউ চাইলেই ১০ মিনিটের মধ্যেই একটি ওয়েবসাইট খোলে ফেলতে পারে। ২০০৩ সালে ২৭ মে যখন WordPress আবিষ্কৃত হয় তখন থেকেই মানুষ ওয়েবসাইট খোলা নিয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করতে থাকে। কারন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে খুব সহজেই ওয়েবসাইট খোলা এবং ম্যানেজ করা যায়।

আরো পড়ুনঃ

বর্তমানে ওয়েবসাইট খোলার ২ টি মাধ্যম রয়েছে। যথাঃ

  1. ফ্রি ওয়েবসাইট খোলা
  2. টাকা দিয়ে সার্ভার এবং এড্রেস ভাড়া নিয়ে ওয়েবসাইট খোলা।

কিভাবে একটি ফ্রি ওয়েবসাইট খোলা যায় এই নিয়েই আমাদের আজকের আর্টিকালটি। আর আপনি যদি টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে প্রোফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

কিভাবে ফ্রি ওয়েবসাইট বানানো যায়?

ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার অনেক মাধ্যম রয়েছে। তবে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো ব্লগার(Blogger.com)। ব্লগার দিয়ে আপনি খুব সহজেই ১০ মিনিটেরও কম সময়ে বিনামূল্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারেন।

তাছাড়া ব্লগার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ করারও সুযোগ সুবিধা রয়েছে, যা অন্য কোনো ফ্রি ওয়েবসাইট প্রোভাইডার দেয় না। এখানে একাউন্ট তৈরি করাও অনেক সহজ। জিমেইল একাউন্ট দিয়ে লগিন করে খুব সহজেই এখানে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলা যায়।

বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করার জনপ্রিয় মাধ্যমঃ

  • Blogger.com
  • WordPress.com
  • Wix.com
  • Tumblr.com
  • Weebly.com এবং আরো অনেক

কিন্তু এদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো এবং জনপ্রিয় সাইট হচ্ছেঃ Blogger.com

ফ্রি ওয়েবসাইট বনাম পেইড ওয়েবসাইটঃ

সাধারনত ওয়েবসাইটের এড্রেস হয়ে থাকে এরকমঃ www.Techbdtricks.com

কিন্তু ফ্রি ওয়েবসাইট গুলোতে ডোমেইন নেইম বা ওয়েবসাইটের এড্রেস হয় অন্যরকম। ফ্রি ওয়েবসাইট গুলো থেকে সাধারনত আপনি একটি সাব-ডোমেইন বা উপ-ঠিকানা পেতে পারেন।

যেমনঃ

আপনি যদি ব্লগারের মাধ্যমে বিনামূল্যে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনার সাইটের এড্রেসটি হবেঃ www.tecbdtricks.blogspot.com

বিষয়টি হল অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকার মতো। আপনি যদি একটি পেইড ডোমেইন দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে সেই ওয়েবসাইটের সম্পূর্ন মালিকানা থাকবে আপনার কাছে। আর যদি ফ্রি ডোমেইন দিয়ে বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে সে ওয়েবসাইটের কিছু অংশের মালিকানা থাকবে আপনার কাছে।

অর্থাৎ, যদি ব্লগার দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে ওয়েবসাইটের প্রধান মালিক থাকবে গুগল এবং আপনাকে সেখানে থাকার সুযোগ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে যা ইনকাম করবেন তার কিছু অংশ গুগল কেটে রেখে দিবে।

তাই যদি প্রোফেশনালভাবে যদি সম্পূর্ন মালিকানাধীন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে টাকা খরচ করে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলুন। আর যদি আর্থিক সমস্যা থাকে তাহলে ব্লগারের মাধ্যমে বিনা খরচে তৈরী করুন ওয়েব সাইট। এখানে উল্লেখ্য যে একটি প্রোফেশনাল পেইড ডোমেইন দিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে আপনার সর্বনিন্ম ২০০০ টাকা খরচ হতে পারে।

বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়মঃ

blogger.com দিয়ে খুব সহজেই ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ব্লগার দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে প্রথম তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। তো আপনি চাইলে গুগলে সার্চ করে তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারেন অথবা এখান থেকে ক্লিক করেও ব্লগারে প্রবেশ করে নিতে পারেন।

ব্লগারে প্রবেশ করার জন্য ক্লিক করুন

প্রবেশ করার সাথে সাথেই আপনি এরকম একটি পেজ দেখতে পারবেন-

বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করতে ব্লগারে প্রবেশ
ব্লগার ওয়েবসাইটের মূল পেজ

এরপর ব্লগারের মাধ্যমে ফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করতে নিন্মলিখিত ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ

ধাপ-১ঃ Create Your Blog লেখাটিটে ক্লিক করুন

এখানে ক্লিক করার পর আপনাকে গুগলে সাইন-ইন করার জন্য দেখাবে। তো আপনি যেই একাউন্ট দিয়ে ফ্রি ওয়েবসাইটটি খুলতে চাচ্ছেন সেটি দিয়ে সাইন-ইন করে নিবেন।

আর যদি আপনি আগে থেকেই লগইড-ইন থাকেন তাহলে আর ইমেইল-পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন-ইন করতে হবে না।

ধাপ-২ঃ আপনার ওয়েবসাইটের একটি টাইটেল ব্যবহার করুনঃ

Create Your Blog বাটনে ক্লিক করে সাইন ইন করার পর আপনার সামনে ওয়েবসাইটের টাইটেল বা নাম দেওয়ার জন্য একটি পেজ আসবে। সেখানে আপনি যেকোনো একটি নাম দিয়ে দিবেন। আপনার ওয়েবসাইটের হোম পেইজে এটি বড় করে দেখাবে।

চিন্তার কোনো কারন নেই, আপনি চাইলে আবার পরবর্তীতে নামটি পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। তাছাড়া এখন টাইটেল দিতে অনিচ্ছুক হলে Skip বাটনে ক্লিক এড়িয়ে যেতে পারবেন।

আপনার ফ্রি ওয়েবসাইটের টাইটেল দিন
আপনার ফ্রি ওয়েবসাইটের সুন্দর একটি টাইটেল দিন

ধাপ-৩ঃ আপনার ওয়েবসাইটের একটি ঠিকানা বা ডোমেইন নাম বাচাই করুনঃ

৩য় ধাপে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি ঠিকানা বা ডোমেইন বাচাই করতে হবে। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন ওয়েবসাইটের এড্রেস ইউনিক বা একক হতে হয়। অর্থাৎ, TechBDTricks.com সমস্ত পৃথিবীতে কেবল একটাই রয়েছে। দ্বিতীয়টি হওয়া সম্ভব নয়।

তাই ঠিকানা বাছাই করার সময় আপনাকে ঝামেলা পোহাতে হবে। available রয়েছে এমন একটি ডোমেইন এড্রেস আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।

অবশ্যই পড়ুনঃ কিভাবে ওয়েবসাইটের সুন্দর নাম পেতে পারি

available address বাছাইকরন
available address বাছাইকরন

এখানে দেখতে পাচ্ছে Latestbdnews এড্রেসটি available রয়েছে। এখন Next বাটনে ক্লিক করলেই আমাদের ব্লগটি তৈরি হয়ে যাবে।

এখন কেউ যদি latestbdnews.blogspot.com ব্রাউওজারের এড্রেসবারে লিখে সার্চ করে তাহলে আমার এই ওয়েবসাইটটি তারা পেয়ে যাবে। কিন্তু সেখানে কিছুই তারা দেখতে পাবে না যদি না আমি কোনো আর্টিকাল পোস্ট করি।

আপনি চাইলে আপনার ব্লগটি বামপাশের মেনু থেকে নিচে view blog বাটনে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।

বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্পূর্ন হয়েছে
বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করা সম্পূর্ন হয়েছে এখানে ক্লিক করে দেখে নিন

কিভাবে আপনার ফ্রি ওয়েবসাইট ডিজাইন করবেন?

ওয়েবসাইট ডিজাইন করার জন্য ইন্টারনেটে ফ্রিতে অনেক রেডিমেট ডিজাইন পাওয়া যায়। এইসব রেডিমেট ডিজাইনকে বলা হয় থিম

ইন্টানেটে ফ্রি থিম এবং পেইড থিম উভয়টিই পাওয়া যায়। কিন্তু বিনামূল্যে তৈরিকৃত ওয়েবসাইটে পেইড থিম ব্যবহার করা নিতান্তই বোকামি। তাই ফ্রি তে থিম এক্টিভেট করার জন্য আপনি বামপাশের মেনু থেকে চলে যাবেন Theme অপশনে।

এবং সেখান থেকে যেই থিমটি বেশি পছন্দ হয় সেটি বাছাই করে নিতে পারেন।

আবার আপনি চাইলে Theme-এর ডিজাইন আপনি পরিবর্তন ও করতে পারবেন। যেমন আপনি চাচ্ছেন আপনার ওয়েবসাইটের সাইডবার টি ডানপাশে না থেকে বামপাশে থাকবে অথবা উপরের সার্চবারের মধ্যে অন্যকিছু লেখা থাকবে তাহলে আপনি করতে Layout অপশন থেকে পরিবর্তন করতে পারবেন।

কিভাবে ফ্রি ব্লগার ওয়েবসাইটে আর্টিকাল পোস্ট করবো?

১। ব্লগারে নতুন পোস্ট করার জন্য প্রথমে New Post এ ক্লিক করুন।

প্রথমে-New-Post-এ-ক্লিক-করুন
প্রথমে-New-Post-এ-ক্লিক-করুন

২। তারপর একটি টাইটেল দিন এবং আর্টিকালটি লিখে পাবলিশ করে দিন।

ফ্রি ব্লগার ওয়েবসাইটে পোস্ট করার পদ্ধতি
বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি 8

আশা করি বিনামূল্যে একটি ওয়েবসাইট খোলার এবং সেটি ম্যানেজ করার প্রক্রিয়া বুঝতে পেরেছেন। যদি ব্লগার নিয়ে বিস্তারিত আরো জানতে চান তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

ব্লগার সম্পর্কে কিছু প্রশ্ন ও উত্তরঃ

ব্লগার দিয়ে কি একদম বিনামূল্যে ওয়েবসাইট বানানো যায়?

উত্তরঃ হ্যা। ব্লগার দিয়ে একদম বিনামূল্যে ওয়েবসাইট বানাতে পারবেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে আপনাকে একটি সাবডোমেইন ব্যাবহার করতে হবে। যেমনঃ techbdtricks.blogspot.com

আবার আপনি চাইলে টাকা দিয়ে একটি ডোমেইন ক্রয় করে তৈরিকৃত সাইটটির মধ্যে সংযুক্ত করে নিতে পারবেন।

পরবর্তীতে কি এই সাবডোমেইন থেকে উচ্চমানের ডোমেইনে সাইটটি পরিবর্তন করতে পারব?

হ্যা। করতে পারবেন। পরবর্তীতে সাবডোমেইন থেকে .com, .net, .org সহ বিভিন্ন উচ্চমানের ডোমেইনে ওয়েবসাইট পরিবর্তন করতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে টাকা দিয়ে যেকোনো ডোমেইন-হোস্টিং প্রোভাইডার কম্পানি থেকে ডোমেইন কিনে নিতে হবে।

ব্লগার ফ্রি ওয়েবসাইটে কি গুগল এডসেন্স পাওয়া যায়?

যেহেতু, ব্লগার গুগলেরই একটি সার্ভিস সেহেতু খুব সহজেই এখানে গুগল এডসেন্স পাওয়া যায়। কিন্তু সেখানে একটি সমস্যা হলো, গুগল এডসেন্স থেকে প্রাপ্ত উপার্জন থেকে ব্লগার কিছুটা রেখে দেয়। কেননা, এখানে আপনি ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার করছেন। অন্যান্য সফটওয়্যার যেমন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে সাইট বানাতে গেলে আপনাকে ডোমেইনের সাথে আবার হোস্টিং কিনতে হচ্ছে।

তাই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে এডসেন্স থেকে যা উপার্জন করেন তা সম্পূর্নটাই আপনার, কিন্তু ব্লগারে অর্জিত উপার্জনের কিছু অংশ ব্লগার নিজে রেখে দেয়।

আমি কিভাবে ব্লগারের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারি

ব্লগারের মাধ্যমে টাকা আয়ের অনেক পথই রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে সহজ পথ হলো গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা উপার্জন। তাছাড়া, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, স্পন্সর রিভিউ সহ অনেকভাবেওই ব্লগারের মাধ্যমে আপনি চাইলে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ফ্রিতে ব্লগার ছাড়াও আর কি কি উপায়ে ওয়েবসাইট বানানো যায়?

ব্লগার ছাড়াও ফ্রিতে অনেক উপায়ে ওয়েবসাইট বানানো যায়। যেমন: wordpress.com, wix.com, yola.com, infinity.com, সহ অনেক ধরনের ফ্রি ওয়েবসাইট বানানোর সার্ভিস রয়েছে। কিন্তু সেসকল সার্ভিস কেবলমাত্র অনুশীলন করার জন্য ব্যবহার করা উচিত। অর্থ আয়ের জন্য অথবা প্রোফেশনালভাবে ফ্রিতে ব্লগিং করার জন্য blogger.com ব্যবহার করাটাই ভালো হবে। আর যদি আরো প্রোফেশনালভাবে ব্লগিং করতে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানানোর পরামর্শ রইলো।

ব্লগার নাকি ওয়ার্ডপ্রেস, কোনটা ভালো হবে?

আমি বলবো অবশ্যই ওয়ার্ডপ্রেস ভালো হবে।

কিন্তু যদি, আপনি কম ইনভেস্ট করে মোটামুটি ফ্রি চালাতে চান তাহলে ব্লগার ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি হোস্টিং কিনার মত সামর্থ থাকে তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করেনত। blogger এ ফ্রি হোস্টিং পাবেন ঠিকই, কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করলে পাবেন হাজার প্লাগিনের সুবিধা। যার সাহায্যে আপনার সাইটে অনেক ফিচার যুক্ত করতে পারবেন। Now, decision is yours.

বিনামূল্যে ব্লগিং-এর জন্য কোনটি ভালো? ব্লগার, নাকি ওয়ার্ডপ্রেস?

বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করে ব্লগিং করতে চাইলে অবশ্যই ব্লগার ভালো হবে।

আপনি যদি অনলাইন থেকে আয় করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তবে আমি বলব ফ্রি মেথডে না যাওয়ার জন্য। কেননা, ফ্রি ব্লগিং এবং পেইড ব্লগিং করার ক্ষেত্রে ঠিক একই পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু সুবিধার বেলায় ফ্রি ব্লগিং পিছিয়ে থাকে।

ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়?

আপনি সঠিক ভাবে ব্লগিং করতে পারলে শুরু করার ৫-৬ মাস পর ১০,০০০ থেকে ২০,০০০ হাজার টাকা অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন। তবে, সঠিক পরিকল্পনা করে সব কিছু সঠিক ভাবে করতে হবে।

যদি সঠিক পরিকল্পনা না থাকে, তাহলে পরিশ্রম করবেন ঠিকই কিন্তু আয় করতে পারবেন না।

Avatar of Shakib Hasan

Blogger and SEO Expert. Founder of Techbdtricks. I always try to explore something new and let the people know about that. Keep me in your prayers.

1 thought on “বিনামূল্যে ওয়েবসাইট তৈরি করার পদ্ধতি”

  1. আপনি অনেক সাবলিলভাবে সবকিছু লিখেন। ধন্যবাদ আপনাকে।❤️❤️

    Reply

Leave a Comment